অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের জার্সির সামনে লেখা -AZERBAIJAN, LAND OF FIRE
আজারবাইজান একটা দেশের নাম। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী জানি কোন বহুজাতিক কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান স্পন্সর হয় ক্লাবগুলোর। কিন্তু এই প্রথম দেখলাম কোন দেশের নাম একটি ক্লাবের স্পন্সর।
আজারবাইজান ল্যান্ড অফ ফায়ার হতে পারে, কিন্তু অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ যে ক্লাব অফ ফায়ার তা বুঝা গেল। চারবার ইউরোপ সেরা এবং শেষ ছয়বার শেষ চারে উঠা বার্সেলোনাকে কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় করে দিয়ে ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম সেমিফাইনালে উঠল এই মৌসুমে স্প্যানিশ লীগ লিডার অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ!
ইউরোপ সেরার শেষ চারে মাদ্রিদের দুই ক্লাব!!! হ্যাপি টু বি এ মাদ্রিদিস্তা।।
রিয়াল মাদ্রিদের হাতে ১০ম শিরোপা দেখতে চাই।।
#স্বাধীনতা কাপে ফেনী সকার ক্লাবের পারফরম্যান্স দেখে তাদের ভক্ত হয়ে গেলাম। অনেকে বলবেন এইখানে আবার বাংলাদেশের ফুটবল!!! কে খবর রাখে এইসবের?!
গতকাল চ্যানেল ৭১'এর খেলাযোগে দেখলাম ফেনী সকার ক্লাবের প্র্যক্টিস সুবিধা নেই। ঢাকার বাইরের ক্লাব বলে তাদের মূল্যায়ন তেমন নেই। চুরি করে মাঠে ঢুকে প্র্যাক্টিস করে ফেনী সকার ক্লাবের খেলোয়াড়রা। ভয়ে থাকে কখন তাদের মাঠ থেকে বের করে দেয়।
গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ লিগ সহ দেশের শীর্ষ প্রতিযোগীতায় নিয়মিত এই ক্লাবটি। অথছ এই ক্লাবের এই অবস্থা! বাফুফের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করতে হয়!!!
রাত জেগে খেলা দেখার অভ্যাস আমার ছোটবেলা থেকে। ফুটবলখোর বলা যায়। ঐ দিন এক ভাই বলছিলেন বিদেশী খেলা দেখেই আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়। কবে দেশের ক্লাবগুলো উন্নত হবে, ক্লাবগুলো উন্নত হলে আমাদের দেশের ফুটবল উন্নত হবে। আমরা কবে আবার ষাট সত্তরের দশকের মত মাঠে যাব, কবে আবার আবাহনী মোহামেডানের সেই দৈরথ ফিরে আসবে। কবে রিয়াল, বার্সা, ম্যানইউ, বায়ার্নের মত আমাদের ক্লাবগুলো হবে। বয়সভিত্তিক খেলাগুলো কবে নিয়মিত হবে।
আমি ঐ ভাইয়ের মনের কথাটা পড়তে পেরেছি। বুঝেছি এই লোক আসলেই অনেনেক ভাবেন। দেশের ফুটবলকে উচু যায়গায় দেখতে চান। ফুটবলের এই অবস্থা ওনাকে পীড়া দেয়। রাত জেগে ইউরোপের লীগগুলোর খেলা দেখেন আর দেশের ফুটবলের হতশ্রী অবস্থা নিয়ে হা হুতাশ করেন।
একটা দেশের ক্রীড়া ততটাই উন্নত যতটা তাদের মন মানসিকতা উন্নত। ঠিক তেমনি
একটা দেশের ফুটবল ততটাই উন্নত, যতটা উন্নত তাদের ক্লাবগুলো।
এক বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে পুরো বি লীগ শেষ করে বাফুফে। সাথে কমলাপুর স্টেডিয়ামও মাঝে মধ্যে খেলা হয়। হোম এওয়ে ভিত্তিতে খেলা হয়না। রুটিন মাফিক দুই তিনটা টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারলেই বাফুফের কাজ শেষ। তাহলে এইসব ক্লাব একটা ফুটবল ক্লাব হিসাবে দাঁড়াবে কিভাবে? বয়সভিত্তিক প্রতিযোগীতাগুলো থেকে কয়টা প্লেয়ার বের হচ্ছে? তাদের ঠিকভাবে পরিচর্যা করা হচ্ছে কিনা? এয়ারটেলের উদ্যোগে রাইজিং স্টারদের কে কোথায় আছে? বাফুফে কি খোঁজ নেয়? আসলেই বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট গুলো করার সদিচ্ছা আছে কিনা বাফুফের? দেশে কয়টা ফুটবল মাঠ আছে? ঢাকা কেন্দ্রিক চিন্তা চেতনা কবে পরিহার হবে? তাহলে ফুটবলের উন্নতি হবে কিভাবে? এখলো আমাদের দেশের একটা ক্লাবও এএফসি চ্যাম্পিয়নস লীগ খেলার সুযোগ পায়না! তো বুঝেন অবস্থা!!!
উনি আফসোস করে বললেন আর মাস দুয়েক পরেই ফুটবল বিশ্বকাপ। বাড়ীর ছাদে ছাদে উড়বে ভিনদেশী পতাকা। এই জনমে আর অলিম্পিকের পরে এই গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ ফুটবল বিশ্বকাপে নিজের দেশের পতাকা উড়ানো হবে না। জানি না আমার ছেলে কিংবা নাতি, কিংবা নাতির ছেলে কোনদিন এই সুযোগ পায় কিনা!!!
ওনার কথা শেষ হয় এই প্রশ্ন দিয়ে - বিশ্বকাপ খেলতে আমাদের আর কত বছর লাগবে???
হটাত আরেকজন ভাই বলে উঠলেন-
ভাই দেশের উন্নতি নিয়ে দেশ চালকরা কেউ ভাবে কিনা আমার সন্দেহ আছে, আর আপনি আইছেন ফুটবলের উন্নতি নিয়ে কথা বলতে!!! খাই দাই আর কাম নাই???
#
আমাদের আবেগ, অনুভুতি, চিন্তা, চেতনার কোন মূল্য নেই। হয়তোবা আছে, কিন্তু কেউ মূল্য দিতে চায় না। সবই বন্দি হয়ে থাকে শিকলে। অদৃশ্য সেই শিকল ভাঙবার কেউ যেন নেইই। সবাই আছে খাই দাই আর কাম নাই বলতে।। যারা এইসব বলেন তাদের অনেনেক কাজ আছে, খাই দাই দেশের সম্পদ লুট করতে, নিজের আখের গোছাতে। খাই দাই দেশের চিন্তা করে ভাত হজম করে কী লাভ?!!!
আমার বলার আর কিছু নেইই...।।