somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাধারন মানুষের তুলনায় ধনীদের দৃষ্টিভঙ্গির যে পার্থক্য..

০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কিছু না কিছু তো অবশ্যই থাকে যা সাধারণ মানুষ থেকে পৃথক করে দেয় ধনী মানুষদের। ধনীরা বহু বিষয় সাধারণ মানুষ থেকে ভিন্নভাবে দেখে। এখানে সাধারন মানুষ বলতে আপনি মধ্যবিত্ত লেভেল পর্যন্ত যেতে পারেন ! আর এসব বিষয় ভিন্নভাবে দেখার কারণেই তাদের অনেকে হয়ে ওঠে ধনী। বলতে পারেন ধনী থেকে আরো ধনী !! সেসবের খুঁটিনাটি কিছুই এখানে বলছি,

স্বার্থপরতা একটা মহৎ গুণঃ বহু মানুষ স্বার্থপরতাকে একটা বদগুণ বলে মনে করলেও ধনীরা সে বিষয়টাতে কোনো দোষ পায় না। তারা নিজেদের সুখী হিসেবেই দেখতে চায় এবং বিশ্বকে রক্ষার কোনো উদ্দেশ্য তাদের থাকে না। এই কারণে মধ্যবিত্তরা স্বার্থপরতাকে বদগুণ বলে মনে করলেও ধনীরা মহৎ গুণ হিসেবেই বিবেচনা করে। B-)

ধনীদের আগ্রাসী মনোভাব থাকেঃ সাধারণ বহু মানুষের মানসিকতা লটারির ওপর নির্ভর করে। তবে ধনীরা কখনোই এর সঙ্গে একমত হয় না। তারা তার বদলে নিজের পরিশ্রমের উপরেই নির্ভরশীল।

নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানার্জনে বিশ্বাস করে তারাঃ বেশিরভাগ মানুষই যেখানে বিশ্বাস করে প্রাতিষ্ঠানিক সাধারণ শিক্ষা তাদের উন্নতি ঘটায়। কিন্তু বহু ধনী ব্যক্তিই এসব প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকে। তারা তাদের নির্দিষ্ট বিষয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী থাকে।

টাকা-পয়সার বিষয় যুক্তির সঙ্গে দেখেঃ বেশিরভাগ মানুষ টাকা-পয়সার বিষয়টা দেখে আবেগের সাথে। কিন্তু সফল ও ধনী মানুষ এসব দিক দেখে যুক্তির সাথে।

নিজের আগ্রহের বিষয়ে কাজ করে তারাঃ বহু মানুষই নিজের জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কাজ করে। কিন্তু ধনী মানুষ এসব অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কাজ করে না। তারা নিজের আগ্রহের বিষয় বের করে শুধু তাই নিয়েই মেতে থাকে এবং সফলতা পায়।

তারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেঃ সাধারণ মানুষ যেখানে কম মাত্রায় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এবং সে অনুযায়ী জীবনধারণ করে। মনোবিদরাও এই বিষয়টা সমর্থন করে। এতে মানুষের হতাশা কম হয়। কিন্তু ধনীরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তারা বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এবং তাতে বিজয়ী হবার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করে।

ধনীরা অন্যদের অর্থ ব্যবহার করেঃ বেশিরভাগ সাধারণ মানুষই বিশ্বাস করে, আপনার কিছু টাকা থাকতে হবে টাকা বানানোর জন্য। তবে ধনীরা এই ধারণায় বিশ্বাসী না। তাদের নিজেদের পকেটে টাকা না থাকলেও তারা অন্য মানুষের টাকা ব্যবহার করে ধনী হতে পিছপা হয় না।

সন্তানকে ধনী হওয়া কৌশল শেখায়ঃ বেশিরভাগ মানুষ তাদের সন্তানকে শিক্ষা দেয়, কিভাবে টিকে থাকতে হয়। কিন্তু ধনী মা-বাবা তাদের সন্তানকে শেখায় কিভাবে আরো ধন-সম্পদ অর্জন করা যায়।

ধন সম্পদের কারণে বিচলিত হয় না তারাঃ সাধারণ মানুষ যেখানে অর্থবিত্তের মাঝে পড়লে মানসিক চাপের মধ্যে পড়ে সেখানে ধনীরা মোটেও তা হয় না। তারা মানসিকভাবে শান্ত থাকে এবং আরো অর্থ উপার্জনের চিন্তা করে।

তারা আশপাশে প্রিয় মানুষদের রাখেঃ বেশিরভাগ সাধারণ মানুষই মনে করে, ধনীরা নিচুদের অবজ্ঞার চোখে দেখে। কিন্তু বাস্তবে সবক্ষেত্রে তা হয় না। বেশিরভাগ সময় ধনী মানুষ আশপাশে তাদের প্রিয় মানুষদের রাখে। অন্য সবধরনের মানুষকেই তারা কিছুটা দূরে রাখে।

ধনীরা জানে কখন ঝুঁকি নিতে হবেঃ সাধারণ মানুষ অর্থ নিয়ে নিরাপদ থাকতে পছন্দ করে। কিন্তু ধনীরা এ বিষয়টাতে অনেক দক্ষ হয়। তারা জানে কখন অর্থ নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করতে হয়।

অনিশ্চয়তায় আনন্দ পায়ঃ বেশিরভাগ সাধারণ মানুষই নিশ্চয়তাপূর্ণ জীবনে স্বাচ্ছন্দবোধ করে। কিন্তু ধনীরা অনিশ্চয়তার মধ্যেও আনন্দ খুঁজে পায়। তারা ঝুঁকি নেয় এবং তা থেকে লাভ তুলে নেওয়ার মাঝে আনন্দ পায়।

তারা বিশ্বাস করে, সবকিছু থাকা সম্ভবঃ সাধারণ মানুষ সব সময়ই বিশ্বাস করে, তাদের বিভিন্ন অপশন থেকে একটা করে বেছে নিতে হবে। কিন্তু ধনীরা এই ধারার বাইরে। তাদের মাথায় থাকে, তার পক্ষে সবকিছুই অর্জন করা সম্ভব।


আপনি কি আরো কিছু ভাবছেন ?! তো আমাকে কমেন্টে জানিয়ে দিন। আপনার মূল্যবান অর্থপূর্ণ ধারনা এই পোষ্টে আপডেট করে দেয়া হবে।



সূত্রঃ ঘাঁটাঘাটি, অনলাইন, অফলাইন
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×