আমার মামাকে নিয়া আর পারিতেছি না। প্রাতে, সন্ধ্যায় সময় পাইলেই তাহার কাব্যরস চাগাড় দিয়া ওঠে।
কক্ষ বন্ধ করিয়া মামা আবৃত্তি করিতে থাকেন-
আজি এ প্রভাতে রবির কর....
মহা বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত, আমি সেই দিন হবো শান্ত....
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে....
কেউ কথা রাখেনি.....এইসব পুরানা কবিতা।
আমি বলি- মামা তুমি সঁ্যাক খাইয়াছ বলিয়া সারাক্ষণ কেউ কথা রাখেনি, কেউ কথা রাখেনা..এইসব কবিতা পড়িও না তো! আমার কথাটি অন্তর দিয়া শোনো- কবিতা পছন্দ করিতে হইলে সর্বাধুনিক কবিতা পছন্দ করো।
আমার অতীব পছন্দের কবি মারজুক রাসেল। টিভিতে আমার পছন্দের কবি সাক্ষাৎকার দিয়া থাকেন অভিনেতা, মডেল, গীতিকার ও কবি হিসাবে। আমার পছন্দের কবি হইলেন সর্বাধুনিক। উনি টিভিতে যখন ..হা হা হা, ও হো হো, হো হো হো...কবিতাটি পড়িলেন- আমি চমৎকৃত হইলাম; আনন্দিত হইলাম। আমিও তাঁহার সাথে হো হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিলাম। মামা আমার সেকেলে দারুণ- লাগাইলেন ধমক!।মামা কী জানে আমার প্রিয় কবির ব্লেডের অ্যাডটি কত মজার!
ব্লগে আসিয়া পাইলাম আরেক প্রিয় কবি- ব্রাত্য রাইসু। ক্যাফেতে এসিতে বসিয়া কম্পুতে তাহার কবিতা পাঠ করি। বেয়ারা বার্গার দিয়া যায়। আমি বার্গার খাই। আমার পাশ্বর্ের সিটে, টেবিলে বার্গার দোলে। আমি দুই চক্ষু ভরিয়া বার্গার দেখি। আমি ফাইভ স্টারে বসিয়া এসি খাই, আমি কবিতা খাই। আমি ফাস্টফুডে বসিয়া বার্গার খাই, কবিতা খাই..

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



