মে ২০০৫-এ পৃথিবীর সবচেয়ে অনুন্নত দেশ বা এলডিসি (মাথাপিছু আয় ৭৫০ ডলারের কম ৫০ টি দেশের বার্ষিক মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের চেয়েও বেশি সম্পদ ছিলো ধনী ১২৫ জন মানুষের হাতে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে ধনী তিনজন লোকের হাতেই অনুন্নত ৪৭টি দেশের মোট উৎপাদনের চেয়ে বেশি সম্পদ ছিলো।
বর্তমানে সম্পূর্ণ পৃথিবীর জনসংখ্যার মাত্র ২% মানুষ পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক সম্পদের মালিক। প্রত্যেক দেশে কিংবা সমাজেও এ ধরনের সম্পদের বৈষম্য দেখা যায়। আমেরিকার ২০০১-এর ডেটা থেকে দেখা যায়, দেশটির ধনী মাত্র ১% মানুষ প্রায় ৩৮% সম্পদের মালিক। অন্য দিকে দেশটির সবচেয়ে নিম্ন আয়ের ৪০% মানুষ মিলিতভাবে দেশটির মাত্র ১% সম্পদের মালিক।
এছাড়াও ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটলাস অফ গ্লোবাল ইনএকুয়ালিটি থেকে জানা যায়, পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী এক শতাংশ মানুষ যে পরিমাণ সম্পদের মালিক, সবচেয়ে দরিদ্র ৫৭% মানুষের মিলিত সম্পদ তার প্রায় সমান।
মিলানোভিক ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের এক তথ্যে দেখান, বিশ্বের ধনী ২৫% মানুষ পৃথিবীর মোট ৭৫% আয় করে থাকে। বাকি ৭৫% গরিব মানুষ মাত্র ২৫% আয় করে থাকে। এর অন্যতম কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ লোক সবচেয়ে গরিব দেশগুলোতে বাস করে। বিশেষ করে চীন, ভারতসহ এশিয়া এবং আফ্রিকার গরিব দেশগুলোতেই সিংহভাগ লোকের বাস। জনসংখ্যা অনুপাতে এ দেশগুলোর পর্যাপ্ত সম্পদ নেই। এ দেশগুলোর জনসংখ্যা যতো বাড়বে এ বৈষম্য ততোই বাড়তে থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:১৩