
©কাজী ফাতেমা ছবি
ব্যস্ততম দিন চলে যায়-চোখের পলকে,
কত কাজের খসড়া-নিউরণে ঘুরছে অবিরত
গুছানো আর হয় না,শেষ তবে কবে তার!
মাথায় যন্ত্রণার চাপ-বন্ধ চোখ-নি:শ্বাস ভারী
পূর্বাশার আলোয় কর্ম নৌকার ধরি বৈঠা
গোধূলিয়ার ঢেউ এসে ডুবিয়ে দেয় আমায়;
আনমনায় কেটে যায় পল পল হাজার পল
ভাবনার যেনো শেষ নেই-অন্ত নেই
অথচ শ’ কাজ পড়ে থাকে টেবিল ছুঁয়ে।

২।
তুই তো অপেক্ষা করিস চিঠি পাবি বলে-
অথচ উত্তর দিতে পারিস না,
কত চিঠিই তো দুমড়ে মুচড়ে বল বানিয়ে ফেলি
কাগজের ডাস্টবিনে,
উত্তর পাবো না বলে আর লিখা হয় নি তোকে,
একদিন বলেছিলি, তুই তো আমার দু'চোখ
এক চন্দ্র দুই তারা
খুশিতে আত্মহারা!
আর আমি তোকে দূরে ঠেলে দিয়েছি,
হ্যাঁ দূরে ঠেলে দিয়েছি-
স্বপ্নগুলো তোর গুছিয়ে নে, আমাকে মনে রাখিস
আমার দেয়া কিছু শব্দ দিয়ে মনে স্বপ্ন আঁকিস।
কেমন যেনো বিবর্ণ রঙ হর হামেশা চোখ ছুঁয়ে যায়
ভাল্লাগে না আমার-আর ভাল্লাগে না
দূরে নিতে চাই নিজেকে সব কিছু হতে
সুখ হতে-আনন্দ হতে-উচ্ছ্বাস হতে।
আর তুই এখনো গুনিস প্রহর
চোখে ঝরে যন্ত্রণার লহর,
চিঠি পাবি বলে হাপিত্যেশ করিস
মনে আমায় নিয়ে স্বপ্ন গড়িস!
অথচ উল্টো পথের যাত্রী হয়ে আছি
সেই আবহমান কাল হতে!
সে তুই জানিস
তবু মনে কষ্ট টানিস
আমিও জানি তবু মিস করি
তোকে নিয়ে বুকে কষ্ট গড়ি।
তবুও আশায় থাকি চিঠির উত্তর পাবো
অথবা নীল খাম চিঠি।
তুই অপেক্ষা করিস আমি দেব-আর আমি তুই দিবি
এই নিয়মের ধারাবাহিকতায় আটকে আছি তুই আমি।
দিস তবু চিঠি
রাখবো নীলে দিঠি
পেতে খুব লোভ হয় জানিস
শব্দে শব্দে না হয় কাছে টানিস।
(২২-০১-২০১৮)
শিরোনাম কী দিবো বুঝতে পারছি না
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


