পুলিশের এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে-
রফিকুল ইসলাম খান (ঢাকা মহানগর জামাতের নেতা) গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় নটর ডেম কলেজের সামনে নিজ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সশরীরে হাজির হয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে যাত্রীদের টেনেহেঁচড়ে নামিয়ে বাসটি ভাংচুর করেন। একই সঙ্গে আসামি নিজ হাতে গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। ধাউ ধাউ করে বাসটি জ্বলতে থাকলে মতিঝিল থানা থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গাড়ি ভাংচুর ও আগুন দেয়ার সময় তার সঙ্গে যারা ছিল তাদের নাম-ঠিকানা জানতে তাকে ৭ দিন পুলিশের হেফাজতে রাখা প্রয়োজন।
অথচ এ ঘটনার ২ মাস ১৮ দিন আগে ২৫ আগস্ট রফিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওইদিন থেকে তিনি কারা ও ডিবি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। কাজেই রিমান্ড তো দূরের কথা এ মামলাটিই গ্রহণযোগ্য নয়। পুলিশের বক্তব্যের সমর্থন করে সরকারপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে বলেন, পুলিশ যে মামলা দিয়েছে তা সঠিক। আসামিকে রিমান্ড থেকে বাঁচানোর জন্য তার আইনজীবীরা আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাকিবতণ্ডা শুরু হলে আদালত আসামিপক্ষের আইনজীবীদের তাদের বক্তব্যের সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ দিতে বলেন। আইনজীবীরা রফিকের গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতের বিভিন্ন তারিখের আদেশ ও এর আগে রিমান্ডের কাগজপত্র পেশ করেন। তারা উচ্চ আদালতের একটি আদেশনামাও পেশ করেন। এতে উল্লেখ রয়েছে, রফিক গত ২৫ আগস্ট থেকে সরকারের হেফাজতে রয়েছেন।
লিংক দেখুনঃ
Click This Link