এতদিন হুবহু ফাঁস হওয়া "সাজেশান" এর সাথে পরীক্ষার প্রশ্ন মিলে গেলেও আজ গণিত ২য় পত্র মিলে নাই।।
অনেকে দেখলাম 'তোমরা যারা ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র সলভ করে পরীক্ষা দাও' টাইপের স্ট্যাটাস দিয়ে পরীক্ষার্থীদের হেয় করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। অনেকে বলছেন এইবার বুঝ মজা!!!
যারা দেখছে দিনের পর দিন ফাঁস হওয়া প্রশ্নই পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে মিলে গেছে তারা কেন ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পড়বে না? যারা দেখছে তাদের চেয়ে খারাপ স্টুডেন্টরা ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পড়ে ভাল পরীক্ষা দিয়ে আসছে তাহলে তারাও কেন এই প্রশ্ন পড়বে না???
এই যে ভাই! দোষটা কি ছাত্রছাত্রীদের? প্রায় সব বিষয়ের অনবরত "সাজেশান" নামে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। সেই প্রশ্ন হুবহু মিলে গেছে পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে। কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নাই বিধায় ছাত্রছাত্রীরাও সুযোগ পেয়ে গেছে। তারা ফাঁস হওয়া প্রশ্নের উপর নির্ভর করেছে, বলা যায় তাদেরকে নির্ভার হতে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। আজও যারা ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পড়ে পরীক্ষার হলে এসেছিল তারা হলে প্রশ্ন পেয়ে ভড়কে গেছে! দেখে কোন মিল নাই। সেট চেঞ্জ করে দিয়েছে। আজকের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস না হলেও আজ যে প্রশ্নে পরীক্ষা হয়েছে নিজেরা বাসায় স্বাভাবিক ভাবে পড়ে এলেও মোটামুটি সবাই ৬০-৭০ করে উত্তর দিয়ে আসতে পারত। কিন্তু ওই যে নির্ভার হতে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেই নির্ভার থেকে আজ অনেকে খারাপ পরীক্ষা দিয়ে এসেছে। দোষটা কার এখনো বুঝাতে হবে???
প্রিন্ট, ইলেক্ট্রিক ও সোস্যাল মিডিয়ার তথ্য মতে পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন বলতে গেলে হুবহু মিলে গেছে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সাথে। বানিজ্য ও মানবিক বিভাগ বাদ দিয়ে এইটা শুধু বিজ্ঞান বিভাগের কথা বললাম। ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে।
আজকের এই কাজটা যদি ইংরেজি ২য় পত্র পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার পর পরবর্তী সব বিষয়ে ধারাবাহিক ভাবে করা হত তাহলে পরীক্ষার্থীরা একটা বার্তা পেয়ে যেত যে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পড়ে লাভ নেই, নিজেদের মত করে প্রস্তুতি নিতে হবে।। শেষ পরীক্ষায় এইটা করে জাস্ট হারানো ভাবমূর্তি পুনুরুদ্ধার করার ব্যার্থ চেস্টা করা হয়েছে। তাও সাধুবাদ জানাই। এখন থেকে পরীক্ষার্থীরা একটু হলেও "সাজেশানের" বাইরে পড়ে আসবে। কাজটা আরো আগে হলে সব পরীক্ষাগুলোকে সবাই তামাশা করে না দিয়ে সিরিয়াসলি দিতো, কিছু শিখতো। মেধার সঠিক মূল্যায়ন হত।