আহা!
দেশবাসী যখন পদ্মা সেতুর জন্য মোনাজাতে বেস্ত, চলুন আমরা একবার পদ্মাপার থেকে ঘুরে আসি আর বাস্তবতার আঁখি ইন্সটল করে পদ্মা সেতুর যৌক্তিকতা কিছু চিন্তাভাবনা করি আরকি!
আচ্ছা, পদ্মা সেতু আর বিশ্ব ব্যাঙ্কের ব্রেকআপের কিচ্ছা বলতে বলতে যারা হটাত খেয়াল করেন যে বিড়ির অর্ধেকই শেষ কিংবা চায়ের পেয়ালাখানি শীতল তাদের বলি ,"ভাই, সেতু নিয়া এতো লাফাইয়েন না। আগে নদী, তারপরে সেতু। পদ্মাই যদি না থাকে তবে কিসের পদ্মা সেতু!
পদ্মা নদী সম্পর্কে আসলে আপনি কতটুকু জানেন?"
যদি আপনার উত্তর হয় এমন-
"ভাই তেমন কিছু জানিনা। হুদাই ফাপর লই আরকি!"
তবে আমার এই ব্লগটি আপনারই জন্য উৎসর্গকৃত।
পদ্মা বাংলাদেশের একটি প্রধান নদী। এটি হিমালয়ে উৎপন্ন গঙ্গানদীর প্রধান শাখা এবং বাংলাদেশের ২য় দীর্ঘতম নদী। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর রাজশাহী এই পদ্মার উত্তর তীরে অবস্থিত। পদ্মার সর্বোচ্চ গভীরতা ১,৫৭১ ফুট(৪৭৯ মিটার) এবং গড় গভীরতা ৯৬৮ফুট(২৯৫ মিটার)।
রাজা রাজবল্লভের কীর্তি পদ্মার ভাঙ্গনের মুখে পড়ে ধ্বংস হয় বলে পদ্মার আরেক নাম কীর্তিনাশা ।
আগের কলামে যেই পদ্মা নদীর বর্ণনা দিলাম তা বিসিএস পরীক্ষার জন্য সহায়ক, হলেও বাস্তবতা ভিন্ন জিনিস।
উপরের ছবিতে যে জলাশয় দেখছেন তাহা রাজশাহী নগরীর কিনারার পদ্মা নদীর প্রতিচ্ছবি!
আসুন আমরা আরেকটা ছবি পর্যালোচনা করি।
তবে দৌলতপুরের মৎস্যজীবীরা পদ্মার চরে বাদাম চাষ করে উপকৃত হয়েছেন তা আমি লোক মারফতে জানতে পেরেছি।
এখন অনেকেই হয়ত বলবেন, রাজশাহীর দিকের পদ্মা শুকিয়ে গেছে, কিন্তু অন্যদিকে তার যৌবন থইথই! হয়তবা এক দশক আগে এই জায়গাগুলোই ছিল খরস্রোতা পদ্মার তলদেশ, তবে এখন যেখানে জলস্রোত, কাল সেখানে বালুচর, অসম্ভব কি?
১৯৯৬ সাল থেকে পদ্মা সেতুর বলতে বলতে সরকারের মুখের এখনকার এই সেতুর বুলি রূপকথার কল্পনাকেও লজ্জায় ফেলতে যথেষ্ট। ১৯৯৬ থেকে ২০১২, কেটে গেছে ১৭টি বছর। আমরা যেখানে ১৭টি বছর অপেক্ষা করেছি, হয়ত আরেক দশক ধৈর্য ধরতে পারলে হয়ত কয়েকখানা বাঁশের সেতুই পারবে আমাদের বর্তমানের এই অতিসমস্যার সমাধান করতে।
চিন্তা করুন, বাঁশের সাঁকোয় পদ্মা পার হবেন বাংলাদেশের কোন এক শেখ বংশের প্রধানমন্ত্রী। আর ফিতা নিয়ে দাড়িয়ে আছেন কোন এক আবুল অর্থমন্ত্রী! প্রধানমন্ত্রী ফিতা কাটলেন আর এক পা বাড়িয়ে দিলেন পদ্মা-সাঁকোর উদ্দেশে। সাঁকো আকুতি বিকুতি করছে, জনগণের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু মন্ত্রীরা অপারগ, পদ্মা তো তারা পাড়ি দিবেনই। চারিদিকে পিনপতন নীরবতা। কি হয়! কি হয়!
☻ ডটার অফ পিস থুক্কু প্রধানমন্ত্রী কি পারবেন পুলসেরাত পাড়ি দিতে?
☻ পদ্মা-সাঁকো কি পারবে মন্ত্রীদের লোড বহন করতে?
☻ আবুল কি পারবে নিজেকে মাল প্রমাণ করতে?
সিনেমার বাকি অংশ দেখতে আপনাদের হয়ত আরও এক দশক সময় লাগতে পারে। তবে আমি ইউক্লিড, পদ্মা-সাঁকো নিয়ে খুবই আশাবাদী। আমি ইতোমধ্যে তার ডিজাইন করে ফেলসি। দেশের জন্য এতোটুকুতো আমি করতেই পারি নাকি!
মহানবাবা ইউক্লিডের বানীগুলো উদ্ভট মনে হলেও, কে জানে কুড়ি বছর পর তা বাস্তব হলেও হতেও পারে। জাস্ট ইমাজিন!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



