"বাবরী মসজিদ আর্তনাদ করছে!!!"
গতকাল যখন জানলাম কাপুরুষ হনুমান
পুজারী হিন্দুদের নেতা নরেন্দ্রমোদি তার
নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছে, বাবরী মসজিদের ভিটার
উপর রাম মন্দির নির্মাণ করবে, তখন থেকে মনে এক
ধরনের অশান্তি বিরাজ করছে। আমার
মনে হচ্ছে বাবরী মসজিদ বিলাপ করে বলছে --
আমি কি সেই মসজিদ নই যার মিনার থেকে কয়েকশত বছর
আল্লাহু আকবার
ধ্বনি উচ্চারিত হয়েছে?
আমি কি সেই ঘর নই যার ডাকে হাজার হাজার মানুষ
আল্লাহর দিকে ফিরে এসেছে?
আমি কি সেই ঘর নই যার বুকে কয়েক শতাব্দি যাবত
মানুষ আল্লাহর কাছে সেজদাবনত হয়েছে? আজ
আমাকে শহীদ করা হয়ে গেলো তখন কোথায়
মুহাম্মদ বিন কাসিমের উত্তরসুরীরা?
কোথায় আজ মুর্তিসংহারী মাহমুদগজনবীর
সন্তানেরা?
কোথায় আজ আহমদ শাহ আবদালির উত্তরসুরী?
তারা কি আমার অবস্থা দেখে না? তারা কি আমার
আর্তনাদ শোনে না?
আমাকে শহীদ করার আজ ২২ বছর হয়ে গেলো অথচ
তখনো তোমরা জাগলে না!
এখন আমার ভিটায় রামমন্দির নির্মাণের
ঘোষণা দেওয়া হল, তারপরও কি তোমরা জাগবে না?
কখন তোমরা নিজেদের আত্মপরিচয় খুজে পাবে?
এইসব কথা শোনার পর মনে হলো চিতকার করে এর জবাব
এভাবে দেই--
বাবরী মসজিদ! তোমাকে শহীদ করার আজ ২২ বছর
কেন? ২২ দশক গেলোও
আমরা তোমাকে ভুলিনি, ভুলবো না।
শুনে নাও, মুহাম্মদ বিন কাসিমের
উত্তরসুরীরা গাজওয়ায়ে হিন্দের প্রস্তুতি নিচ্ছে!
ওরা আসবে বরফের পাহাড় অতিক্রম করে,
পাথুরে পথ হামাগুড়ি দিয়ে,
সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ ভেদ করে,
বদর সৈনিকের মতো তরবারী হাতে নিয়ে,
খন্দকের মুজাহিদদের মতো পেটে পাথর বেঁধে,
উহুদ যুদ্ধের মতো অশ্বের উদোম পিঠে আরোহণ করে,
ওরা আসবে তোমার প্রতিটি ইটের বদলা নিতে,
প্রতিটি বালুকণার হিসেব কষতে,
ওরা আসবে আকাশে মেঘের গর্জন করে,
জমিনে সিংহের হুংকার দিয়ে,
ওরা আসবে মাথায় লোহার শিরস্ত্রাণ পরে,
ওরা আসবে নবীউল মালহামা (যুদ্ধের নবী)র উম্মত
হয়ে!!!
বাবরী মসজিদ, তুমি যেভাবে কাল আমাদের
অন্তরে জীবিত ছিলে, আজও সেভাবে জীবিত আছো!