রুয়েট বন্ধ হইলেই নিজের মধ্যে বালক ফটিকচন্দ্রভাব প্রকট হইয়া উঠে। অভাবের কারণে ল্যাব চলাকালীন সময়েও এমন ভাবের উপসর্গ মাঝে মাঝে দেখা যায় বটে!
যাই হোক, মনের অচিন্তা কুচিন্তা বাদ দিয়া এই প্রবলেমের সুষ্ঠু সমাধানের উদ্দেশে এবারে পদ্মা নামক খালের পাড়ের নগরী রাজশাহীতেই রয়ে গেলাম।
চিল্লায় যামু কিনা বুঝতে পারতেসি না।
তাবলীগ ভাইয়েরা আজকাল আমার রুমের বাইরের পাপুশেও পা রাখিতেও তেমন আগ্রহ প্রকাশ করেন নাহ!
আহা, ধর্ম নিয়া কতদিন কারো সাথে কোন বাকবিতণ্ডা হইলো নাহ। নিজেরে আজকাল বড় সাধু সাধু মনে হয়।
আহা! একটা আশ্রম দেওয়ার কত খায়েশ আসিলো। আশ্রম খোলার জন্য কোন সহৃদয়বান মুমিনবান্দা যদি কিসু টেকাপয়সা আমার দানবাক্সে দান করিত তাহলে আজকে দুপুরে বৈশাখী হোটেলে চিকেন বিরানি খাইয়া গোল্ড লিফ টানিতে টানিতে ভদ্রায় চইলা আসতে পারতাম।
কিন্তু এটা বড়ই পরিতাপের বিষয় যে আমি জানি না যে কোন মেরুতে এমন মহৎপ্রাণের দেখা পাইব, যিনি এই মহৎ উদ্যোগে কিছুটা বলপ্রয়োগ করিতে এতটুকুও ক্লান্তবোধ করবেন নাহ। কি আর করুম। আজকের দিনটা অনাহারের মধ্যে দিয়া পাড় করিয়া দিতে হইবে!
আজি আজকের এই মাহফিলে
আমি আমার ইবলিশ ভাইদের বলে যেতে চাই,
"হে বালক। তুমি ধর্ম নয়, কর্ম নিয়া বারবারি করো।
আর ধর্মে এ+ পাইয়াও কোন লাভ হইবে না,
যদি গণিতে বিজ্ঞানে খাও ধরা।
গণিতে প্লাস না থাকিলে প্রকৌশলে চান্স নাই,
ওজুতে ভুল থাকিলে নামাজের কবুল নাই।"
পালাবার আগে সবার জন্য আমার একটাই প্রশ্নঃ
নিম্নের কোনজন ধার্মিক আর কোনজন ধর্মবণিক?
ক- বাবা গণিতে অজ্ঞ গনিতজ্ঞ উরফে ইউক্লিড রনি
খ- আরামবাগের পীর বাবা দেওয়ানবাগ শরিফ
- ইউক্লিড, যন্ত্রকৌশল বিভাগ, রুয়েট।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



