somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্ল্যাকেস্ট নাইট : কমিক্স [[ ডিসি কমিক্স ]]

০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[[ বিঃ দ্রঃ এটা প্রচলিত ভাবে রিভিউ না – এক কথায় বলে দেই – “ব্ল্যাকেস্ট নাইট” স্টোরি আর্ক ( ডিসি কমিক্স ) আমার পড়া সেরা ( দ্যা বেস্ট ) স্টোরি আর্ক । আর এই লেখায় পুরাটাই স্পয়লার বলা যায়!! আমার এক্সাইটমেন্টের সঙ্গী হতে চাইলে সামনে বাড়ুন । এখানে গ্রিন ল্যান্টারন আর এর প্রাসঙ্গিক দল গুলার পরিচিতি এবং ব্ল্যাকেস্ট নাইট স্টোরি আর্ক নিয়ে আলোচোনা করা হয়েছে । ]]]


“গ্রিন ল্যান্টারন কোর” ঃমহাবিশ্বের অনেক পুরানো এবং বুদ্ধিমান একটা প্রজাতি গার্ডিয়ান অফ দা ইউনিভার্স ।বহু পূর্বে প্রানীদের অন্যতম অনুভুতি / ইমোশন উইল পাওয়ার বা ইচ্ছাশক্তি কে হারনেস করে সবুজ রঙ এর এনার্জিতে পরিণত করে গার্ডিয়ানরা । তাদের পরিচিত স্পেসে শান্তি আনার জন্য তারা একটা মহাজাগতিক শান্তি রক্ষী বাহিনী / পুলিশ ( স্পেস কপ ) দল তৈরি করে – এর নাম গ্রিন ল্যান্টারন কোর ( ইংরেজী বানান CORP হলেও উচ্চারণ কোর ) ।জিএল কোরের পাওয়ার হিসেবে গারডিয়ানরা দেয় একটা ব্যাটারি বা ল্যান্টারন আর একটা রিং বা আংটি যা সেই সবুজ এনার্জিকে ব্যবহার করার ক্ষমতা দেয় । এই রিং নিজেই নিজের সাকসেসর বাছাই করে – খুজে বেড়ায় উইল পাওয়ার ধারী সেন্টিনেল লাইফ ফর্ম । এভাবেই একসময় হাজারো এলিয়েন প্রজাতির মাঝখানে পৃথিবীর ৪ জন মানুষ গ্রিন ল্যান্টারন হিসেবে বাছাই হয় । এরা হল – হ্যাল জরডান, গাই গার্ডনার , জন স্টুয়ারট আর কাইল রাইনার । গারডিয়ানদের স্পেস সেকটরে স্পেস কপের কাজ করা ছাড়াও নিজ গ্রহ পৃথিবীতে সুপার হিরো হিসেবে পরিচিতি লাভ করে গ্রিন ল্যান্টারন রা – যোগ দেয় সুপারম্যান ব্যাটম্যানের টিম জাস্টিস লীগে । পাওয়ার রিং ব্যাটারি থেকে রিচারজ করার সময় শপথ বলতে হয় । এছাড়া শপথের কারণে কিছু ক্ষেত্রে পাওয়ার বুস্ট ও পেয়ে থাকে ল্যান্টারন রা । গ্রিন ল্যান্টারন দের শপথ / ওথ –
In brightest day, in blackest night,
No evil shall escape my sight.
Let those who worship evil's might
Beware my power--Green Lantern's light!


