ফজলে হাসান আবেদ সাহবরা কি জানেন না আফগানিস্থানের কি অবস্থা ? ঐ দেশে সুদের ব্যাবসা করতে বাংলাদেশের অসহায় মানুষদের পাঠানোর কি মানে ? আমরা জানি, টাকার কষ্ট কি জিনিস। মানুষ মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও, মহা সমুদ্রে হালকা একটা নৌকা করে পাড় হতে চায়, সামান্য ভাল চাকরির আশায়। বড় বড় কম্পানির মালিকদের এভাবে সাতার দিতে হয় না। তারা ভাল করেই জানেন, দশ টাকার জায়গায় একশ টাকা দিলে মানুষ লাফ দিয়ে আগুনে পড়বে। ফজলে হাসান আবেদ সাহেব, জীবনে তিনি কম পুরষ্কার পাননি। ব্রাকের টাকাও দলিল মোতাবেক উনার নিজের টাকা নয়। তবুও ক্ষমতার লোভ, এই লোভে পড়ে সাধারণ সহজ সরল মানুষের সামান্য টাকার লোভের মূলা ঝুলিয়ে মৃত্যুর মুখে পাঠিয়ে দেন। এ জন্য উনার কোন বিচার হয়না। কেউ বিচার চায়ও না। তাছাড়া, বিচার হবারও কথা নয়।
“গত বৃহস্পতিবার ভোরে আফগানিস্তানের তালেবান জঙ্গিরা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ব্র্যাকের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দীনকে হত্যা করে। …………………….২০০৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা ব্র্যাক কর্মকর্তা আবদুল আলিমকে গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনার তিন দিনের মাথায় অপহূত হন নূরুল ইসলাম নামে আরেক কর্মকর্তা। দীর্ঘ ৮৩ দিন পর মুক্তি পান তিনি। এরপর ২০০৮ সালের ২৫ অক্টোবর মো. আখতার ও মো. শাহজাহান নামের দুই কর্মকর্তাকে আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশ থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা। ১০ দিন পর ২ নভেম্বর মুক্তি দেওয়া হয় তাঁদের। ২০১০ সালের ১৮ ডিসেম্বর আফগানিস্তানে ব্র্যাকের প্রকৌশলী আলতাফ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় অপহূত হন আরও ছয়জন, যাঁদের মধ্যে দুজন দুই দিন পর মুক্তি পান।”-প্রথম আলো
খবরের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে আরো অনেক কাহিনী। আরো অনেক কষ্ট, হয়ত সামান্য কিছু টাকা পেল বড় কোন উপকার হত, হয়ত শিশুর হাতে একটা খেলনা তুলে দেবার অনন্দের অপেক্ষা ছিল। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করল না। আমাদের মুখে এটে দেওয়া হল মানবতার কল্যান নামক কিছু বুলি। আহারে, ব্রাক বাংলাদেশে হেভি উন্নতি করতেছে, ব্যাপক মানবতার কল্যান করিতেছে! এর জন্য হয়ত তাদের কপালে ঝুটবে আরো দুই একটা পুরষ্কার।
গরীব আর দুর্বলদের বোধ হয় আল্লাহ পাক এর দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। দুর্বল হলে, দেখবেন টাকা পয়সা থাকলেও অন্যারা ছিনিয়ে নেয়, আপনি গরিব তাহলে দেখবেন টাকার বাশের আগায় লটকিয়ে, আপনাকে দিয়ে লাটিম খেলা হয়। এ যেন আধুনিক গ্লেডিয়েটর। গ্লেডিয়েটররা কেন মরে? কার জন্য কিসের জন্য মরে? কেউ জানে না। বোধ হয়, এগুলো সব সার্ভাইবাল অব ফিটেস্টের খেলা।