সুদীর্ঘ ১ মাস ২ সপ্তাহ পর সামু আমাকে জেনারেল করেছে।
কিন্তু লেখার মত নতুন কোন বিষয় বস্তু মাথায় আসছে না।
তাই কিছু বাংলাদেশি মিষ্টি বিতরণ করলাম। বাংলাদেশে যে সব মিষ্টি পাওয়া যায় তার তালিকা কিন্তু মোটেও ছোট না ! তাই মাত্র কয়েকটির ছবি দেয়া হল। সময় আর সুযোগ পেলে খেয়ে দেখতে ভুলবেন না।
বাইরে হোমিওপ্যাথি ওষুধ এর চিনির গোলক আর ভিতরে গুড় দেয়া এই মিষ্টি না খেলে পস্তাবেন। তবে এর মিষ্টতা আপনার সহ্য নাও হতে পারে।
আমাদের সবার অতি পরিচিত মিষ্টি। এটি আটা আর ময়দার মিস্রণের সাথে ছানা বা দুধ দিয়ে তৈরি। তেলে ভেজে সরাসরি চিনির সিরায় ডোবান হয় এবং এতে কোন রং মিস্রিত নেই। তাই এটি স্বাস্থ্যকর।
এর নাম স্পঞ্জ। দেখেই বুঝা যায় এর স্বাদ কেমন !
সুস্বাদু মিষ্টির মধ্যে এর দাম সবচেয়ে কম।
দেখতে চমচম এর মত হলেও এগুলো মোটেও চমচম নয়।
এগুলো আসল চমচম।
ছানার সন্দেশ। স্বাদ এর তুলনায় দামটা একটু বেশি।
এই জিলাপী পুরাটা খেতে গেলে আপনার খবর হয়ে যাবে। শাহী জিলাপী।
কিছু মিষ্টি যা না খেলেই নয়ঃ
রসমালাই বা রসগোল্লাঃ সারা দেশে পাওয়া যায়। পাতলা দৈ এ ভেজান মিষ্টি। না খেয়েছেন তো ভুল করেছেন।
বালিশ মিষ্টিঃ নেত্রকোনার মিষ্টি। তবে আজকাল সারা দেশেই পাওয়া যায়। এর সবচেয়ে বড়টির ওজন এক কেজির ও বেশি। এটি খেতে চমৎকার।
কাঁচা গোল্লাঃ এটি নাটরের বিখ্যাত জিনিস। নরম ও ছানার তৈরি। আসলে এর কোন আকৃতি নেই। মিষ্টি তা সুজির মত। আপনি যখন খেতে চাইবেন তখন তা হাতের তালুর সাহায্যে গোল করে দেয়া হয়। তাই এর নাম কাঁচা গোল্লা।
বালুসাইঃ বাইরের দিকটা খশখশে আর ভেতরটা নরম। এই হল বালুসাই।
************************************************
বন্ধুরা ! অযথা বসে না থেকে এখনই মিষ্টি খেতে বেড়িয়ে পড়ুন। না হলে একদিন দেখবেন ডায়বেটিস ধরিয়ে ফেলেছেন। তখন আপনার কপাল চাপড়ান ছাড়া আর কিছুই করার থাকবেনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:২৬