গ্রিন ল্যান্টারনদের ভিতর সবচে সেরা আর গারডিয়ানদের বিশেষ কাজে নিয়োজিত ল্যান্টারনদের নাম হল “আলফা কোর”আলফা কোরের শপথ –
In days of peace, in nights of war
Obey the laws forever more.
Misconduct must be answered for,
Swear us the chosen--the Alpha Corps


এছাড়া এমন অনেক এলিয়েন প্রজাতি ছিল যারা সাধারণ আলোতে দেখার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়নি – এদের জন্য একটা সুর বা শব্দই ছিল গ্রিন এনার্জির কনভার্টার । এদের বলা হয় , “এফ শার্প ল্যান্টারন” ( F#) । শপথ –
In loudest din or hush profound,
My ears catch evil's slightest sound
Let those who toll out evil's knell
Beware my power, the F-Sharp Bell



“রেড ল্যান্টারন কোর” ঃগ্রিন ল্যান্টারন হ্যাল জরডান আর তার ট্রেইনার কিলাওয়াগ ( এলিয়েন গ্রিন ল্যান্টারন ) গার্ডিয়ানদের এক ডারটি সিক্রেট আবিষ্কার করে । গ্রিন ল্যান্টারন কোরের আগে গ্রিন এনারজি দিয়েই গার্ডিয়ানরা এক রোবোট টিম বানায় যারা বিগড়ে যায় এবং সব রকম প্রানীদেরকেই শান্তির জন্য ঝুঁকি বিবেচনা করত । তাদেরকে যদিও শেষ পর্যন্ত ইন একটিভ করা হয়েছে কিন্তু তার আগেই এরা পুরো একটা স্পেস সেকটর, সেক্টর ৬৬৬ এর প্রায় অর্ধেক ধ্বংস করে দেয় । সেই সেক্টরের ৫ জন সারভাইভারের একজন অ্যাট্রোসিটাস , সে নিজের ক্রোধ কে হারনেস করে রেড লাইট স্পেকট্রাম ল্যান্টারন ব্যাটারি আর পাওয়ার রিং তৈরি করে । এর পরে পুরো একটা ল্যান্টারন কোর তৈরি করে সে গার্ডিয়ানদের উপর প্রতিশোধ নেবার জন্য । কিন্তু এরা আস্তে আস্তে মহাজাগতিক গুন্ডা বাহিনীতে পরিণত হয় । এদের শপথ –
With blood and rage of crimson red,
Ripped from a corpse so freshly dead,
Together with our hellish hate,
We'll burn you all--that is your fate!



“ইয়েলো ল্যান্টারন কোর” ঃ গার্ডিয়ানদের একজন পরীক্ষামূলকভাবে এক নতুন ইমোশোনাল স্পেকট্রাম হারনেস করার চেষ্টা করেন । এটা ছিল হলুদ এনার্জি, যার উৎস হল ভয় । প্রতিটা প্রানীই ভীত, কোন না কোন ভয় তাদের থাকেই, শিকারীর ভয়, মৃত্যু ভয় – তাই এই এনার্জি হবে সহজলভ্য – এই চিন্তা থেকেই পাওয়ার হারনেস করার কাজ শুরু হয় । কিন্তু হারনেস করার পরে গার্ডিয়ান আর এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না –সে নিজেই ইয়েলো এনার্জিতে বিলীন হয়ে যায় আর পরিণত হয় সুপার ভিলেইন প্যারালাক্স এ । তাকে থামানোর পর গ্রিন ল্যান্টারনদের অন্যতম সেরা এবং অনার গার্ড খেতাব প্রাপ্ত থাল সিনেস্ট্রো এই হলুদ পাওয়ার রিং ধারন করে এবং নিজের কিছু অনুসারী নিয়ে গ্রিন ল্যানটারন কোরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে নিজের কোর প্রতিষ্ঠা করে । এর রঙ হলুদ হলেও নাম দেয়া হয় সিনেস্ট্রো কোর । শপথ –
In blackest day, in brightest night,
Beware your fears made into light.
Let those who try to stop what's right
Burn like my power Sinestro's might!


