somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ও মেরি সভ্যতা!

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নাঙ্গা হয়ে চলাফেরা করা যদি আপনার স্বাধীনতা হয় তবে আপনাকে দেখে বখাটের টিজ করাও তার স্বাধীনতা। এখানে দুজনই সমান অপরাধী। এখানে অনেকে বলতে পারেন "আমার শরীর আমি যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে প্রদর্শন করব, যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই ব্যবহার করব তাতে কেউ বলার কে?" আবার এমনও বলতে পারেন "সুন্দর শরীরটি যদি মানুষকে দেখাতেই না পারলাম তবে এই সুন্দর শরীর থাকার মানে কি?"

এখন আপনার কথাতেই আসি, এই শরীরটি কী সত্যিই আপনার? আমরা কোন জিনিসটিকে নিজের বলি যা আমরা কিনে মালিকানা নিয়ে নিই অথবা যা আমরা সৃষ্টি করি। এখন আপনার এই শরীরটিকি আপনি স্রষ্টার কাছ থেকে কিনে মালিকানা নিয়ে নিয়েছেন নাকি আপনিই আপনার এই সুন্দর শরীরের শ্রষ্টা? যে শরীর নিয়ে আপনি বরাই করছেন তা আপনাকে কেবল ব্যবহার করার জন্য দেওয়া হয়েছে। শরীরটাকে আমরা চলাচলের মাধ্যম বা যানবাহনের সাথে তুলনা করতে পারি। যার কাজ কেবল আমাদের জীবনটাকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বয়ে বেরানো। যেমন ধরুন বাস বা ট্রেন বা প্লেন যাই বলেননা কেন তারা কি করে? তারা কেবল এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মানুষ ও জিনিসপত্র পরিবহন করে তেমনিভাবে এই শরীরটাও আমাদের জীবনকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যায়। আমাদের জীবনটাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়ার সুবিধার জন্য মহান স্রষ্টা আমাদের এই শরীর নামক দু-পেয়ে পরিবহন ব্যবস্থা দিয়েছেন এবং নির্দিষ্ট সময়পর তিনি তা নিয়ে যাবেন। তাই যা আপনার নিজের নয় সেই আজব যান নিয়ে আপনার এত অহংকার শোভা পায় না।

আপনার ২য় কথায় আসি আপনি বলছেন সুন্দর শরীরটি যদি আপনি কাউকে দেখাতেই না পারলেন তবে সুন্দর শরীর থাকার মানেকি? সুন্দর জিনিস থাকলেই লোক দেখিয়ে বেড়াতে হবে তা আপনাকে কে বলল? আচ্ছা পথ ধরে হাটার সময় নিশ্চয় রাস্তার পাশে ভিবিন্ন রঙের ফুল ফুটে থাকতে দেখেন। প্রতিটি ফুল নিশ্চয় সুন্দর। সুন্দর তাদের রঙ, সুন্দর তাদের ঘ্রাণ, সুন্দর তাদের গঠন। এবার আমাকে বলুন ঐ ফুলগুলোকি কখনো আমাদের ডেকে ডেকে বলেছে যে দেখে যাও দেখে যাও আমরা কত সুন্দর। কিন্তু ফুলগুলো কি করে, তারা নিজের রুপ দিয়ে অন্যকে রাঙিয়ে তুলতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোদ করে। তাই সুন্দর শরীর থাকা মানেই তা লোক দেখিয়ে বেড়াতে হবে এমন কোন কথা নেই বরঞ্চ এই সুন্দর শরীর দিয়ে যদি কারো জীবন রঙিন করা যায় তাতেই উত্তম।

এখন আমার প্রথম কথায় আসি। নাঙ্গা হয়ে চলাফেরা করা যদি আপনার স্বাধীনতা হয় তবে আপনাকে দেখে বখাটের টিজ করাও তার স্বাধীনতা। কিছুক্ষন আগেইতো আপনি বললেন আপনার শরীর আপনি যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ব্যবহার করবেন, যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে প্রদর্শন করবেন তাতে কেউ বলার কে? এখন আপনাকে উত্তক্ত্যকারী বখাটে যদি বলে "আমার মুখ দিয়ে আমি যা ইচ্ছা তা বলব, যখন ইচ্ছা তখন বলব তা কেউ বলার কে?" যখন আপনি কি বলবেন? আবার আপনি বলেছেন সুন্দর শরীরটি যদি মানুষকে দেখাতেই না পারলেন তবে এই সুন্দর শরীর থাকার মানে কি? এখন এই সুন্দর শরীর দেখে যদি কেউ মন্তব্য করে তবে তাকে কি খুব খারাপ বলা যাবে কারণ আপনিতো চেয়েছেনই কেউ দেখুন আর মন্তব্য করুক।

আচ্ছা এসব কথা আজ থাক। কিছুদিন আগে একটি পত্রিকায় দেখলাম ভারতে "ফ্রি কিস মুভমেন্ট" মানে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার জন্য আন্দোলন করে অনেকে একত্র হয়ে প্রকাশে প্রেমিক প্রেমিকা একে অপরকে চুমু খেয়েছে। তারা লোকসমাজের সামনে একে অপরকে চুমু খাওয়ার স্বাধীনতা চেয়েছেন। আসলে কিছু কিছু ব্যাপার আছে যা প্রকাশ্যে করা শোভা পায়না। এই যেমন প্রেমিকাকে চুমু খাওয়া বা নিজের বউকে সোহাগ করা বা লোকচক্ষুর সামনে প্রাকৃতিক কর্ম সারা। আমরা যদি পশুদের দিকে তাকাই তাহলে কি দেখব? তাহলে আমরা দেখব যে তারা এসব কাজ প্রকাশ্যে লোকচক্ষু বা পশুচক্ষুর সামনেই করছে। এবং এখানটাতেই মানুষের সাথে তাদের পার্থক্য। কারণ তারা এসব কাজকে আড়ালের কাজ মনে করেনা। এখন মানুষও যদি এসব আড়ালের কাজ পশুদের মতো প্রকাশ্যে করা শুরু করে দেয় তাহলে পশুদের সাথে মানুষের আর কোথায় পার্থক্য থাকলো?

আজ হয়ত তাহারা প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার স্বাধীনতা চেয়ে আন্দোলন করেছে কাল হয়ত আরো কতকিছু প্রকাশ্যে করার জন্য স্বাধীনতা চেয়ে আন্দোলন করবে। হে আল্লাহ তুমি আমাদের এসব থেকে রেহায় দাও। প্রত্যেক স্বামী তার স্ত্রীকে ভালোবাসবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু কিভাবে ভালোবাসবে তা কি লোকচক্ষুর সামনেই ভালোবেসে দেখেতে হবে? (আস্তাগফিরুল্লাহ্)
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×