
©কাজী ফাতেমা ছবি
০১। এ চিরচেনা দৃশ্য, নদীর জল, কলাগাছের ভেলা,
মাতৃভূমির বুকেই বসে রোজ, ঐশ্বর্য্যের মেলা;
এই যে জলের উপর ঝলমল সোনালী রোদ্দুর,
মাটি তরু বৃক্ষ লতা ভালোবাসি সাত সমুদ্দুর।
০২। নদীর বুকে চর জেগে যায়, শীত ঋতুটা আসলেই
কী যে লাগে ভালো দেখতে, ভেলা জলে ভাসলেই,
এই যে আমার সবুজ বর,ণ সোনা ফলা মাটি,
হেথায় সেথায় বিছানো রয়, দূর্বাঘাসের পাটি।
নদীর বুকে টেংরা পুটি, মাছের হুড়োহুড়ি,
শীত ঋতুতে আকাশ নীলে উড়ে রঙিন ঘুড়ি,
ধানের মাঠে বসে তখন, ফুটবল খেলার মেলা,
খেলা দেখে, ঘাসে হেঁটে, যায় কেটে যায় বেলা।
শুকনো নদীর কিনার ঘেঁষে, ছিপ ফেলে কেউ বসে,
ইছা পুটি দাড়কিনা ঐ বেড়ায় জলে চষে,
ছিপের সুতায় আটকা পড়ে ছোটো টেংরা পুটি,
নদীর জলে মাছেরা খায় সুখে লুটোপুটি।
শুকনো নদীর বুকে কৃষক, বপে ধানের চারা,
হাওয়ায় দুলে সবুজ'রা হয়, সুখে আত্মহারা,
শিশির ভেজা পাতা লতা, ঝলমলানি রোদ্দুর,
বুকের ভেতর ঢেউয়ের বাড়ি যেন সুখ সমুদ্দুর।
সবুজ পানা জলে ভাসে, ঢেউ উঠে না জলে,
কত মাছের উৎসব বুঝি হিমেল জলের তলে,
ভালো লাগে নদীর কিনার সুখে থাকে ভরা,
বর্ষায় থাকে ভরা নদী, শীত এলে যে খরা।
আমার দেশের ধুলো মাটি, নদী বিলে ঝিলে,
স্বচ্ছ জলে ঢেউয়ের নাচন, দেখলে শান্তি মিলে,
রূপ ঐশ্বর্য রঙ বাহারী আমার দেশের মাটি,
ধুলোর উপর আছে পাতা দূর্বাঘাসের পাটি।
(০৯ জানুয়ারী ২০২২)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


