ওয়াশিকুর বাবুর মহাপ্রয়াণ এবং পুনরায় নাস্তিক কথন......
-ভাই বাবুকে নিয়ে কিছু লেখেন প্লিজ।
-কোন বাবু?
-কেন জানেন না?ওয়াশিকুর বাবু।মহানাস্তিক।আমাদের ধর্মকে প্রচুর গালি দিয়েছে।
-তাকে নিয়ে কেন লিখব?
-কারণ তাকে আজকে কুপিয়ে মারা হয়েছে।আজকেই।
....ইনবক্সটা ৩০ শে মার্চের।একই রকম টেক্সট আরো কয়েকটা পেলাম।বাবুকে সত্যিই আমি চিনতাম না।এই ঘটনার পর তার আইডিতে গেলাম।তার স্মরণে খোলা একটা ইভেন্টে গেলাম।
নতুন কিছু না।ইসলামকে নিয়ে,নবী(স) কে নিয়ে সেই এরকম রকম গালাগালি।
এবং রাজীব এবং অভিজিৎ এর মতোই কিছক্ষণ পর লেখা উধাও!ু
....নাস্তিকদের ব্যাপারে না লেখার জন্য কিছু কাছের মানুষ পরামর্শ দিয়েছেন।কিছু মানুষ সরাসরি নিষেধ করেছেন।
কারণ নাস্তিকরা অতি সম্মানিত মানুষ,অতি শ্রদ্ধেয় মানুষ।যারা আল্লাহতালাকে গালাগালি করার ক্ষমতা রাখে তাদেরকে ছোট করলে হবেনা।
আমাদের রাষ্ট্র এবং মিডিয়াও সে ব্যাপারে পুরোপুরি সচেতন।আপনি নাস্তিকদের বিপক্ষে একটা কথা বলেন,আপনার জন্য লালঘর কিংবা রিমান্ড রেডি হয়ে আছে।
আল্লাহতালাকে গালি দিলে তিনি ক্ষমা করতে পারেন,কিন্তু নাস্তিকদের কিছু বললে কোন ক্ষমা নাই।
তাদেরকে দেখলেই মাথা নিচু করে সালাম দিতে হবে।
স্যরি...সালাম তো আবার ইসলামী আদব।সালাম দেয়া যাবেনা।সবচেয়ে ভালো হয় তাদের কাছ থেকেই জেনে নিতে হবে কোন সম্মান করলে তারা খুশি হবেন।
তাদের অখুশি করলে আপনার এদেশে বাস করার কোন অধিকার নাই।
ভারতকে বাঁশ দিয়ে লেখো...মারহাবা,পাকিস্থানকে বাঁশ দিয়ে লেখো....ডাবল মারহাবা,কলকাতাকে বাঁশ দিয়ে লেখো......ফাটাফাটি.....
কিন্তু নাস্তিকদের ব্যাপারে যদি কিছু লেখতে যাও তবে "ডিম দাও ওরে ডিম দাও"।
আমাকে রিমান্ডে নিতে হবেনা।জাস্ট পুলিশ যদি শুধু হাতে ধরে তবে আমার অসুস্থ্য বাবা-মা দুজনই মারা যাবেন.....স্ট্রেইট মারা যাবেন।
সুতরাং আমিও লিখিনি এতদিন।কিন্তু আজ আসিফ মহিউদ্দিনের একটা পোস্ট দেখে বেয়াদব আঙুলগুলো আবার উশখুস শুরু করে দিলো।
.....প্রথম কোন স্বঘোষিত নাস্তিক দেখেছিলাম তিন বছর আগে।তখন সাস্টে ইংরেজীতে সদ্য ভর্তি হয়েছে।
স্বঘোষিত ড্রাগ এডিক্টেড হিন্দু নামের একজন ক্লাসে ঢুকেই বলল,আমি নাস্তিক এবং ঘুমানোর সময় এবং ঘুম থেকে উঠার পরপর আমি ঈশ্বরকে চ বর্গীয় গালি দেই।
কি রকম দম্ভক্তি!
এ জায়গায় কোন দাঁড়িওয়ালা কেউ যদি ক্লাসে এসে বলত,আমি মুসলিম এবং আমি পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়ি তবে কর্তৃপক্ষ তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের করতো।
স্রোত এখন এমনই।
....বাবুকে কারা হত্যা করেছে কেন হত্যা করেছে সেটা জানিনা।তবে তাজ্জব হয়ে দেখলাম আজ ৫ম দিনেও প্রথম আলোতে বড় করে প্রতিবেদন এসেছে।রিপোর্টার এমনভাবে রিপোর্ট করেছে যেন ঘটনা ঘটার দশ দিন আগ থেকেই সে খুনীদের সাথে ছিল।
কি ডিটেক্টিভিটিরে বাবা!