“ব্লু ল্যান্টারন কোরঃ”রেড ল্যান্টারন রা যখন ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তখন অনেক নিরীহ গ্রহ তাদের ক্রোধের শিকার হয় । এবং অ্যাট্রোসিটাস প্রায় নিজের মতই আরেকজনের জন্ম দেয় – সেইন্ট ওয়াকার, যার গ্রহ রেড ল্যান্টারন ইনভেশনে ধ্বংস হয়ে যায় । কিন্তু সেইন্ট ওয়াকার অ্যাট্রোসিটাসের মত ক্রোধে হারিয়ে যায় না, বরং আশায় বুক বাঁধে, যে গ্যালাক্সিতে একদিন শান্তির দিন আসবেই । অন্য দিকে গার্ডিয়ান কাউন্সিলে নিজেদের নোংরা রাজনীতি আর অন্তঃদ্বন্দ এর কারণে দুই গারডিয়ানকে নির্বাসিত করা হয় । এই দুইজন একটা প্রফেসি পায় যে শীঘ্রই একটা যুদ্ধ “ওয়ার অফ লাইটস” শুরু হতে যাচ্ছে । তাই তারা হ্যাল জর্ডানের পুরানো একটা ব্যাটারিকে নতুন একটা পাওয়ার দিয়ে হারনেস করে – আকাশী বা ব্লু স্পেকট্রাম , হোপ বা আশা । প্রথম ব্লু ল্যান্টারন রিং এর সাকসেসর হিসেবে বাছাই করে সেইন্ট ওয়াকারকে । সে তারপর সম্পূর্ণ একটা কোর গঠন করে আর রেড ল্যান্টারনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হ্যাল জরডান, গাই গার্ডনার আর কিলাওয়াগকে সাহায্য করে । ব্লু এনার্জি গ্রিন এনার্জির সাথে মিললে উইলপাওয়ার আর হোপ মিলে একটা মহা শক্তিশালী পাওয়ার বুস্ট তৈরি করে যার সামনে অন্য কোন ল্যান্টারন কোর দাড়াতেই পারে না । এদের শপথ –
In fearful day, in raging night,
With strong hearts full, our souls ignite.
When all seems lost in the War of Light,
Look to the stars, for hope burns bright!



“ভায়োলেট ল্যান্টারন / লাভ ল্যান্টারন / স্টার সাফায়ার” এরা সবাই নারী । এবং এদের পাওয়ার হল ভালোবাসা । তবে সমস্যা হল এরা ‘প্রেমে অন্ধ’ । এরা ভালবাসার ক্ষমতায় এতটাই মোহগ্রস্থ যে ন্যায় অন্যায় এর বোধ গুলিয়ে ফেলে । এবং এরা প্রচন্ড রকম নারীবাদী । তাদের গোপন এবং মূল উদ্দেশ্য হল সমগ্র ইউনিভার্সের পুরুষদের লাভ হিপনোটাইজ করে তাদের গোপন জায়গায় অনতকালের জন্য অন্তরীন করে রাখা – যেটা এক ধরনের হাইবারনেশন । এবং বন্দী পুরুষের মাইন্ড তখন কাল্পনিক এক ভালোবাসার জগতে আটকে থাকে ।এভাবে ইউনিভার্সের সকল পুরুষকে অন্ত্রীন করতে পারলেই ইউনিভার্স থেকে যুদ্ধ দূর করা যাবে বলে তাদের বিশ্বাস । স্টার স্যাফায়ার নামে পরিচিত এই কোরের কালার স্পেকট্রাম হল ভায়োলেট। গ্রিন ল্যানটারন হ্যাল জর্ডানের গার্লফ্রেন্ড ও পৃথিবীতে তার বস – ফেরিস এয়ারক্রাফটের সিইও ক্যারল ফেরিস একজন স্টার স্যাফায়ার ।শপথ –
For hearts long lost and full of fright,
For those alone in Blackest Night.
Accept our ring and join our fight,
Love conquers all with violet light!


