এ এক রক্তক্ষয়ী ভু-খন্ড
হঠাৎ গুলির বর্ষণ লাঠি চার্জ;
দাউ দাউ করা আগুন
বসত ভিটে সব ছাড়খার
সহায় সম্বল যা ছিলো নিয়ে সর্বহারা
হায়রে মানবতা!
মনে ভয়, চোখে দূর সীমানা
যেভাবেই হোক বাঁচতে হবে;
কোথাও গিয়ে দাঁড়াতে হবে;
নিজ মুলুকের ঠাঁই ছেড়ে!!
এক নদী রক্তের বন্যা বয়ে যায়
লাশ ভেসে বেড়ায় অথৈ জলে
মায়ের কোলে শিশুর কান্না
ছুটে পালা এবার
দানবের হাত থেকে দূরে,
বেয়োনেটের খোঁচা থেকে দূরে,
নৃশংস হত্যা, ইজ্জত হানির থাবা থেকে দূরে,
পাষন্ড অনল থেকে দূরে।
জীবিত জগতে আজ নরক দেখে
নিঃশব্দ দু'চোখে!
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
কানে ভেসে আসে প্রাণ ভিক্ষার চিৎকার।
কত অনাহার, কত দুর্যোগ বয়ে যায়
অসহায় দুঃখী এই মানুষদের উপর
আরেক প্রান্তে মরণ নেশার খেলায়
মেতে উঠে সভ্য নামক এক অসভ্য বিশ্ব!
অন্ন নেই বস্ত্র নেই
মাথার উপর খোলা আকাশ
এভাবেই দিনরাত কেটে যাচ্ছে
চোখের জলে সীমাহীন যন্ত্রনায়।
এখন তারা উদ্ব্যাস্তের দলে
এটাই কি নিয়তি?
কোথায় এই নৃশংসতার শেষ;
কোথায় এই ধ্বংসযজ্ঞের শেষ;
কোথায় এই দুর্দশার অন্ত?
দুঃখের কি শেষ নেই?
ওদের পরিচয় কি শুধুই রোহিঙ্গা!?
ছবি- ইন্টারনেট।
এ দৃশ্য বিশ্বের জন্য এক প্রকান্ড লজ্জার ।
.
প্রতিনিয়ত দেশের অবস্থা খারাপ হচ্ছে। রাজনৈতিক ভাবে, অর্থনৈতিক ভাবে, কুটনৈতিক ভাবে। চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। বাড়ছে জীবন জীবিকার অস্থিরতা।
রোহিঙ্গাদের উপর এতো অন্যায় অত্যাচার, পাশবিক নির্যাতন। নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানো। অসহায়ের মত জীবন যাপন।
প্রতিদিন এসব নানান ধরণের খবর শুনে মনে একটুও শান্তি পাই না। সব ভাবলে আর লেখা আসে না আর, কলম চলে না!!
*খায়রুল আহসান ভাইয়ের কবিতা "রোহিঙ্গা ভাবনা" থেকে আমার এ লেখার প্রেষণা পেয়েছি।
কবিতা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