৩ বছর আগের কথা। কুরবানীর ঈদের আগের দিন সন্ধ্যা বেলা। নানুর বাড়ী। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে রাস্তা ঘাট পিছলা হয়ে গেছে। কুরবানীর গরুটা বাঁধা ছিল উঠানের এক কোনায় আম গাছের সাথে। বাজার থেকে আসতে রহিমের দেরী হচ্ছিল। (রহিম বাড়ি দেখাশুনা করে)। আম্মু গরুটার বাধন খুলে গরুর ঘরে নিয়ে আসতে চাইলেন। ষাঁড় ছিল ওইটা। হটাত সে দিল এক হেঁচকা টান। আম্মুর হাত থেকে গেল দড়ি ছুটে। লে হালুয়া ...ওরে আর পায় কে! চোখ মুখ খিইচ্ছা দিলাম দৌড় ওরে ধরতে। নানুর বাড়ীর ঘাটা (ঘাটা হইল বাড়িতে ঢুকার রাস্তা) ছিল একটু নিচু। আম্মু চিল্লায়,ওরে দৌড়াইছনা, পারবি না তুই। আমি কইলাম তুমি আইসো না, তাকাই তাকাই দেখ। যখন ঐ ষাঁড়ের বাচ্চা ওর পিছনে আমারে দেখছে ঘাটা নামতেই ঐ হালায় দৌড়ায় আরও জোরে। আমিও কম নাকি! হুহ, উসাইন বোল্ট। তখনি পপাত ধরণীতল!!! কি হইল বুঝলাম না, শুধু বুঝলাম হটাত একটা বিকট শব্দ, ধড়াম্মম্ম! আমার বিছানা মাটি, আমি উপরে আকাশ দেখতেছি, আর আমার মাথা ঘুরাইতেছে ।।
এর মধ্যে আম্মু হাজির। নানু হাজির।
আম্মু কয়, এই তো দেখছি। তাকাই তাকাই'তো দেখছি। তোরে না করলাম দৌড়াইসনা। পারবিনা। এখন হইল তো? আমি উঠতে পারতেছি না। আম্মু আর নানু আমারে ধইরা উঠাইছে। পিঠ ছিলে গেছিল, ডান হাতে ব্যাথা পাইছিলাম। বৃষ্টিতে মাটি নরম থাকায় মাথায় বেশী ব্যাথা পাই নাই।
৩ বছর পর আজ আবারও আমি পপাত ধরণীতল। ৪ তলার উপ্রে।
ব্যাচেলর লাইফ।
বাসার বড়ভাই ফিল্টারে পানি ভরে আবার পানি সিদ্দ দিছে চুলায়। চুলা বন্ধ করতে যাইতেছিলাম। পানির ফিল্টারের অবস্থান কিচেনে যাওয়ার পথে। ফিল্টারে পানি ভরার সময় বড়ভাই কিছু পানি ফ্লোরে ফালাইছে। খেয়াল করিনাই। আমার পায়ে স্যান্ডেল। ফ্লোরের টাইলস গুলা হারামি। এত পিচ্ছিল হইয়া ছিল। হটাত ধড়াম্মম্ম!!!
ফিল্টার একদিকে, আমি অন্যদিকে, ফিল্টারের পানি আমার উপ্রে। এইবার নিচে আমি সাদা সাদা দেখি। ফ্লোরের সাদা টাইলস দেখি! বাসার সবাই যথারীতি হাজির।। ওরা হাসে! আর বলে এখনও হাটাও শিখলিনা!!!
মুখের উপর হাত থাকায় নাক মুখ রক্ষা পাইছে। আল্লাহ্ বাঁচাইছে।।