somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চুলদানীতে হলুদ ফুল

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাস্তার এই অংশটুকু ঢালু । অনেক কষ্ট উঠতে হয় । নামার সময় একেবারে সুড় সুড় করে নেমে যায় । কি জানি ? রোদেলার হুড শক্ত করে লাগানো ছিল কি না ? ঢালু পার হয়ে নামতে নামতেই রিক্সার হুড খুলে গেছে । এলোমেলো ভাবে চুল উড়তে শুরু করেছে । ঘটনার আকস্মিকতায় রোদেলা চমকে যায় । ঢালুর পর থেকেই শহুরে ব্যস্ততা ছেড়ে নিরবিলি দিক শুরু । এদিকটায় শহরের সুবিধা সব আছেই, কিন্তু বাড়ি ঘর এখনও খুব বেশি তৈরী হয়নি । খোলা জায়গা খেলার মাঠ , কত রকমের খেলা আর কত ছেলে মেয়ে ।
এর মাঝে যদি চুল উড়তে শুরু করে , তাহলে কেমন দেখায় ? আড়ষ্ঠ ভাব নিয়ে থিতু হয় রোদেলা । আশেপাশে ওরা কেউ নেই তো ?
ওরা থাকলে লজ্জার ব্যাপার হয়ে যাবে ।
রোদেলারা বাবা মৌলভী গোছের । পাড়ার লোক তাকে মানে । লোকজন তাকে চেনে জানে ,
কারো চোখে যদি এই
ঘটনা পড়ে তাহলে কপালে শনি আছে । ঘটনা খুব বড় কিছু না । রোদেলার উপর কড়া নির্দেশ বোরকা পরার । কয়েক দিন সে বোরকা ছাড়াই বাইরে বের হয় । ষোড়ষীর দিকে তাকানো লোকেরও অভাব নেই , কানঘুষারও শেষ নেই । সমস্যা হল সব কানঘুষা কানঘুষা হয়েই থাকে না । সব দোষ ষোলোর !
২.
আজ রাতুলের মন বেশিই খুশি । তিন মাস ধরে আজ প্রথম এত
ভালভাবে দেখেছে সে । সবচেয়ে বড় কথা চুল দেখেছে সে ।
কিভাবে দেখবে ? প্রতিদিন বাহারি সব বোরকা পরেই
না কোচিং এ আসে !
কত বৃষ্টির দিন গেছে , ভাবছে হয়ত আজ মেয়ে বোরকা স্কার্ফ খুলে আসবে । আজ আচমকায় দেবীর পূর্ন প্রকাশ । কার মুখ দেখেই যে উঠেছিল রাতুল । রাতুল , ক্লাসের ক্যাবলা কান্ত কি ! পদ্মভূষন কেউ ঠাওর করতে পারেনা । কোনদিন সে ফেলও করেনা ,
আঁশি পেয়ে মাস্টার কাছে প্রাইজ ও জেতে না । ভাগ্যগুনে দু চারটে ভাল বন্ধু আছে তার । উজাড় করে রাতুল তাদের বিশ্বাস করে । তাই খোঁচা মেরে প্রথম রোদেলার নাম জিজ্ঞাসা করেছিল ।
বন্ধুরা কেউ আর না বুঝে থাকে না । যত না রাতুল প্রেমে পড়তে চায় , তার চেয়ে তারা বেশি ঠেলে ফেলতে চায় । এটা ওটা গান ,সিনেমায় রাতুল আজ পুরোই হাবুডুবু । প্রতিদিন দেড় কিলোমিটার রাস্তা পার
করে তাকে আসতে হয় ,
রোদেলা কে দেখতে হয় । রাতুলের সময় টা বহু প্রতীক্ষার । আর ওর বন্ধু দের ও , তারা আলুরচপ
বেগুনি এটা ওটা খেয়ে ফেলে আর কি !
তিনমাস ধরে একবেলা দেবীর দর্শন ছাড়া অগ্রগতি এই যা , ক্লাসের অতি বন্ধুবত্সল কিছু মেয়েও এই কথা জেনে ফেলেছে । এখন
মাঝে মাঝেই তাকে লজ্জায় পড়তে হয় । প্রতিদিন আলুর চপ থেকে ওঠা ধোয়ার মত , অনর্গল বুদ্ধি বের হয় ধোয়ার মতই উবে যায় । তিন মাস ধরে আলুর চপ বৃথা না যাওয়ার শর্তে রোদেলা পর্যন্ত কোমল সেই প্রেম পৌঁছানো তো চাই , নাকি ?

