মহানবী (সাঃ) এর কার্টুন প্রকাশ করার দায়ে যখন কিছু সাংবাদিককে হত্যা করা হয় তখন সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠে ৷ তখন সেটা সারা বিশ্বের মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতার ইস্যু হয়ে যায় ৷
"আমিই শার্লি এব্দো।" - বলে গলা ফাঁটায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থা, সাংবাদিক, মিডিয়া ৷
কিন্তু, "আমিই রোহিঙ্গা" - কেউ বলে না!
কারন, তারা মুসলিম ৷ যখন, নিজের দেশে তাদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে তখনও বিশ্ব বিবেক নিশ্চুপ ৷
জীবন বাচাঁনোর জন্য যখন তারা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে অন্য দেশে যেতে চাচ্ছে কোন দেশই তাদের স্থান দিচ্ছে না ৷ সে তালিকায় আমার দেশ বাংলাদেশও আছে ৷ অথচ, আপনি জানেন কি? রোহিঙ্গাদের শেকড় এই বাংলাদেশেই ৷ এমন কি তারা চিটাগাং এর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে ৷ এটাই তাদের ভাষা, যা বাংলা ভাষার সাথে সম্পর্কযুক্ত ৷
এমনকি, বার্মা সরকার এদের রোহিঙ্গা নামে অস্বীকার করে, তারা বলে এরা বাঙ্গালী, তাই তাদের কোন অধিকার নেই মায়ানমারের নাগরিক হওয়ার ৷
অথচ, রোহিঙ্গারা প্রায় ৮০০ বছর ধরে মায়ানমারে আছে ৷ এরা এক সময় পার্লামেন্টেও ছিল ৷ সরকারি বিচারক হিসেবেও এরা দ্বায়িত্ব পালন করেছে বহু বছর ৷ কিন্তু তবুও এদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে ৷ আইন করে বাতিল করা হয়েছে তাদের নাগরিকত্ব ৷
জাতিসংঘ বলেছে রোহিঙ্গাদের মুক্তি বলতে তাদের সামনে দুইটা রাস্তা খোলা আছে -
১৷ নিজ দেশে নির্বিচারে গণহত্যার শিকারে পরিণত হওয়া ৷
২ ৷ অথবা, সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় মরে যাওয়া ৷
কেউ একজন বলেছিলেন, "মুসলমানদের মানবাধিকার থাকতে নেই ৷" যিনি বলেছিলেন, তিনি ঠিকই বলেছিলেন ৷