somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি A+ আমি জীবিত!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মার্কিন সেনাবাহিনী গঠিত হয়েছিল ১৪ জুন ১৭৭৫। এদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রয়োজনীয়
লোকবল ও সামর্থ্য সহযোগে জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কৌশলাদি প্রয়োগ করা। মার্কিন
সেনাবাহিনী ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ দি আর্মির আওতাভুক্ত একটি সামরিক শাখা। একই সাথে এটি ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স বা মার্কিন প্রতিরক্ষা অধিদপ্তরের অধীন তিনটি সামরিক বিভাগের একটি। এই সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে আছেন সেক্রেটারি অফ দি আর্মি (সেনা সচিব), এবং সেনাপ্রধান বা চিফ অফ স্টাফ অফ দি আর্মি হচ্ছেন এই বাহিনীর সর্বোচ্চ পদমর্যাদাধারী ব্যক্তি। ২০০৯ অর্থবছরের এক প্রতিবেদন অনুসারে এই বাহিনীতে তৎকালীন কর্মরত সদস্য সংখ্যা ৫,৪৯,০১৫ জন, আর্মি ন্যাশনাল গার্ডে কর্মরত সদস্য সংখ্যা ৩,৫৮,৩৯১ জন, এবং সংরক্ষিত সদস্য সংখ্যা ২,০৫,২৯৭ জন। সব মিলিয়ে এই বাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ১১,১২,৭০৩ জন।


failure is the key to success! এই বাক্যটাকে এই বাহিনী চরম ভাবে মানে। অর্থাৎ, যারা ফেইল করে তারপর পাশ করেছে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এই বাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রে। বর্তমানে আমেরিকান সেনাবাহিনী প্রথম অবস্থানে আছে। বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৩৯ শতাংশ খরচ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গোটা বিশ্ব খরচ করে ১,৭৫৩ বিলিয়ন ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্র খরচ করে ৬৮২ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর 'পেন্টাগন. বিশ্বের সবচেয়ে বড় অফিস ভবন।

ফেইল করা ছাত্রের পিছনে এতো টাকা ব্যয় করা পাগল বোধ হয় এরাই। পাগল বলছি কেন! কারণ আমাদের দেশে তো এ প্লাস না পেলে তার ছাত্রত্বের কোন মূল্য নেই। সেখানে ফেইল করা অনেক পরের ব্যপার। তাহলে তো মার্কিনরা পাগলই তাই না!

আজ PEC এবং JSC রেজাল্ট দেখেছি বসে বসে। অনেক এ প্লাস। ফেইল দেখেনি। অবশ্য তার কোন প্রয়োজন পরেনা। এ প্লাস নেই মানে সে ফেইল। দেখেছি বাবা মায়ের খুশি হওয়া, আবার মন খারাপ করে দোকান থেকে চলে যাওয়া। যে ছাত্রটি আজ ফাইভ এ এ প্লাস পেলোনা সে কি কোন ভাবে দেশের কোন কাজে আসবেনা? এমনও হতে পারে সে ভবিষ্যতের সব চেয়ে ভালো বিজ্ঞানী। সে সব চেয়ে ভালো ক্রিকেট প্লেয়ার। সব চেয়ে ভালো ব্যবসায়ী। সব চেয়ে ভালো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। সব চেয়ে ভালো উপস্থাপক। সব চেয়ে ভালো গায়ক। সব চেয়ে ভালো বাইক চালক।

কিন্তু না! তাকে যে এ প্লাস পেতে হবে! তার বাবা যে ১৫ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করে। তাকে বড় হয়ে ডাক্তার হতে হবে। তাকে ইঞ্জিনিয়ারই হতে হবে। তাকে বিসিএস ক্যাডারই হতে হবে। কিন্তু কিভাবে হবে সে তো ফাইভ এই এ প্লাস পাইনি। সে তো জেএসতি তে অল্পের জন্য এ প্লাস পাইনি। না না এ ছেলে দিয়ে হবেনা। এ মেয়ের পড়াশোনা আর বেশিদূর না করাই ভালো।


তার মানে আমরা নিজেরাই নিজেদের দেশের কয়েক লাখ বোঝা ঘাড়ে করে বয়ে বেড়াচ্ছি। তারা তো এ প্লাস পাইনি। তারা জানে তারা জীবনে কিছুই করতে পারবেনা। তার মানে কি! সে দেশের জন্য বোঝা। অথচ মার্কিনরা জানে failure is the key to success. যারা হেরে গিয়েছে তারা শিখেছে কিভাবে জিততে হয়। তারা জানে যুদ্ধে জিততে হলে আগে জীবন যুদ্ধে জিততে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে failure মানে সে মারা গেছে। তাকে মাটিতে পুঁতে ফেলো। আগুনে পুড়িয়ে মেরে দাও। মানুষ ডাক্তার হওয়ার জন্য শুধু পৃথিবীতে জন্ম নেই না। যত দিন না এ কথাটা এ সমাজ বুঝবে ততদিন এ সমাজের পক্ষে বোঝাকে শক্তি বানানো সম্ভব না।

পড়াশোনা এমন একটা জায়গায় পৌছেছে, তুমি যদি চাকরি পেতে চাও তবে পড়ো। তুমি যদি বিয়ে করে সংসার করতে চাও তবে পড়ো। না হলে তুমি মৃত। জাপানে O লেভেল পর্যন্ত কোন রোল নং নেই। ক্লাসের সবাই সমান। আমাদের দুধের বাচ্চার রোল নং আছে। সে জানে রোল এক না হলে তার মা তাকে মারবে। তার মা জানেনা এই ছেলে বড় হয়ে বই লিখতেও পারে। সে জানে পাশের বাসার ভাবীর কাছে গল্প করতে হবে "আমার ছেলে প্রথম হয়েছে" আরেকবার ভেবে দেখুন তো আমরা কি সোজা পথে চলছি নাকি উল্টো। এ প্লাস কি বাঁচা মরার মান দন্ড!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×