— তুই যদি কিছু বলতি আমার খুব ভালো লাগতো।
— কি বলতাম?
— এই যে, কিছুমিছু...
— এই সাবজেক্ট সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।
— ধ্যেত!
— সবসময় ভ্যাজর ভ্যাজর করিস ক্যান?
— আমি একটা উত্তর চাই বলে।
— উত্তর?
— হু। উত্তরটার কোনো ভুল হওয়া চলবে না। উত্তর একটাই। আর সে উত্তরটা “হ্যা” ই বলতে হবে।
— যদি ‘না’ বলি?
— ‘না’ বললে উত্তর ভুল। তোকে আবার দেবো প্রশ্ন।
— উত্তর দিলাম, না।
— পরীক্ষা তাহলে আবার দিতে হবে।
— আমি পরীক্ষা দিচ্ছি?
— হ্যাঁ। আসলে আমরা দুজনেই পরীক্ষা দিচ্ছি।
— তুই কিসের পরীক্ষা দিচ্ছিস?
— জানি না। হয়তো তুই না চাইলেও কতদিন পর্যন্ত তোর আবছায়া নিয়ে থাকতে পারি, এর উপরে পরীক্ষা।
— ও। পাগলামি করিস না আর। নিজের পথে যা।
— আসলে এখানেই আপেক্ষিক হিসেবে কাজ করছে পুরো ব্যাপারটা। আমার কাছে আমি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক কিন্তু বাকিদের কাছে...
— হইছে। প্রশ্ন জমা দে আবার।
— ভালোবাসবি?
— না।
— আবার পরীক্ষা দিতে হবে।
— দেবো। আমার ক্লান্তি নেই।
— ক্যানো তুই বারবার ‘না’ বলিস?
— কারণ তুই একটা গাধা।
— গাধা!!
— হ্যাঁ। তবে তুই আমার গাধা, শুধুমাত্র আমার গাধা। আমার গাধার পরীক্ষায় আমার যা ইচ্ছে উত্তর দিই না ক্যানো, যা ইচ্ছে করি না ক্যানো, আমার গাধা কখনোই আমাকে ছেড়ে যাচ্ছে না...
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৪৫