somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিলিপাইনে একটি মসজিদের জন্য কয়কজন বাংলাদেশির উদ্যোগ - ১

৩০ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার অফিস (হানজিন শিপইয়ার্ড) থেকে সবচেয়ে কাছের (মাত্র ১৮ কিমি দুরে) মসজিদ টি হলো সুবিক টাউনের "বারাল্লাহ মসজিদ" এটি অবশ্য কেপেল সুবিক শিপইয়ার্ড থেকে মাত্র ২ কিমি। যেহেতু ফিলিপাইনে শুক্রবার কর্মদিবস, তাই অফিস থেকে জুম্মার নামাজের জন্য লাঞ্চ এর সাথে আরো ১ ঘন্টা ছুটি নিয়ে নামাজ পড়তে যাই। (এ জন্য আমার ফিলিপিনো ম্যানেজার কে ধন্যবাদ)। অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে যখন যে নামাজ পাই, পড়তে চেস্টা করি।



এখানকার ঈমাম সাহেব সহ প্রায় সকল মুসুল্লিই মরো মুসলিম যাদের আদিবাড়ি মিন্দানাও। ভাংগা ভাংগা ইংরেজিতে তাদের সাথে কথা হয়। জানতে পারি এখানে প্রায় ৫০০ মুসলমানের বাস (পরিবার পরিজন সহ)। এ মসজিদটি গত ২ বছর ধরে নির্মানাধীন, অধিকাংশই এখানে আসা বিদেশীদেরই সাহায্য। এখানকার মুসলমানরা খুবই গরিব, যেহেতু মরো মুসলিমরা মিন্দানাও এর স্বাধীনতার সংগ্রাম করছে তাই মুসলিমদের এখানে সাধারনত কেউ চাকরিতে নেয় না। তাই তারা খুবই ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী।



অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে এদের কাছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য অনেক শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। বাংলাদেশ থেকে এসেছি শুনে প্রথম থেকেই আমার প্রতি তাদের আন্তরিকতা লক্ষনীয়। মসজিদে গেলে সবাই সালাম দেয়, হাত মিলায়। বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন করে। তাদের কাছে বাংলাদেশর মানুষ অনেক ধনী, অনেক বেশী ধার্মিক। আমি অবশ্য মিলাতে চেষ্টা করি, অলংগাপো তে বাংলাদেশ মসজিদ তেরীতে বাংলাদেশী ভাইয়ের কারনে আজকে আমার বা আমাদের এই সমাদর।

গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে গিয়ে আমরা তিন বাংলাদেশী চিন্তা করলাম মসজিদের আমরা কিছু করতে পারি কিনা। নিজেদের পূন্যের চেয়েও বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের এই বিশ্বাস গুলো টিকিয়ে রাখার জন্য। প্রথমে টাকা পয়সার কথা মনে এলেও পরে মনে হলো আমাদের এমন কিছু দেওয়া উচিৎ যেটা মূল্যবান, উপকারী এবং দেখানো সম্ভব (এই দেখানোটা শুধুই দেশের জন্য, এমন কিছু যেটা দেখিয়ে বলা যবে যে এটা বাংলাদেশ থেকে পাওয়া গিফট)। তাই আমরা প্রাথমিক ভাবে এমন দুইটি জিনিষ নির্বাচন করেছি (১) পানির ডিসপেনসার, সুপেয় পানি ঠান্ডা ও গরম পাওয়া যাবে, দাম আনুমানিক ৫০০০ পেসো (১পেসো = ১.৭৫ টাকা) (২) একটি ২ টন এয়ার কন্ডিশন, এই গরমের দেশে সারা বছরই এটা দরকার, দাম মোটামুটি ৪৫,০০০ পেসো। তার মানে আমাদের দরকার ৫০,০০০ পেসো। তাৎক্ষনিক ভাবে আমরা ১০,০০০ পেসো দেওয়ার নিয়ত করলাম। রোজার প্রথম দিনেই আমরা ইন সা আল্লাহ ১ নং আইটেমটি কিনে মসজিদে দান করতে পারব। বাকি থাকলো শুধু এসি টা। এটা আমরা মাসে মাসে জমিয়ে ইন সা আল্লাহ করতে পারব বলে আশা রাখি। বাকিটা আপনাদের সকলের দোয়া।

পরিশেষে আমাদের মনের একটা সুপ্ত ইচ্ছার কথা বলি। যদি পবিত্র রমজান মাসের মধ্যে এসি টা দিতে পারতাম তাহলে একটু বেশী খুশী হতাম। তাই আপনারা কেউ যদি আমাদের এই উদ্যোগের সাথে শরিক হতেন, তাহলে হয়ত এটা সম্ভব। সাবধান ভুলেও কেউ জাকাতের টাকার নিয়তে দিবেন না, কারন জাকাতের টাকা গরীব মানুষের হক, এটা মসজিদে দেওয়ার নিয়ম নেই। বাংলাদেশের বাইরে থেকে সহজেই ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে এখানে টাকা পাঠেনো সম্ভব। আমার মোবাইল নং +৬৩ ৯১৭ ৫১৫ ৯৪৬৭, এলিয়েন কার্ড নং F1406004072TV। বাংলাদেশ থেকে কেউ আগ্রহী হলে জানাবেন, কোন একটা উপায় হয়ত থাকবে। আরো কিছু জানতে আমাকে মেইল করতে পারেন [email protected]

(কারো কাছে উদ্যোগটি খারাপ লাগলে দু:খিত, দয়াকরে বাজে কোন কমেন্ট করবেন না )
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা-২০২৪

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭



ছবি সৌজন্য-https://www.tbsnews.net/bangla




ছবি- মঞ্চে তখন গান চলছে, মধু হই হই আরে বিষ খাওয়াইলা.......... চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী গান।

প্রতি বছরের মত এবার অনুষ্ঠিত হল জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা-২০২৪। গত ২৪/০৪/২৪... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

×