“অরেঞ্জ ল্যানটারন কোর”অরেঞ্জ পাওয়ার হল লোভ বা অ্যাভারাইস । এই কোরের অনেক গুলা রিং থাকলেও মেম্বার গার্ডিয়ান সব মিলিয়ে সদস্য একজন – লারফলীজ, তার আরেক নাম এজেন্ট অরেঞ্জ । এই কোরের ল্যান্টারন রা এত্ত লোভী হয়ে যায় যে নিজের কোরের অন্য মেম্বারদের কে মেরে হলেও তারা আরো বেশি রিং আর পাওয়ার চায় – এভাবেই এজেন্ট অরেঞ্জ একা টিকে থাকে সব ব্যাটারি আর রিং নিয়ে । তবে সে যাদের খুন করেছে তাদের সবার অ্যাভাটার তৈরি হয় যেটা যে কোন লড়াইয়ের সময় এজেন্ট অরেঞ্জ এর কন্ট্রোলে কাজ করে ফলে লড়াইয়ের সময় লারফলীজ পুরো একটা কোরই পায় । এজেন্ট অরেঞ্জ এর শপথ খানাও তাই আলাদা ধরণের --
What's mine is mine and mine and mine.
And mine and mine and mine!Not yours!



“ইন্ডিগো ট্রাইব”এটা এক রহস্যময় ট্রাইব । অন্যান্য ল্যান্টারন কোরের রিং প্রায় সকল মহাজাগতিক ভাষা অনুবাদ করতে পারলেও ইন্ডিগো ট্রাইবের ভাষা অনুবাদ করতে পারে না । যদিও এই ট্রাইবের সদস্যরা অন্যদের ভাষা বুঝে । এদের সম্পর্কে শুধু এতটুকুই জানা যায় যে এদের পাওয়ার হল কম্প্যাশন বা সহানুভূতি । এরা গ্রিন ল্যান্টারনদের সাহায্য করে মাঝে মাঝে – ব্লু ল্যান্টারনদের সাথে সম্পর্ক ভাল । ধারণা করা হয় এদের পাওয়ার দিয়ে যায় আবিন সুর – যে কিনা হ্যাল জর্ডানের আগে সেই রিং এর মালিক ছিল; কেননা এদের শপথে আবিন সুর এর নাম পাওয়া যায় । এদের শপথও দুর্বোধ্য –
Tor lorek san, bor nakka mur
Natromo faan tornek wot ur.
Ter Lantern ker lo Abin Sur,
Taan lek lek nok--Formorrow Sur




>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>ব্ল্যাক ল্যান্টারন ঃ দ্য ব্ল্যাকেস্ট নাইট


স্পেস সেক্টর ৬৬৬ এখন হল ফরবিডেন বা নিষিদ্ধ সেক্টর । সেখানে এক ডার্ক এনটিটি নেক্রন তৈরি করে এক বিশাল সেন্ট্রাল পাওয়ার ব্যটারি । রঙ কালো, পাওয়ার হল – ডেথ বা মৃত্যু । পৃথিবীর মৃত এক সাইকো – উইলিয়াম হ্যান্ড কে জোম্বি হিসেবে উত্থিত করে নেক্রন । তবে এই জোম্বি মানে বোধ বুদ্ধি হীন জোম্বি না – বরং সম্পূর্ণ মানুষটাই আছে – তার চিন্তা চেতনা, স্মৃতি – সব , শুধু সব থাকার পরেও সে মৃত! উইলিয়াম হ্যান্ড এবার ব্ল্যাক ল্যান্টারন কোরের কাজ শুরু করে – পুরো ইউনিভার্স জুড়ে ছড়িয়ে দেয়া হয় ব্ল্যাক রিং । এরা জোম্বি হিসেবে তুলে আনতে থাকে সব মৃত সুপার হিরো আর সুপার ভিলেইনদের । তারা আবার খুন করে বেচে থাকতে তাদের যারা বন্ধু / সঙ্গী ছিল তাদের – এভাবেই আস্তে আস্তে মৃত মানুষ আর এলিয়েনের দল ব্ল্যাক ল্যান্টারন কোর বাড়তে থাকে । তাদের শপথ থাকে -
The Blackest Night falls from the skies,
The darkness grows as all light dies,
We crave your hearts and your demise,
By my black hand, the dead shall rise!


