
বরই গুলোও কয়েক বছর আগে মাহা ভাইয়ার গিফট। খেয়ে হজম হলেও ছবিতে স্মৃতি ধরে রাখছি। নানান ঝামেলায় ছবি এখানে আর দেয়া হয় না। অফিসের সিস্টেমে তালা মেরে রাখার কারণে কিছুই করতে পারি না। আবার বাসায় গিয়ে বসার সময় নেই। একটা জগাখিচুরী অবস্থা আমার।
পুরোনো বাসায় বরইর ছবিগুলো উঠিয়েছিলাম, সেখানে ছবি তোলার স্পেস ছিল না। ছোট একটা বারান্দা , তাতে দাঁড়াতেই কষ্ট ছিল। তারপরও রোদ্দুর দুপুরে ছবিগুলো উঠিয়েছি। একই ছবি বিভিন্ন এঙ্গেলে। টসটসে পাকা বরই গুলো মাহা ভাইয়ার নিজের বাগানের। এত মজার ছিল সেই স্বাধ এখনো যেন জিভে লেগে আছে।
মা. হাসান ভাইয়ার কাছে খোলা চিঠি
=======================
প্রিয় মা. হাসান ভাইয়া,
আসলামু আলাইকুম, আশা ও বিশ্বাস আপনি ভালো আছেন। অনেকদিন আপনার কোনো খবর পাচ্ছি না। ভাইয়া আপনি সুস্থ আছেন তো? আপনার আন্তরিকতা আর শ্রদ্ধা আমি কখনো ভুলবো না।
হয়তো জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, আমাদের কথা কী আপনার মনে আছে? নাকি ভুলেই গেলেন। আপনি আমাদের ব্লগ পরিবারের একজন গুণমুগ্ধ সদস্য ছিলেন। একসময় আড্ডা গল্পে মন্তব্যে ব্লগ মাতিয়ে রাখতেন। করোনার পরে আর ব্লগে আসেননি। তবে কী আপনার পরিবারের সদস্যদের ভুলে গেলেন।
সময় সময় আপনি আমার জন্য উপহার পাঠিয়েছিলেন। উপহার পেতে কার না ভালো লাগে। আমি এবেলা শ্রদ্ধার সাথে আপনাকে স্মরণ করছি। ব্লগের উত্থান হলো পতন হলো, কত ব্লগার এলোগেলো। নতুন কিছু ব্লগার চলে এলো অথচ আপনি সেই যে হারিয়ে গেলেন আর ফিরে আসলেন না।
কেউ কী আপনাকে দুঃখ দিয়েছে ভাইয়া? মন্দ কথা বলেছে? আপনি কী ব্লগের প্রতি অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। সব কথার বড় কথা হলো, আপনি কেমন আছেন? সুস্থ আছেন তো? জুলাই বিপ্লবের দিনগুলো কেমন কেটেছে আপনার?
হাসান ভাইয়া, আপনি কী ব্যস্ত আছেন? যার কারণে ব্লগে আসতে পারছেন না। আমরা কেউই আপনার খবর জানি না। আপনি ইমেইলের জবাবও দিচ্ছেন না। আপনার একটা মোবাইল নম্বর ছিল আমার কাছে। সেটিতে কল দিয়ে দেখলাম সিম বন্ধ। আশাকরি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো আছেন। দোয়া করি আল্লাহ আপনি ও আপনার পরিবারকে আল্লাহ নেক হায়াতের সাথে ভালো রাখেন যেন। যদি কখনো সময় হয় ব্লগে আসিয়েন। আমাদের সঙ্গে দেখা করে যাবেন।
আচ্ছা আজ এই পর্যন্তই, অফিস ছুটি হয়ে যাবে, লিখার সময় ফুরিয়ে এল। আপনি ভালো থাকুন যেখানেই থাকুন। ফিরে আসলে খুশি হব । আল্লাহ হাফিজ।
ইতি আপনার বোন এই মেঘ এই রোদ্দুর।
০২। আগের বাসার বারান্দা সুন্দর ছিল না। ছবি উঠালে ভালো আসতো না;

০৩। রোদে রাখা ঝুড়িতে বরই... দেখতে কী লোভনীয় ছিল

০৪। শুকনো মরিচের গুঁড়ো , কাঁচা লংকার সাথে বরইয়ের আসর সাজিয়েছি।

০৫। আরেকটু ক্লোজ করে তোলা

০৬। বরই প্লেট যখন হাতে

০৭। রঙিন চামচগুলোর সাথে

০৮। মানিপ্লান্ট এর সাথে বরই গড়েছে সখ্যতা

০৯। একই জায়গায় ছবি, একটু ঘুরিয়ে তোলা আর কি

১০। টসটসে জলের ছিটায় বরইগুলো তার যৌবন ফিরে পেয়েছে

১১। আলোছায়ায় রাখা

১২। জল ছিটানো পর্ব

১৩। আরেকটু ক্লোজ করে তোলা

১৪। কাঁচা পাকা বরইয়ের স্বাদ ছিল মাশাআল্লহ

১৫। নতুন করে সাজানো

১৬। কাছাকাছি করে তোলা

১৭। আরেকটু কাছে

১৮। লতাপাতার সাথে বন্ধুত্বতা বরইয়ের

১৯। ছালার উপরে রোদ খাচ্ছে বরইরা

২০। সুন্দরী বরইরা রোগ পোহাচ্ছে।

সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



