সুন্দরবন। আল্লাহর অপরূপ সৃষ্টির আরেকটি নিদর্শন। নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের অধিকারী সুন্দরবন প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চার্য নির্বাচন নামক প্রতিযোগীতায় লড়ছে আরো অনেক প্রাকৃতিক স্থানের সাথে। অনেকেই সুন্দরবনকে ভোট দিয়েছেন। আবার অনেকে দেননি। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সুন্দরবনকে ভোট দেওয়াটা আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু আমরা অনেকে আমাদের দায়িত্ব পালন করছি না। সবাইকে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান করছি। তবে শুধু ভোট দিলেই হবে না। কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখাও জরুরি। আমার লেখাটাও সেইসব বিষয় নিয়ে।


আসুন আগে জেনে নিই কিসের ভিত্তিতে New7wonders-এর Ranking প্রকাশ করা হয়।

১. বয়সঃ যেই স্থানটি ১৮বছরের নিচের বয়সীদের ভোট বেশি পেয়েছে সেই স্থানটি Ranking-এ উপরের দিকে থাকে।

২. জেন্ডারঃ যেই স্থানটি মেয়েদের কাছ থেকে ভোট বেশি পেয়েছে সেই স্থানটি Ranking-এ উপরের দিকে থাকে।

৩. বর্ণানুক্রমঃ বর্ণানুক্রম অনুযায়ী Ranking-টা সম্পর্কে আপাততঃ কোন ধারণা দিতে পারছি না। এটা সম্পর্কে সঠিক ধারণা আমার নেই।

৪. বিদেশী ভোটঃ বিদেশী ভোট সংখ্যার উপর ভিত্তি করেও Ranking প্রকাশ করা হয়। যে প্রাকৃতিক স্থানটি অন্য দেশের ভোট বেশি পাই সেই স্থানটি Ranking-এ উপরে অবস্থান করে।

৫. পূর্বের ৪ সপ্তাহের ভোটঃ এই Ranking প্রকাশ করার পূর্বের সপ্তাহে যে প্রাকৃতিক স্থানটি ভোট বেশি পেয়েছে সেই স্থানটি Ranking-এ উপরের দিকে থাকে।


এবার আসুন জেনে নিই চুরি করার পদ্ধতি। ভালো কাজে চুরি করা খারাপ কিছু না। ভোট দেওয়ার সময় যেসব বিষয়ে চুরি করতে হবে তা নিচে দেওয়া হলঃ

১. ভোট দেওয়ার সময় আপনি আপনার আসল বয়স না দিয়ে নকল একটি বয়স দিয়ে দিন। ১৮বছরের নিচে আপনার বয়স থাকবে এমন একটি সাল সিলেক্ট করুন। যেমনঃ আপনার জন্ম ১৯৮৫ সালে। আপনি সিলেক্ট করুন ১৯৯৮। এতে আপনার বয়স দাঁড়ালো ১৩বছর। দেশের জন্য নিজের বয়সটা কমিয়ে দিলে তো কোন ক্ষতি নেই।

২. এবার আসা যাক জেন্ডারে। আপনি Male হলেও Female সিলেক্ট করুন। Female সিলেক্ট করলে তো আর আপনি সত্যি সত্যিই মেয়ে হতে যাচ্ছেন না। দেশের জন্য অল্প সময় মেয়ে সাজতে আশা করি কারো সমস্যা হবে না।

৩. এবার আসুন বিদেশী ভোট সম্পর্কে জেনে নিই। ভোট দেওয়ার সময় বাংলাদেশের জায়গায় অন্য আরেকটি দেশের নাম সিলেক্ট করুন। মনে মনে খুশি হোন এই ভেবে যে, সুন্দরবনকে ভোট দেওয়ার জন্য অন্য একটি দেশ তো ঘুরে আসতে পারলাম।


এই তিনটি বিষয় একটু খেয়াল রেখে ভোট দেওয়াটা উত্তম। “যদি লাইগ্যা যাই” ডায়ালগটার উপর বিশ্বাস রাখা আর কি। বৃহৎ স্বার্থে একটু মিথ্যার আশ্রয় তো নেওয়া যায়। পোস্টটিতে যা লেখা আছে তা আপনার বন্ধুদেরকেও জানান। আর সবাইকে ভোট দিতে আহ্বান জানান। “দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ”। দেশের জন্য কিছু সময় কি আমাদের হবে না??