ঢাকার অধিকাংশ দৈনিক পত্রিকার রিপোর্ট ছিল নিম্নরূপঃ
টেলিকম সেক্টরে দুর্নীতি নিয়ে মঙ্গলবারও উত্তপ্ত ছিল ভারতীয় পার্লামেন্টের উভয়কক্ষ। দেশটির সুপ্রিমকোর্ট এ বিষয়ে দেশটির সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) দেয়া প্রতিবেদন তদারকি করার নির্দেশ দিয়েছেন সতর্কতা কমিটির (ভিজিলেন্স) চেয়ারম্যান পিজে থমাসকে।
এদিকে সরকার আইন ভাঙার অভিযোগে ৮৫টি টেলিফোন কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করার নোটিশ দিয়েছে। অন্যদিকে, কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজকদের ৪ সহকারীর বাড়ি তল্লাশি করেছে সিবিআই। সংবাদ সংস্থাগুলো জানায়, মঙ্গলবার ছিল লোকসভা অধিবেশনের ১৩তম দিন। সকালে স্পিকার মিরা কুমার কার্যক্রম শুরু করতেই হৈচৈ শুরু করেন বিরোধীরা। টেলিকম খাতের দুর্নীতি তদন্তে তারা সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে সংসদ মুলতবি করা হয়। রাজ্য সভার স্পিকার হামিদ আনসারী অধিবেশন শুরু করলে সেখানেও হৈচৈ করেন বিরোধীরা। এক পর্যায়ে আনসারী বলেন, আপনারা রাজপথের আচরণ করছেন সংসদে। এদিকে, নিয়ম ভেঙ্গে লাইসেন্স পাওয়ার অভিযোগে সরকার ৮৫টি টেলিকম কোম্পানিকে লাইসেন্স বাতিল করার ইঙ্গিত দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। গতকাল এ নোটিশ দেয়া হয়। সন্তোষজনক জবাব না পেলে সরকার তাদের লাইসেন্স বাতিল করবে বলে একটি সূত্র জানায়। অপরদিকে, ভিজিলেন্স কমিটির প্রধান থমাসকে টেলিকম সেক্টরের দুর্নীতিতে সিবিআইর প্রতিবেদন তদারকির দায়িত্ব দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। এক আদেশে বলা হয়, থমাস ওই কেলেঙ্কারির সময় ওই সেক্টরের সচিব ছিলেন। তাই তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হলো। এদিকে, কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনে ১০৭ কোটি রুপি নয়ছয় করার অভিযোগে আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যানের ৪ সহকারীসহ ১১ জায়গায় হানা দেয় সিবিআই কর্মকর্তারা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
বাংলাদেশে এমন ঘটনা কি ঘটেছে? মনে করিয়ে দেবেন কেউ??
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫০