©কাজী ফাতেমা ছবি
সভ্যতারা এভাবেই গালে হাত দিয়ে বসে থাকে কোনো এক দুপুরের গা ছুঁয়ে
জীর্ণশীর্ণ দেহ, বয়সের ভারে খসে পড়েছে বুকের দেয়াল, বুকের হাড় ক'খান উঁকি দিয়ে দেখে দিনালো
এখানেও একদিন উচ্ছ্বলতা ছিলো, ছিলো কলরব, হাসি তামশায় ভরা বুকের জমিন।
একদিন এখানেও সুর ছিলো, ছিল ক্ষমতার দাপট, টুংটাং বাজনা ছিলো চায়ের কাপে,
এখানেও ধোঁয়া উড়া উষ্ণতার প্রহর ছিলো, ছিলো প্রেম ভালোবাসার মিশেলে এক অদ্ভুত সংসার।
ক্ষমতা টিকে থাকেনি কোনোদিন, দাপট থেমে যায় বয়সের ভারে, সহস্র বছর বাঁচেনি কেউ এখানে।
এখানেও ক্ষমতা নিয়ে যুদ্ধ ছিলো, ক্ষমতার কোলে বসে মানুষ দেখতো দুনিয়ায় টিকে থাকার স্বপ্ন
ঢাল তলোয়ারে সুর ঝংকার এখানেও বেজেছিলো হাওয়ায় হাওয়ায়,
রক্তে লাল ছিলো দূর্বাঘাসের পথ একদিন,
রক্ত শুকিয়ে গিয়ে রোদে এখানেও গর্জে উঠেছিলো সবুজ দূর্বাঘাসেরা।
ইটের গাঁথুনিতে কত শ্রমিকের ঘাম শুকিয়ে আজ মাকড়শার জালে বন্দি,
বাদশাহী রঙ...দেয়ালে সাজানো বাড়ির আনাচে কানাচে,
মাথায় তাজ পড়া যুবরাজ, কিংবা রাজার ছবি ঝুলেছিলো এখানেও!
ভুমিকম্প ঝড় কিংবা সুনামী বয়ে গিয়েছিলো-আবার নতুন করে গড়ে উঠেছিলো রাজপ্রাসাদ।
মৃত্যুর পর মৃত্যু, জন্মের পর জন্মেও টিকিয়ে রাখতে পারেনি ক্ষমতা,
ক্ষমতাধর'রা মৃত্যুর কাছে পরাজিত হয়ে যায় একদিন নিরিবিলি।
আজ এখানে সভ্যতা কাঁদে অসভ্য ক্ষমতার হাত ধরে,
সভ্যতা বলে দেয়, যা ইচ্ছে করে যাও, দেখাও ক্ষমতার দাপট,
গুম খুন রাহাজানি, স্বার্থের পিছনে যতই হন্য হয়ে দৌঁড়ো, বিলীন হবে সব একদিন
কেবল সময়ের অপেক্ষায়, লেজ গুটিয়ে পালাবে এখান থেকে
সঙ্গে যাবে কেবল মানুষের ঘৃনা আর এক বুক হাহাকার।
রেখে যাবে ইতিহাসের পাতায় কালিমা লেপন প্রহর, যুগ যুগ মানুষ করে যাবে ঘৃনার বন্দনা।
(০৫-১১-২০১৮)
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৭