আমার আব্বা আমাকে যে পরিমাণে মারধোর করেছেন, সেগুলো অত্যাচার বলা যায়। তবে এখন মনে হয়, আব্বা আমাকে সেই মারধোর আরেকটু কমিয়ে মারলে আজ আমি আমার সমবয়সী বন্ধুদের সাথে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় ঝুট বিক্রির আড়ালে ডাইল বিক্রি করতাম, গাজীপুরের কোনাবাড়িতে ভাতের হোটেল দিয়ে পাবলিককে পচা-বাসি খাওয়াইতাম, ট্রাকের হেলপার হইতাম আর নিষিদ্ধ পল্লীতে নিয়মিত যাতায়াত করতাম। অথবা ছিঁচকে রাজনৈতিক মাস্তান হতাম।
আব্বা আমাকে যাদের সাথে মেলামেশা ও আড্ডার কারণে মারধোর করতেন, সুদূরের সেই বন্ধুরা আজ ওসবই করে বেড়ায়। আজ আমিও করতাম। আমাকে দিয়ে ভালো কাজ অসম্ভব ছিল। আমার আব্বা যখন মারতেন, রাগ হতো খুব। এখন মনে হয়, আব্বা আমাকে কেন আরও মারেন নাই, আমি আরও ভালো কাজে যুক্ত হতাম।
পৃথিবীর কোনও বাবার শাসনেই তার স্বার্থ থাকে না। সন্তানের ভালোই থাকে।
সো, যে বাচ্চা কথা শোনে না, বুঝান। না বুঝলে ধমক দেন, ধমকে কাজ না হলে থাপড়ান, থাপ্পড়ে কাজ না হলে পিটান, পিটিয়ে কাজ না হলে পুলিশে দেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