৩.
মাহফুজ । ভাল গাইতে পারে ।গানের গলার জন্যেই সে মধ্যমণি । কোচিং ক্লাস শেষে কত মেয়েই যে তার
সাথে হেসে হেসে কথা বলতে আসে ইয়ত্তা নেই । এই মাহফুজই রাতুলের হেড ইনফর্মার । মাহফুজের বাড়ি রোদেলার পাড়াতেই , তাই সে আলুরচপ কিছু বেশিই খায় । তার কল্যানেই এই রাতুলের খবর বালিকা মহলে পৌছেছে । এতদিনে রোদেলারও জানার কথা । কিন্তু কই , এলবিডব্লিউ চাইলে আম্পায়ার
যে মুখে দাড়িয়ে থাকে সেভাবে সে বসে থাকে । রাতুল তো সরাসরি তার
দিকে তাকাতেই পারে না । সেবার , বৃষ্টির দিন । রাতুল কে খুব তালিম দেওয়া হয়েছে ,সে আজ প্রেমের মোড়ক উন্মোচন করবেই ..রোদেলাকে ডাকাও হল কিন্তু রাতুলের মুখে রা কাটেনা । শেষে রাতুল বলল "তোমার
ছাতা রেখে যাচ্ছ" । বলে লাইন ভাল ছিল , কিন্তু বল স্ট্যম্পের অনেক বাইরে । রোদেলার জন্য ফিক্সড রিক্সা আছে । হুজুর করে এক
রিক্সাওয়ালা তাকে নিয়ে আসা যাওয়া করে । রোদেলা কয়েক দিন
হেটে যাওয়া আসা করলেও কিছু সুযোগ নেয়া যায় । ব্যাটা কে টাকা দিয়েও আটকে রাখা যায় না । সেবার পঞ্চাশ টাকার নোট দিয়ে মাহফুজ , তন্ময় তাকে বুঝিয়ে দিল সে যেন রোদেলা কোচিং থেকে নিতে না আসে । ব্যাটা টাকাও নিল আড়াই ঘন্টা পর রোদেলাকেও নিয়ে গেল । পিত্তি জ্বলে যাচ্ছিল তখন রাতুলের ।

৪.
কৈশোর কালে হার্টবিট কত হয় ? সে হিসাব সেদিন
মিথ্যা হয়ে গিয়েছিল । বান্ধবীদের মুখে রাতুলের
কথা শুনে রোদেলা বাইরে পাত্তা দেয় নি । কিন্তু রাতুলকে তার চোখেই রাখছে ।
ছেলে হাফহাতা জামা পরে না , আর সে রোদেলার প্রেমে পড়ে কিভাবে ? এসব নিয়ে মেয়ে রা কম ভাবে । তাদের এসব ভাবনা খুব পিচ্ছিল , সাবধানে পা ফেলবে না তো গোবরে গিয়ে পড়বে । রাতুল কে দেখে ওসব মনে হয় না , খারাপ কথা দূরে থাক ওর ব্যাপারে ভাল ছাড়া কিছু শোনে নি । প্রিয়াংকায় ওকে নিয়ে বেশি গল্প করে । ভেতরের রোদেলা হাসে , বাইরের রোদেলা বলে , যা তুই
করগে আমাকে বলিস ক্যান ? কিছুক্ষন মেয়েলি খুনসুটি চলে । চৈতি,রোদেলার বড় বোন
অব্দি ঘটনা পৌছে গেছে । রিক্সাওয়ালা তাকে সব
বলে উগলেছে ।
চৈতি কি করবে বোঝে না , ষোল না পেরিয়ে উনিশে আসা যায় কি ? রোদেলা বেণীতে আলতো রসে মিশে যায় সে সব ঘটনা । কেমন
জানি চারদিকে পেয়ে বসেছে তাকে । চৈতি বলে রোদেলা দিনে দিনে সুন্দরী হচ্ছে রোদেলা , চৈতিরই নাকি মাথা খারাপ হয়ে যায় । আয়নায় দাড়ায় ও , প্রেম নামক প্রসাধনী সেখানে ধরা দেয় না । রাতুল , মাহফুজ এরা কেউই রোদেলার চোখ এড়িয়ে দাড়িয়ে থাকে না । কেমন যেন নেশা হয়ে দাড়িয়েছে । ভেতর থেকে কেউ বলেছ , রোদেলা , দাড়িয়ে আছে ওরা ,
রিক্সা থামিয়ে নামো । রিক্সা থামে না । পৌছায় না ওর মনটা রাতুলের কাছে ।
৫.
-রাতুল , চাচা ক'দিন বাসায় নেই , চল এইদিন ও দের বাসায় কাছেই যায় , মাহফুজ বলে রাতুলকে
-চাচা ? কে রে ?
তন্ময় রাতুলের মাথায়
ঠেলে দিয়ে বলে রোদেলার বাবা । -পাগল হয়ছিস ? আমার
ঘাড়ে মাথা কয়টা ?
-ভয় পেলে চলবে না ,
যেতে তোকে হবেই ।
-ভয় পাচ্ছি কই ? আমি কি ভীতু নাকি ? মাহফুজ আর তন্ময় মিলে ব্যঙ্গাত্নক অনুকরণ করে । রেগে যায় রাতুল । প্রেমে পড়া বোকামী তার কাছে , অথচ উত্থাপনটাই দুঃসাহসিক । কি রসায়ন !

