
ফাঁকি বাজি আর কত শুনি, আর কত নামাজ যাবে এড়িয়ে?
সারাদিন কাজের পাহাড় মাথায় নিয়ে ঘুরো,
ব্যস্ততার ফাঁকে আবার কোথাও কোথাও আসো বেড়িয়ে,
নামাজের বেলা আসলেই কাজ যায় বেড়ে,
আর নামাজের সময় পাও না বলে নানান রসদের গল্প জুড়ো।
আরে বাহ্ তুমি খেতে পারছো, পরতে পারছো, পারছো লিখতে
রান্না করছো আল্লাহর দেয়া রিযিক, রসনায় স্বাদ পরিপূর্ণ,
আবার যাচ্ছো এই সেই দুনিয়াবী কাজ অথবা নাচ গান শিখতে
আযানের সুর শুনলেই বুঝি হৃদয় বিষাদে ভেঙ্গে হয় চূর্ণ?
সেজেগুঁজে ঘুরছো, নিঃশ্বাসে টানছো আল্লাহর দয়ায় বিশুদ্ধ হাওয়া
বাচ্চাকে নিয়ে যাচ্ছো স্কুল কলেজে, কোচিং সেন্টারে,
ফিরে এসে ঘর গুছাচ্ছো, হাতে নিয়ে রিমোট - দেখছো সিরিয়াল
অবসর পেলেই ইজি চেয়ারে গিয়ে বসছো বারান্দায়,
হচ্ছে রোজই তোমার সুখের জলে নাওয়া।
ব্যস্ততার সোপানে পা রেখে মধ্য রাত অবধি থাকো জেগে,
কখনো নেটে ঘুরো কখনো চ্যাটিং এ ব্যস্ত,
কখনো এ ঘর ও ঘর হাঁটাহাঁটি করে নরম বিছানায় রাখো পা
তুলতুলে বিছানায় সটান শুয়ে পড়ো ঘুমের আবেগে,
যেনো দুনিয়ার পাহাড়সম কাজ তোমার উপর ন্যস্ত।
ভোর হয়, পাখি ডাকে, পূর্বাশায় ফুটে হলুদ সোনালী আলো
ঘুমে বিভোর তুমি আযানের সুর আসে না কানে!
তুমি থেকে যাও বিছানায় বেলা বাড়ে, জীবন কাটে
বড় ভালো......
ফযরের নামাজ মিস করেও পুড়ো না অনুতাপে...
সুখের ঠেলায় মৃত্যুর ভয় আসে না আর প্রাণে।
বেলা করে উঠে, এক বেলার কাজ যায় অন্য বেলায়,
যোহরের আযানে রাখো না কান, ব্যস্ততা বাড়ে
গুনগুনিয়ে গেয়ে যাও গান সুখের
ভাসো আবারও সাংসারিক কাজের ভেলায়,
অথচ ক্বাযা নামাজের বোঝা জমে তোমার ঘাড়ে।
আসর মাগরিব ইশা কোনো ওয়াক্তের রাখো না খবর
এতটুকুন অনুশোচনা আসে না মনে!
ভয়ডরহীন মানুষ তুমি, দুনিয়াবী সুখে কাটাও জবর
সুখী তুমি মোহ দুনিয়া ভ্রমণে;
ক্বাযাতেও যে পেতে হবে সাজা
নামাজ ছাড়া গোরে যাবে না কেউ তোমার সনে।
©কাজী ফাতেমা ছবি
২৫-০৯-২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


