somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হংকং ও সিঙ্গাপুর (জনসংখ্যা- ৭)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অন্য কোনো সম্পদ না থাকা সত্ত্বেও শুধু জনসংখ্যাকে ব্যবহার করে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি লাভ করেছে হংকং ও সিঙ্গাপুর। একটি দেশের জন্য জনসংখ্যাকে সম্পদ বলা হয়, আবার কখনো বোঝা বলে গণ্য করা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জন্য হংকং ও সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির উন্নয়ন এক রহস্য।

১৯৪০ সালে অনুন্নত হংকংয়ের রাস্তা দেখুন। এমন মানুষ টানা রিক্সা দিয়ে বোঝাই ছিলো


মানব সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতির ফলে ১৯৯৮ সালে হংকং সমুদ্রের বুকে মাটি ভরাট করে তৈরি করে হংকং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট।

মানুষ হংকংয়ের সবচেয়ে বড় সম্পদ
১৯৮২ সালে হংকংয়ের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৫.২ মিলিয়ন। ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত হংকংয়ের জনসংখ্যা খুব দ্রুত (প্রায় ৩০ শতাংশ হারে) বেড়েছে। হংকং এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে শুধু জন্মহার বৃদ্ধিই নয়, চীন ও ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ইমিগ্রান্টরাও দায়ী। হংকংয়ের আয়তন প্রায় ১,০৬০ বর্গ কিলোমিটার। এর অধিকাংশ এলাকাই অনুর্বর পাহাড়ি এলাকা। শুধু সংকীর্ণ উপত্যকা এবং সমভূমিতেই কৃষিকাজ হয়ে থাকে। এ এলাকাই হংকংয়ের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ।

হংকংয়ের জনগণের চাহিদা
অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে হংকংয়ের বর্ধিত জনগণকে জায়গা দেয়ার জন্য নতুন এলাকায় নতুন শহর তৈরি করা হয়েছে। পুরনো ব্যবসা-বাণিজ্যভিত্তিক শহরগুলোকে বাড়ানো হয়েছে। সমুদ্রের বুকে মাটি ভরাট করে উদ্ধার করা হয়েছে কিছু এলাকা। এভাবে সঠিক নীতির মাধ্যমে হংকং উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ ছাড়াই অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নাগরিকদের চাহিদা মেটাতে পেরেছে।


সিঙ্গাপুর
১৯ শতকে সিঙ্গাপুর অনুন্নত একটি মাছ ধরা কেন্দ্র ছিল। দেশটির সম্পদ খুবই কম ছিল এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান নিম্ন ছিল। কিন্তু পরে সিঙ্গাপুর সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়, সমুদ্র বন্দর এবং দেশটি মানব সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে উন্নতি লাভ করে। বর্তমানে সিঙ্গাপুরের মানুষের জীবনযাত্রা এশিয়ার মধ্যে চতুর্থ এবং বিশ্বের মধ্যে ২৫তম। পৃথিবীর ২২তম ধনী দেশ সিংগাপুর। সিংগাপুরের ৮৩ শতাংশ মানুষ বাস করে হাউজিং এস্টেটে। মোনেকোর পর পৃথিবীর সবচেয়ে ঘন বিন্যস্ত জনসংখ্যার স্বাধীন দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুর পরিচিত।
সিংগাপুরের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৪৮ লাখ। গত দুই দশক ধরে সিংগাপুরে জনসংখ্যা কমানোর জন্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি চালানো হলেও বর্তমানে এ দেশটির পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সিংগাপুরের ১৫ বছর বয়সের নিচে মাত্র ১৬% মানুষ রয়েছে (বাংলাদেশে এ হার প্রায় ৩৩%)। ২০০৬ সালে সিঙ্গাপুরে মহিলা প্রতি সন্তানের হার হচ্ছে ১.৩ (এ হার পৃথিবীর সবচেয়ে কম তিনটি দেশের একটি)। অর্থাৎ বর্তমানে এ দেশটির জনসংখ্যা কমছে। কোনো দেশের জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য এ হার ২.১ থাকা প্রয়োজন (বাংলাদেশে এ হার প্রায় ৩.১)। এ কারণে সিংগাপুর সরকার এখন তাদের জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৩৪
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×