গ্রিন ল্যান্টারন প্রথম প্রতিরোধ করে । কিন্তু তারা ব্যর্থ হয় । অপারেশনে মারা যায় পৃথিবীর গ্রিন ল্যান্টারন কাইল রাইনার – পরিণত হয় ব্ল্যাক ল্যান্টারনে – এবং আক্রমন করে নিজ বন্ধুদের ।নেক্রন আর হ্যান্ড এর ভাষ্যমতে তারা ইউনিভার্সে শান্তি আনবে – আর সত্যিকারের শান্তি হল মৃত্যু ! তাদের থামাতে বাকি সকল ল্যান্টারন কোর নিজেদের বিভেদ ভুলে এক হয় । এবং নিজেদের পাওয়ার রিং এর সেটিং খুব ইজি করে ছড়িয়ে দেয় ইউনিভার্সে – যেন আরো বেশি ল্যান্টারন রিক্রুট পাওয়া যায় । এভাবে তৈরি হয় “ডেপুটি ল্যান্টারন” দের – বিভিন্ন সুপার হিরো বিভিন্ন কালার স্পেকট্রামের রিং পায় এবং নিজেদের পাওয়ারের সাথে এক্সট্রা রিং পাওয়ার যোগ করে ব্ল্যাক ল্যান্টারনদের মুখোমুখি হয় । এদের ভিতর উল্লেখযোগ্য হল –

ফ্ল্যাশ ( ব্যারি এলেন ) – ব্লু ল্যান্টারন
সুপারম্যান ( ক্লার্ক কেন্ট / কাল এল ) – ব্লু ল্যান্টারন
লেক্স লুথার ( সুপারম্যানের মেইন ভিলেইন ) – অরেঞ্জ ল্যান্টারন
ওয়ান্ডার উওম্যান ( ডায়ানা ) – স্টার স্যাফায়ার
সুপার বয় ( কনর কেন্ট ) – রেড ল্যান্টারন
স্কেয়ার ক্রো ( ব্যাটম্যান ভিলেইন, ডক্টর ক্রেইন ) – সিনেস্ট্রো কোর
কুইন মীরা ( অ্যাকুয়াম্যানের বউ ) – রেড ল্যান্টারন


অন্যদিকে তাদের সাথে লড়াই করার জন্য ব্ল্যাক ল্যান্টারন হিসেবে রিভাইব করে অনেক সুপার হিরো যারা আগে মারা গেছে বা এই ক্রাইসিসেই ব্ল্যাক ল্যান্টারনদের হাতে মারা গেছে । এদের ভিতর থাকে –
গ্রিন অ্যারো – ( অলিভার কুইন )
অ্যাকুয়াম্যান ( আরথার কারি )
সুপারম্যান ( জর এল – কাল এল এর বাপ )
মারশিয়ান ম্যানহান্টার ( জ’ন জ’নস )
অ্যাকুয়াল্যাড ( ক্যালডর আহম )
রিভার্স ফ্ল্যাশ – জুম ( ইয়োবারড থন )
ব্যাটম্যান ( ব্রুস ওয়েইন )

