somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমস্যা জর্জরিত মানুষ নিয়ে মন্ত্রীরা পরিহাস করছেন

১২ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শেষের বছরগুলোতে কলকাতা ও আশপাশের শিল্পাঞ্চলগুলোর অর্থনৈতিক অবস্খা শোচনীয় ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধকল এবং পঞ্চাশের মন্বন্তরে শুধু শ্রমজীবীই নয়, মধ্যবিত্তেরও যৎসামান্য সঞ্চয় নি:শেষ হয়ে গিয়েছিল। ব্রিটিশ শিল্পমালিকেরা জানতেন শিগগিরই তাদের পাততাড়ি গোটাতে হবে। এরা শ্রমিকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত করে যথাসম্ভব বেশি মুনাফা করতে ব্যস্ত ছিলেন। দেশীয় শিল্পপতিরাও সমানেই শোষণ করেছেন শ্রমিকদের। এ পরিস্খিতিতে কমিউনিস্ট ও সমভাবাপন্ন গোষ্ঠীগুলো শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়।
শ্রমজীবী মানুষের দু:খের জীবন, তাদের শোষণের কাহিনী নিয়ে বহু কবিতা ও গান রচিত হয়েছিল সে সময়। তাদের অধিকার-সচেতন করার উদ্দেশ্যে রচিত একটি কবিতার এক চরণ ছিল : ‘বয়লারে মোরা কয়লা জোগাই, আগুন জ্বালাই বিশ্বে’। ভরপেট যারা খেতে পায় না তাদের নিয়ে লেখা কবিতায় বলা হয়েছিলো : ‘কল থেকে জল হরদম খেয়ে জীবনের তরী বাই’।
বাংলাদেশের মানুষের অবস্খা এখন তার চেয়েও খারাপ মনে হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সাপের পাঁচ পা দেখিয়েছিল, বহু আকর্ষণীয় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে। সে দলের নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অকাতরে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বিলি করেছিলেন, দেশময় বহু বক্তৃতা-বিবৃতিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তার দলকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করা হলে মানুষ দশ টাকা কেজি দরে চাল পাবে, রাতারাতি বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি আর আওয়ামী লীগের ইশতেহারের ১০ শতাংশ পালিত হলেও বাংলাদেশের অবস্খা অনেক ভালো হতে পারত।
এ সরকার ক্ষমতায় এসেছিল আড়াই বছরের কয়েক দিন বেশি আগে। অর্থাৎ তাদের শাসনকালের অর্ধেক মেয়াদ এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে। বলতে গেলে কোনো নির্বাচনী ওয়াদাই তারা পূরণ করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী এখন দশ টাকা কেজির চালের প্রতিশ্রুতি বেমালুম অস্বীকার করছেন। তার বাণিজ্যমন্ত্রী লে. কর্নেল ফারুক খান এই আড়াই বছর ধরে অজস্রবার বলেছেন, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য স্খিতিশীল আছে এবং থাকবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বহুবার ব্যবসায়ী সমাজের সাথে বৈঠক করেছেন এবং মূল্য স্খিতিশীল রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিবারই দেখা গেছে, বৈঠকের পর নিত্যপণ্যের দাম এক লাফে আরো কিছু বেড়ে যায়। বারবার বাণিজ্যমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীরা ‘সিন্ডিকেট’গুলোর ওপর দোষারোপ করেছেন, কিন্তু সিন্ডিকেটগুলো কারা খুঁজে বের করার কিংবা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্খা নেয়ার সামান্যতম চেষ্টাও সরকারের দিক থেকে দেখা যায়নি।

সিন্ডিকেট কারা চালায়? তাদের পরিচয় কী?