অথচ সাগর-রুনী মারা যাওয়ার তিন বছর পরও কেউ কিচ্ছু বের করতে পারল না।
নাস্তিক কেউ বিশেষত ধর্মকে আরো বিশেষত ইসলামকে যারা গালি দেবে তারা মহামূল্যবান জীব।
তাদের মৃত্যুকে সহজভাবে নেয়া যাবেনা।একদিনের মধ্যেই খুনী বের করা হবে।এমনকি খুনী খুন করার দশ দিন আগে থেকেই কোথায় কবে হাগা-মুতা করেছে সেটাও জানা সম্ভব হবে।
বাবুর তার প্রত্যেকটা পোস্টেই ইসলামকে গালি দিয়েছে।অথচ মৃত্যুর পর তার জানাজা করা হলো,কবর দেয়া হলো।
এটা কি এক ধরণের কৌতুক না?
....এখন বিখ্যাত ভিআইপি হওয়া খুব সহজ।শুধু বাংলা লেখা জানতে হবে।
তারপর ইসলামকে ধুমাইয়া গালি দিন।
আপনি বিখ্যাত!
আপনাকে জার্মানীর ভিসা দেয়া হবে,শুয়ে বসে দিন কাটালেও আপনার অর্থের অভাব হবেনা।
আমি আশংকা করছি এমন কোন দিন আসবে যখন ইসলামকে গালি দেয়ার বিষয়টাকে ডিগ্রির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
নেমপ্লেটে লেখা থাকবে ড.আসিফ মহিউদ্দিন,(ফেলোশীপ ইন আল্লাহ নবীকে গালাগালি)।
গতকাল আমাকে একজন রিকু পাঠিয়েছে।তার টাইমলাইনে গিয়ে দেখি প্রথম পোস্টটাই হচ্ছে-প্রিয় মানুষগুলো রক্তাক্ত হচ্ছে।হে প্রিয় মানুষেরা,তোমরা বেঁচে থাকো।কি-বোর্ড বন্ধ করো"
নাকে-মুখে সর্বশক্তি দিয়ে ডিলিট করলাম।
আরেকটা মজার ব্যাপার বলি।
অনেকে চোখ ফুলিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছে
"কত ব্যাথা বুকে চাপালে তাকে বলি আমি ধৈর্য
নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ"।
কিন্তু পরের লাইনেই যে আছে
"বিধাতা তোমারে স্মরি বারে বারে কর তুমি মোরে মার্জনা..."-সেটা বেমালুম চেপে যাচ্ছে।
কারণ ভুলেও বিধাতার নাম আনা যাবেনা।
.....ওয়াশি কুকুর বাবু ব্যক্তিগত জীবনে চোর-ডাকাত-বদমাশ যাই হোন না কেন,তিনি যেহেতু ইসলামকে গালি দিয়েছেন সুতরাং তিনি অবশ্যই মহান ব্যক্তি।
তাকে মরণোত্তর একুশে পদক দেয়া হোক।
.....রাস্তায় কুপিয়ে মারাটা সবসময়ই অমানবিক।
যারা নাকের পানি-চোখের পানি এক করছেন তাদের বলব সব অপমৃত্যুর সময় আপনারা কই থাকেন?
যে ইসলামকে গালি দিয়েছে তার জন্য এত দরদ কই থেকে আসে সেটা বুঝিনা।
এদের মৃত্যু যদি আপনার কাছে অমানবিক মনে হয় তবে সিটি কর্পোরেশন যখন রাস্তায় ইনজেকশন দিয়ে কুকুর মারে সেটাও আপনার কাছে অমানবিক হওয়া উচিত।
কুকুর আপনার কি ক্ষতি করছে?
কুকুর যদি জলাতংকের ভাইরাস বহন করে তবে এরা জলাতংকের চেয়ে হাজারগুণ বড় ভাইরাস বহন করে।
আপনি বলবেন মানুষের সাথে কুকুরের তুলনা দেয়া কি ঠিক?
হাঁ ঠিক না।
এসব মানুষ আর কুকুর কখনোই সমান না।
যারা বিকৃত আনন্দের জন্য হিন্দুদের মুর্তি ভাঙে,বৌদ্ধ বিহারে হামলা করে,চার্চে বোমা মারে এবং আমাদের প্রিয় ইসলামকে আঘাত করে এদের চেয়ে কুকুর এক হাজার গুণ বেশি ভালো।
আমি মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত একটা দৃশ্যের জন্য অপেক্ষা করব।
এসব জঘন্য মানসিকতার আক্রমণকারীদের যেখানে পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই কুকুরের মতই ধরে ইনজেকশন দিয়ে মারা হচ্ছে।
তারপর সিটি কর্পোরেশনের গাড়িতে করে লাশ ভাগাড়ে নিয়ে ফেলা হচ্ছে।
আহা কত মধুর সে দৃশ্য!্
শুধু একবার দেখতে চাই,একবার.......
===================================
এক ভাই এর ফেসবুক স্ট্যাটাস হতে সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১