1
2
নিরাপদ কৃষিজ খাদ্য খুঁজতে খুঁজতে শেষ পর্যন্ত নিজেই উৎপাদনে নামলাম। গ্রামে ২টা পুকুর লিজ নিয়ে মাছ ছাড়লাম গত এপ্রিলে। শত হলেও বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ।
একটায় ছাড়লাম রুই, কাতল, সিলভার কার্প প্রভিতি। অন্যটায় ছাড়তে চাইলাম তেলাপিয়া। কিন্তু কোথাও তেলাপিয়া পাইনা, সব মনোসেক্স।
ষাটের দশকে যখন তেলাপিয়া দেশে আসে, তা ছিলো তৎকালীন কৈ মাছের সাইজ বা একটু বড়। আস্তে আস্তে এক একটা ২৫০-৩০০ গ্রাম হয়ে গেলো। নিম্ন মাধ্যমিকের পাঠ্য বইয়ে পড়েছিলাম তেলাপিয়া মা মাছ মুখের ভিতর বাচ্চা রাখে, পুকুরেই বংশবৃদ্বি করে।......... আমি সেই তেলাপিয়া খুঁজতেছিলাম।
অবশেষে একটা নার্সারি থেকে মাত্র ৬০ টা মাছ পেলাম, সব পুর্ন বয়স্ক। সম্ভবত তাদের পারেন্ট স্টক- বুইড়া মাছ। মাছ গুলা নারী-পুরুষ মিশানো ছিলো- যেটা সব থেকে ভালো ব্যাপার আমার জন্য।
উপর আলার রহমতে, মাছগুলো বাচ্চা দিলো। চাউলের কুঁড়া, গমের ভূষি, সরিষার খৈল আর পুকুরে জন্মানো প্রাকৃতিক খাবার এই ছিলো গত ৬-৭ মাসের মাছের খাবার।মাছগুলা বড় হৈছে। আগামী মাসে বিক্রি করা যাবে।এই মাছ গুলা পুরাপুরি বিষমুক্ত না, চাষের শুরুতে এবং মাঝে (এপ্রিল ও অক্টবর মাসে) দুই কিস্তিতে ইউরিয়া প্রোয়োগ করতে হইছে, অল্প মাত্রায়- অনুমদিত(!!) মাত্রার চেয়েও কম। অনেক খুঁজেও পর্যাপ্ত পরিমাণ গোবর বা কম্পোস্ট পেলাম না। পরের বার এই ব্যাপার টা মাথায় রাখব।
আগামী মাসে আমি শুধু মাতৃ তেলাপিয়া গুলা বেঁচে দেব, থাকবে শুধু ঐ পুকুরে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো জাত। আশা করা যায় এভাবে আগামী বছর নিরাপদ এগ্রো ফুডস এর নিরাপদ তেলাপিয়া বাজারজাত করতে পারব।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মাতৃ তেলাপিয়া এবং রুই, কাতল, সিলভার কার্প প্রভিতি বিক্রি করব। কার্প গুলো ৭০০-৮০০ এর মত বড় হইছে। আমার পুকুর হল ঝালকাঠি জেলার, নলছিটি থানার, কাপড়কাঠি গ্রামে।
মাছ নিতে চাইলে বা পুকুর ভিজিট করতে চাইলে........ mail me at: [email protected].
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৮