বাংলাদেশ থেকে আসা একজন বলছিলেন, স্বনামে-বেনামে ও পারিবারিকভাবে মন্ত্রীদের অনেকেরই ব্যবসায় আছে। তথাকথিত সিন্ডিকেটগুলোর সাথে সেসব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ আছে কি না খুঁজে বের করা না হলে যখন তখন পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া ঠেকানো যাবে না। ওই ভদ্রলোক আরো বলছিলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর বিরাট একটা পারিবারিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান আছে এবং শোনা যায় গত আড়াই বছরে সে প্রতিষ্ঠানের অবস্খা হয়েছে আঙুল ফুলে তালগাছ হওয়ার মতো। সিন্ডিকেটগুলোর সাথে সে প্রতিষ্ঠানেরও কোনো যোগাযোগ আছে কি না তদন্ত না হলে সাধারণ মানুষের মনে আস্খা ফিরে আসবে না।
কিন্তু সেটা যে সম্ভব নয়, তা সবাই জানে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল যে, মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সমমর্যাদার শক্তিধর ব্যক্তিদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা হবে। আড়াই বছর সে বিষয়ে সরকারের ও প্রধানমন্ত্রীর দিক থেকে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এই আড়াই বছরে তাদের কেউ যদি মোটা অঙ্কের দুর্নীতিও করে থাকেন, তাহলেও দুর্নীতিলব্ধ অর্থ এদিক-ওদিক বিলিব্যবস্খা করা, এমনকি বিদেশে পাচার করে দেয়ার জন্যও যথেষ্ট সময় তাদের দেয়া হয়েছে। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। কিন্তু সে হিসাব কি বর্তমান সম্পদের এবং মন্ত্রী হওয়ার আগেকার সম্পদের সাথে তুলনামূলক হিসাব হবে­ সে কথা বলা হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা, মন্ত্রীরা সম্পদের হিসাব দেবেন সংসদের কাছেও নয়, প্রধানমন্ত্রীর কাছে এবং প্রধানমন্ত্রী সে হিসাব প্রকাশ করবেন না। সবার মুখে মুখে এ প্রশ্ন ঘুরছে, হিসাবগুলো যদি প্রধানমন্ত্রী তাঁর সিন্দুকে তালাবদ্ধ করে রাখেন, তাহলে জনসাধারণ কী করে জানবে মন্ত্রীরা দুর্নীতি করেছেন কি না।
রমজানের আগে আগে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন, এই পবিত্র মাসে জনসাধারণ যেসব সামগ্রী বেশি কেনে সেসব সামগ্রীর দাম যেন বাড়ানো না হয়। কিন্তু রোজা শুরু হতে না হতেই চিনি, ছোলা ইত্যাদির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাচ্ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সরকার বরাবরের মতোই নিûিক্রয়। মওজুদদারি, কালোবাজারি ইত্যাদির দায়ে এ সরকারের আমলে কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্খা নেয়া হয়েছে বলে শোনা যায়নি।
সরকারের বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের অপদস্খ করার জন্য এ আইন-সে আইনের আওতায় অহরহ মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে, কিন্তু সত্যিকারের দুর্নীতি যারা করছে, আইন ও আদালত তাদের স্পর্শও করতে পারছে না, দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের সম্বìেধ মোটেই আগ্রহী নয়। মনে হচ্ছে, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্খা নেয়ার আগ্রহ কিংবা ক্ষমতা এ সরকারের নেই।

অর্থমন্ত্রীর ভাঁড়ামি
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত গুরুত্বসহকারে কথা বলেন, না ক্লিষ্ট জনসাধারণকে আমোদিত করার চেষ্টা করেন, বোঝা কঠিন। ভালো কি খারাপ অর্থে বলতে পারব না, তবে উল্টোপাল্টা কথা বলার দরুন চায়ের বৈঠকে অনেকেই তাকে ভাঁড় বলে বর্ণনা করেন। দুয়েকটি সাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত দিলেই আবদুল মুহিতের অর্থমন্ত্রী হওয়ার অযোগ্যতা সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। খাদ্যদ্রব্যের চড়া দামের দরুন সাধারণ মানুষের যে কঠিন সঙ্কট চলছে, সে কথা যারা অস্বীকার করে লোকে তাদের উন্মাদ কিংবা গর্দভ বলছে। অর্থমন্ত্রী সঙ্কটের কথা অস্বীকার করেননি, তবে তিনি বলেছেন, লোকে যদি সপ্তাহে এক দিন বাজারে না যায় তাহলে চাহিদা কমে যাবে এবং দাম কমবে। আবুল মাল আব্দুল মুহিত হয়তো বিশ্ব অর্থনৈতিক সঙ্কট সমাধানে নিজের যোগ্যতা জাহির করার চেষ্টা করছিলেন!
