>প্রতি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসে কতজনে মঞ্চে দাঁড়িয়ে নারী নির্যাতন এর বিরুদ্ধে প্রত্যয়ী হয় আর কিছুক্ষন পরেই ঘরে এসে তাদের কারো না কারো দ্বারা কোন নারী নির্যাতিত হয়।। যুগে যুগে নারী নির্যাতিত হয়ে এসেছে শুধু দিনে দিনে তার রঙ পাল্টিয়েছে...! নারীর প্রতি সহিংসতা একটা ভয়াবহ ব্যাধির নাম! এ শুধু মুখে মুখে এসব দিবস পালন করলেই হবে না সবচেয়ে জরুরী যেটা তা হলো-আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে! সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে! নারী কি শুধু পুরুষ দ্বারাই নির্যাতিত হয়? উহু না! নারী- নারী দ্বারাও নির্যাতিত হচ্ছে প্রতিমুহূর্তে তবে সেটা তুলনামূলক ভাবে কম!
> নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি বৈষম্য এখনো কমেনি! একটা শিশু ও নারী যে পরিবার থেকেই বেশি নির্যাতিত হয় সেটা স্বীকার করে কয়জন? সেটার প্রতিকার হয় কয়টা কেউ বলতে পারেন? নারীর প্রতি পারিবারিক নির্যাতনের বহুকাহিনী চাপা পড়ে যায়, অনেকেই লজ্জায় তা প্রকাশ করে না, কত সংসারে শুধু সংসার টিকিয়ে রাখতে নারী কত নির্যাতন সহ্য করে যায় তার হিসেব আমরা কেউ রাখি না!
>কত রঙ্গে কত ঢঙ্গে ঘরে-বাইরে নারী নির্যাতিত হয়ে আসছে! দিন দিন আমরা তা দেখছি আর অবাক হচ্ছি! আজ ও এদেশ থেকে এসিড সন্ত্রাস/ যৌতুক/ বাল্যবিবাহ/ যৌন হয়রানীর মত ঘটনা গুলি কমেনি বরং গণধর্ষণ নামক নির্যাতন যুক্ত হয়েছে! নারী নির্যাতন রোধে নারীরাই প্রধান ভুমিকা রাখতে পারে এই বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকবার বিতর্কের মঞ্চে দাঁড়িয়েছি পক্ষে বিপক্ষে কত যুক্তি দেখিয়েছি, দেখেছি কিন্তু নারী নির্যাতন কমেনি!
>>আমি বলি কি এসব দিবস এর দরকার নেই, মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রত্যয়ী হওয়ার দরকার নেই আসুন দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাই, আসুন নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতনতা সৃষ্টি করি, আসুন নিজ পরিবারের নারী/ শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠা করি তাদের নিরাপত্তা দেই, তাদের নির্যাতিত হওয়া থেকে রক্ষা করি ... হয়ত একদিন পরিবার থেকে সমাজ থেকে রাষ্ট্র থেকে নারী নির্যাতন শব্দটা উঠে যাবে...