এক কথায় বলা যায় – ব্ল্যাকেস্ট নাইট ক্রাইসিসে ডিসি কমিক্স এর প্রায় সকল সুপার হিরোকে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় । এছাড়া আরো অনেক হিরো ও ভিলেইন ল্যান্টারন পাওয়ার ছাড়াই লড়াই করতে থাকে । যেমন ব্যাটম্যান ( ডিক গ্রেসন – প্রথম রবিন ও নাইটউইং ) ও রবিন ( ডেমিয়েন ওয়েইন, ব্রুস ওয়েইনের ছেলে ) কোন ল্যান্টারন পাওয়ার ছাড়াই নিজেদের শহর গথামকে মুক্ত রাখে । পুরো ইউনিভার্সে একমাত্র গথামই কোন ল্যান্টারন ছাড়া লড়াই করে এই মহাজাগতিক জোম্বিদের বিরুদ্ধে । অন্যদিকে সাধারণ ল্যান্টারন মেম্বারদের অনেকেই ডাবল রিং পায় । যেমন গাই গারডনার একজন গ্রিন ল্যান্টারন হয়েও বন্ধু কাইল রাইনারের মৃত্যুতে অনেক রেগে থাকে বলে তাকে আরেকটা রেড ল্যান্টারন রিং ও বাছাই করে । হ্যাল জরডান পায় আরেকটা ব্লু ল্যান্টারন রিং । ফলে হ্যাল জরডান পাওয়ার বুস্ট পেলেও গাই গার্ডনার দুই পরস্পর বিরোধী পাওয়ার কন্ট্রোল করতে না পেরে মারা যায় এবং ব্ল্যাক ল্যান্টারন হিসেবে রিভাইব করে । সেক্টর ৬৬৬ এ নেক্রন এবার ডিসি ইউনিভার্সের সবচে ক্ষমতাশালী ভিলেইনদের একজন – এন্টি মনিটর কে ব্ল্যাক ল্যান্টারন হিসেবে রিভাইব করায় । এতে করে ব্ল্যাক রিং এর পাওয়ার এত বেড়ে যায় যে এরা এবার জীবিত মানুষদের কেই পজেজ / কব্জা করতে শুরু করে । এভাবে আরো অনেক হিরো মারা যায় তথা বেচে থেকেই ব্ল্যাক ল্যান্টারনে পরিণত হয় ।


গারডিয়ান গেনথেট, হ্যাল জরডান, সিনেস্ট্রো, সেইন্ট ওয়াকার, অ্যাট্রোসিটাস সহ সব ল্যান্টারন কোরের লিডার রা সেক্টর ৬৬৬ এ হাজির হয় ব্ল্যাক ল্যান্টারন ব্যাটারিতে এমবুশ করার জন্য । কিন্তু তাদের মিলিত আক্রমণ ব্যর্থ হয় । ব্ল্যাক ল্যান্টারন রা সমগ্র ইউনিভার্স থেকে জড়ো হতে থাকে পৃথিবীতে । এমনকি গথাম সিটিও এবার আর আক্রান্ত না হয়ে পারে না । এবার গারডিয়ানরা প্রকাশ করে লক্ষ কোটি বছর ধরে লুকিয়ে রাখা তাদের আরেক সিক্রেট – মহাবিশ্বে প্রথম লাইফ এনটিটি বা জীবনের উদ্ভব হয়েছিল পৃথিবীতে । পরে বিভিন্ন কালার স্পেকট্রাম হয়ে এটা ছড়িয়ে পড়ে সুদূর মহাকাশে । পৃথিবী গ্রহের সেন্ট্রাল কোর ( CORE – কেন্দ্র ) ধারণ করে আছে সেই আদি ও মূল “জীবন” – ব্ল্যাক ল্যান্টারনরা যদি একে ধংস করতে পারে তাহলে ইউনিভার্স থেকে “জীবন” মুছে যাবে চিরতরে! এবার সকল ল্যান্টারন কোর তাদের সেন্ট্রাল ব্যাটারিগুলোকে একত্রিত করে । গারডিয়ানরা সেই নয়টি ইমোশোনাল স্পেকট্রাম একত্রিত করে তৈরি করে সাদা আলোর এনার্জি – হোয়াইট ল্যান্টারন কোর – যার ক্ষমতার উৎস জীবন!!



প্রথম হোয়াইট ল্যান্টারন হিসেবে পুনজ্জীবীত হয় কাইল রাইনার । এরপর একে একে অন্য হিরো আর ভিলেইন রা । শেষে নেক্রন আর তার সেন্ট্রাল ব্যটারিকে চিরতরে ধ্বংস করে দ্যা হয় । শেষ হয় ব্ল্যাকেস্ট নাইট, শুরু হয় ব্রাইটেস্ট ডে......


IN BRIGHTEST DAY,THERE WILL BE LIGHT
TO CLEANSE THE SOUL AND SET WRONG RIGHT
WHEN DARKNESS FALLS LOOK TO THE SKIES
A NEW DAWN COMES LET THERE BE LIGHT!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×