বাংলাদেশের শেয়ারবাজার থেকে বহু হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে কিছুসংখ্যক দুর্বৃত্ত অর্থগৃধুí। সে অর্থের বেশির ভাগই বিদেশে পাচার হয়ে গেছে বলে সর্বসাধারণের ধারণা। অর্থমন্ত্রী নিজেই কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করলেন, সে কমিটি যথাসময়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে তাদের প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। ব্যাপকভাবে জানা গিয়েছিল যে, কমিটি গুরুতর অপরাধী কিছু ব্যক্তির নামও উল্লেখ করেছিল। মিডিয়ায় কিছু কিছু নাম ফাঁস করা হলেও অর্থমন্ত্রী সন্দেহভাজন দুষ্কৃতকারীদের নাম প্রকাশ করতে সরাসরি অস্বীকার করেন। তার একটাই গোঁয়ার্তুমি ছিল : ‘নাম বলা যাবে না।’
নিজেদের পরিবারকে কিছুটা আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য দেয়ার আশায় স্বল্পবিত্তের ৩৩ লাখ মানুষ শেয়ারবাজারে যথাসর্বস্ব লগ্নি করেছিলেন। তাদের সঞ্চয়কে এভাবে লুণ্ঠন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। সংখ্যায় এরা ৩৩ লাখ হলেও পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্তত দেড় কোটি মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছে। গত কয়েক দিনে দুটো পরস্পরবিরোধী উক্তি করেছেন অর্থমন্ত্রী। একবার বলেছেন, ‘কয়েকজন মিলে পুঁজিবাজারে কারসাজি করছে।’ কিন্তু সে কারসাজি দমনের কোনো চেষ্টা সরকার কেন করছে না সে কথা মুহিত বলেননি। সাধারণ মানুষ যদি সন্দেহ করে যে, এই কারসাজিকারীরা সরকারের পৃষ্ঠপোষক বলেই তাদের গায়ে হাত দেয়া যাচ্ছে না, তাহলে কি অন্যায় হবে? দ্বিতীয় উক্তিতে অর্থমন্ত্রী অভিযুক্ত করেছেন পুঁজি হারিয়ে যাঁরা সর্বস্বান্ত হতে চলেছেন এবং অসহায় হয়ে বিক্ষোভের পথ ধরেছেন তাদেরকে। তিনি বলেছেন, এরা লগ্নিকারী নয়, ফটকাবাজ। ভাগ্যাহত মানুষকে অপমান করা বর্তমান সরকারের বিশেষত্ব।
বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান ‘সমস্যা সমাধানের’ অদ্ভুত উপায় আবিষ্কার করেছেন। তিনি মানুষকে কম করে খেতে বলেছেন। সবাই কম করে খেলে খাদ্য সঙ্কট কিছুটাও কমবে এবং সবার দেহে ভেজালও কম ঢুকবে­ যুক্তির দিক থেকে সেটা মন্দ নয়। এরপর ফারুক খান হয়তো বলবেন বুভুক্ষায় মারা গেলে আরো ভালো হয়, কোনো সমস্যাই তাহলে থাকে না। পঞ্চাশের মন্বন্তরে নিহতদের সম্বìেধ ব্রিটিশ আমলারা নাকি বলতেন, লোকগুলো হাড় শুকনো ব্যাধিতে মারা গেছে; শাহাদাৎ হোসেন মান্টো সে নিয়ে তীব্র শ্লেষ করে গল্প লিখেছিলেন। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার যে ‘স্বর্গ রাজ্য’ সৃষ্টি করেছে তাতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কোন পর্যায়ে নেমে এসেছে সে সম্বìেধ সামান্যতম ধারণাও মন্ত্রীদের আছে বলে মনে হয় না। সীমিত আয়ের সাধারণ মানুষ কতটা খাচ্ছে বলে বাণিজ্যমন্ত্রী মনে করেন? আরো কম খেতে বলা হলে তাদের হয়তো পেটে পাথর বাঁধতে হবে। ‘কল থেকে জল হরদম খেয়ে জীবনের তরী বাইবার’ সুযোগও এ সরকার রাখেনি। বন্যার দেশ বাংলাদেশের মানুষকে যথেষ্ট খাবার পানি দিতেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে।

