somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছুকথা বলা হয় নি

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-অবন্তী
-বলো -চুপ করে আছো যে?
এই কথা বলে হাত ধরতে চায় অন্তু।এক
ঝটকায় হাতটা সরিয়ে দেয় অবন্তী।শেষ
বিকেলের সোনারঙা আলো ওর
চোখেমুখে এসে পড়ছে।তাতে ওর
চুলগুলো কেমন জ্বলজ্বল করছে।
ফর্সা গালদুটো লাল হয়ে আছে।রাগে।খুব
রাগ করেছে ও।এবং যথারীতি অন্তু তার
রাগ ভাঙাতে হিমশিম খাচ্ছে।
-আমি কি করলাম অবন্তী?
-সারাদিন কোন রাজকার্য
করছিলে যে একটু খোঁজ নেয়া গেল না?
অন্তু চুপ হয়ে যায়।আজ দিনটা খুব
ব্যস্ততার মাঝে গেছে।সকালে বাজার
করা,দুপুরে টিউশনি করানো,কোচিংয়ে যাওয়া
সব মিলিয়ে অনেক ব্যস্ততা ছিল।এর
মাঝে অবন্তীকে ফোন দেয়ার সময়ই
পায়নি সে।
-আজ সত্যিই অনেক ব্যস্ত ছিলাম।
জানোই তো আমার রুটিন। -
হ্যাঁ জানবো না কেন?তোমার
রুটিনে তো সবই থাকবে কেবল আমিই নেই।
-এটা কি বললা?!!?
-ঠিকই বলেছি।
এই বলে ভেংচি কেটে অন্যদিকে মুখ
ঘুরিয়ে রাখে ও।অন্তুর প্রচন্ড খারাপ
লাগতে থাকে।
অভিমানী মেয়েটা কি বোঝেনা যে ওর
ছোট্ট মনে কেবল অবন্তীরই পায়েল
পড়া পায়ের আনাগোনা,কেবল অবন্তীরই
মায়াময় ঐ মুখ।
ছোট্ট এক ফুলওয়ালী এগিয়ে আসে।
-ভাইজান ফুল নিবেন?
-নাতো।বিরক্ত করিস না।যা।
-আপামণিরে দেন।নেন ভাইজান।
-বললাম তো নিব না।যা এখান থেকে।
ফুলওয়ালী চলে যায়।খানিকপরে আবার
আসে।
-ভাইজান নেন না একটা ফুল।আপামণি রাগ
কইরা আছে দেখা যায়।ফুল দেন।খুশি হবে।
অন্তু বেলীর মালা কেনে।অবন্তীর
দিকে ঘোরে।মেয়েটা এখন ফুঁপিয়ে কাঁদছে।
অন্তু অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।কাঁদলেও
যে কখনো মানুষকে এত সুন্দর লাগে ও
জানেনা।মনের গভীরে কোথাও যেন বদ্ধ
আর্তনাদ হাহাকার করে ওঠে অন্তুর।
ভালবাসার মানুষটিকে কাঁদতে দেখলে কারই
বা ভালো লাগে?
-কাঁদছো কেন?
-অনেক সুখ যে আমার তাই।
-পাগলি একটা।এভাবে কাঁদলে চোখের
কাজল সব গালে মেখে যাবে।
-যাক তাতে তোমার কি?
-পরীর মতো সুন্দর মেয়েটাকে তখন
যে পেত্নীর মতো দেখাবে।
এই বলে গোলগোল চোখে অবন্তীর
দিকে তাকায় অন্তু।অবন্তী হেসে ফেলে।
কি সুন্দর ঐ হাসি!মুক্তোদানার মত।শেষ
বিকেলের আলোয় পরীর মতো সুন্দর
ভালবাসার মানুষটার
প্রাণখোলা হাসি অন্তুকে প্রচন্ড এক
ভালো লাগায় আচ্ছন্ন করে।
সন্ধ্যা হয়ে যায়।রাস্তার
নিয়নবাতি গুলো জ্বলে ওঠে।অবন্তীর
হাতে বেলীর মালা।অন্তু ওর
পাশাপাশি হাঁটছে।হাত ধরার চেষ্টা করতেই
অবন্তী চেঁচিয়ে ওঠে।
-হাত ধরবা না।এটা তোমার শাস্তি।
-আজব!আবার কি করলাম?
-এতক্ষণ যে একসাথে ছিলাম তখন
একটাবারের জন্যেও কেন বলোনি আই
লাভ ইউ?
অন্তু দাঁড়ায়।অবন্তীও দাঁড়িয়ে যায়।
রাস্তার এ জায়গাটায় আলোআঁধারীর
খেলা।অন্ধকার কোণে কোনো এক
প্রেমিকযুগলের বাড়াবাড়ি চোখের কোণায়
ধরা পড়ে।সেদিকে পাত্তা দেয়না দুজনের
কেউই।অবন্তীর চোখের দিকে তাকায়
অন্তু।কয়েক মূহুর্ত কেবলই পলকহীন
অপেক্ষা।তারপর অন্তু বলে ওঠে-
ভালোবাসি তোমায় অবন্তী।
-এই কথাটা এতক্ষণে বললেন উনি।হুহ।
-আবার?অবন্তী প্লিজ আজকের
মতো অভিমান বাদ দাও।
-আমি যা করি তাতেই তুমি বিরক্ত হও।
অন্তু কথা বাড়ায় না।ওর খারাপ
লাগতে থাকে।হাঁটতে থাকে দুজন।
অবন্তী আলতো ছোঁয়ায় অন্তুর
হাতটা ধরতে যায়।অন্তু থমকে দাঁড়ায়।
অবন্তী অন্তুর চোখের
দিকে তাকিয়ে আবেগমাখা কণ্ঠে বলে ওঠে-
ভালবাসি তোমায়।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×