৬.
কোচিং শেষ ।
রিক্সা করে বাড়ি ফিরছে রোদেলা । ওদের কে খোঁজে প্রতিদিন । কোথায় কোথায় যে দাড়িয়ে থাকে , তৃষ্ণা জাগে চোখের ।
নত নয়নে ,
বাড়ি ফিরতে ফিরতে রোদেলা নয়ন চড়ক গাছে ওঠার জো হল । মাহফুজ তন্ময় আর সেই ফুলহাতা শার্টে রাতুল । তার হাতে আবার ফুল । ক্যাটক্যাটা হলুদ রং এর ফুল । ওখানে কি করছে ওরা ? রিক্সা থেকে নামল রোদেলা । নামতে নামতে রোদেলার
বাবা হাজির ।
রোদেলা তাকাতে পারছে না । আজ কার মুখ দেখে উঠেছে সে ?
৭.
-স্লামালিকুম চাচা . -ওয়ালাইকুমুস সালাম বাবা , -কেমন আছেন চাচা ?
-এইতো বাবা , তুমি কেমন ? বন্ধুদের নিয়ে হাটছ বুঝি ?
-জ্বি চাচা !
আলাপ করিয়ে দেয় মাহফুজ । রাতুল তন্ময় সালাম জানায় । এরকম তো হওয়ার নয় । রাগ হচ্ছে রাতুলের , তার চেয়ে বেশি পাচ্ছে ভয় । -তোমার হাতে ওটা কি ফুল বাবা ? রাতুলের দিকে নির্দেশ
-জ্বী চাচা পারিজাত
-এটা আবার কি ফুল ?
-চাচা , এটা নাকি বেহেস্তি ফুল তাই নাকি ?
-জ্বী চাচা ! আপনি রাখেন । সব গুলো ফুল জমা দেয় হাফিয সাহেবের হাতে । -খুব সুন্দর , ফুল মানুষের সত্যি মন ভাল করে - জ্বী , চাচা ।
জীবনের দীর্ঘতম পাঁচ মিনিট পার করল তারা তিন জন । সূর্য অস্তে ! সাথে সাথে অস্ত তিন জনের সঞ্চারিত সাহস ।
৭.
-বুবু এই বুবু ! আব্বা কথন আসছে রে ? - আব্বার কথা ছাড় , তোর ইয়ে এখন ক্যান আসছে ?
ইয়ে মানে ইয়ার্কি করিস না তো ! এতো গাধা ক্যান তোর ইয়ে ?
ইয়ে ইয়ে করা বাদ দিবি । দেখ কি হল । টেনশনে আমার ঘাম ছুটে যাচ্ছে । কত টেনশেন রে আমার বোনের ! চৈতী চটিয়ে দেয় রোদেলা কে ! বারান্দায় দাড়িয়ে রোদেলা আর চৈতি , হাফিজ সাহেব কে ফুল নিয়ে ঢুকতে দেখল । চৈতীর হাসিতে বিরক্ত
হয়ে যাচ্ছে রোদেলা । এদিকে ওদিক রাতুলদের দেখায় গেল না ! ছেলেটা ঠিক আছে ?
৮.
হাফিয সাহেব ফুল নিয়ে ঢুকেছেন । চৈতী তার হাত থেকে ফুল
ছো মেরে নিয়ে এসেছে । রোদেলার লজ্জা পাওয়া তার ভাল লাগছে । -এই নে তোর ইয়ে তোর জন্য ফুল আনছে -ইয়ে করবি তো , মারুফ ভাইয়ের কথা আব্বা কে বলে দিব
-কি বলবি ? ইয়ে বলব না তো কি বলব জামাই ?
রোদেলার গাল লাল
হয়ে গেছে লজ্জায় । চিত্কার করে সে ! -বুবু যাবি তুই ?
-আচ্ছা যাচ্ছি , পাগল হয়ে যাসনে যেন । -গেলি ? আবার চিত্কার করে সে ! ৯.
ঘরের দরজা বন্ধ ।
আয়নাতে দাড়িয়ে রোদেলা । এই ক্যাটক্যাটা হলুদ ফুলে গন্ধ নাই । এই বোকা ছেলে কি ফুল আনতে হয় তাও জানে না ।
রোদেলা কি করবে বুঝতে পারতেছে না । ফুল গুলা বুকের আলতো আলিঙ্গন মুক্ত করে সে । একটা ফুল
তুলে নিয়ে চুলে লাগায় সে । খারাপ দেখায় না ।
কালোতে ভালোয় ফুটেছে । কিন্তু লজ্জায় সে তাকাতে পারছে না ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পোষ্টে যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ২/১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, বুঝবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



আপনার পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, তখন খোঁজ নিলে দেখবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

কোন বিষয়ের উপর অনেক মানসম্পন্ন পোষ্ট লিখলেও সামুতে আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×