জাতির সাথে সরকারের মশকরা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ভারতের সাথে ফারাক্কায় গঙ্গার পানি বন্টন নিয়ে চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী পানি বাংলাদেশ কোনো বছরই পায়নি। অন্য সব অভিন্ন নদীর পানি ভারত বাঁধ বেঁধে সরিয়ে নিচ্ছে। শুকনো মওসুমে তিস্তা নদীতে চাষবাস হয়, গোরুর গাড়ি চলে। বাংলাদেশের ভূগর্ভে পানির স্তর ক্রমেই নিচে নেমে যাচ্ছে। পাম্প চালিয়ে পানি তোলা ক্রমেই বেশি ব্যয়বহুল হয়ে পড়ছে এবং পাম্প চালানোর জন্য বিদ্যুতও সব সময় পাওয়া যায় না। তার ওপর পানিতে আর্সেনিকের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে, এর বিষক্রিয়া আরো বেশি মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফরে আসবেন ৬ সেপ্টেম্বর। তার সাথে তিস্তার পানি নিয়েও (ভারতকে করিডর দান এবং বাংলাদেশের আরো বেশি জমি ভারতের কাছে হস্তান্তরের মতো) গোপন চুক্তি হবে। সে চুক্তিতে কি বাংলাদেশের পানির হিস্যা আরো কমে যাবে? ভারত ফারাক্কা চুক্তির মতো তিস্তা চুক্তিও কি অমান্য করেই যাবে? চুক্তিগুলোর বিবরণ প্রকাশ করা না হলে জবাবগুলো অনুক্তই থেকে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী এখন প্রকারান্তরে প্রতিশ্রুতি পালনে নিজের অক্ষমতার কথা স্বীকার করে নিলেন। দুই ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া বাংলাদেশের মানুষের জন্য এখন অনেকটা স্বর্গ পাওয়ার মতোই বিরল ব্যাপার। শেখ হাসিনা তাদের বিদ্যুৎ আরো কম ব্যবহার করতে বলেছেন। শুধু কি তাই? আরো কম করে পানি ব্যবহার করতে, কম পানি খেতে বলেছেন তিনি। অর্থাৎ পেটে পাথর বেঁধে কলের পানি খেয়ে কোনোমতে আওয়ামী লীগের নৌকা বাইবার উপায়ও আর মানুষের রইল না।
মন্ত্রীরা কি ঠাট্টা-মশকরা করছেন বাংলাদেশের মানুষের সাথে? আওয়ামী লীগের ভেতরেও অনেকে মন্ত্রীদের সহানুভূতি ও অনুকম্পা বিবর্জিত উক্তির সমালোচনা করেছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উসকানিমূলক কথাবার্তার জন্য কুখ্যাত। সেই সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও মন্ত্রীদের মুখ সামলে কথাবার্তা বলার পরামর্শ দিয়েছেন। পরিস্খিতি যে কতটা চরমে পৌঁছেছে এই হচ্ছে তার কিছু লক্ষণ।
হাবেভাবে মনে হচ্ছে, গদি ফিরে পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের ভোট চাইতে হবে বলে ভয় আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা করছেন না। তাহলে কি তারা ধরেই নিচ্ছেন, বাকশালী কায়দার স্বৈরতন্ত্র চালুর আয়োজন পাকা হয়েই আছে এবং জনসাধারণের ভোট চাওয়া মন্ত্রীরা আর প্রয়োজনীয় মনে করেন না? অথবা তারা কি ভারতের কাছ থেকে এ আশ্বাস পেয়েছেন যে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক ভূখণ্ড এবং জাতীয় অবকাঠামোগুলো বিকিয়ে দেয়ার বিনিময়ে ভারত তাদের গদির নিশ্চয়তা দিয়েছে?


১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×