somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুদ্ধতম পরকীয়া (উপন্যাসিকা)

১৯ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(পূর্ব প্রকাশনার পর- ২)
দুই / (দ্বিতীয় অংশ )
[পূর্বসূত্র ……বেশ কাটছিলো দিনগুলি । এক একজনকে এক এক রকমের খেলায় মজিয়ে রেখেছিলাম । খেলছিলাম এক এক রকমের খেলা ।……দেখবি আলাদা এক মজা । বয়স্ক পুরুষের প্রেম যখন উৎলে ওঠে না, তখন দেখবি তোর দু’কুল ভেসে গেছে। এবার দেখি একা একা তুই কদ্দুর যেতে পারিস সাঁতরে ।”
আমি যে কোথাও যেতে পারিনি । আমি যে ডুবতে বসেছি । এতো লজ্জার পরে তো আমার ডুবে মরার ই কথা ছিলো
।]

কেন যে আমি তাকে লিখতে গেলাম, “য়্যু রিমাইন্ড মি অব সামওয়ান ভেরী ক্লোওজ ট্যু মাই হার্ট । আই লভ্ড হিম ইন মাই য়্যুনিভার্সিটি লাইফ বাট দ্যাট ওয়্যজ ওয়ান সাইডেড ওনলি, ফ্রম মাই সাইড ।”
তিন তিন বার আমি তাকে তার প্রোফাইলে নক্ করেছি । প্রথমবারে সাড়া না পেয়ে জেদ চেপে গিয়েছিলো । শেষে যখন তার সাড়া মিললো, বুঝলাম জিতে গেছি । সে আমার দেয়া এ্যাড্রেসে লিখেছিলো, “হ্যা, ওকে । বন্ধুত্ব হ’তে পারে”।
আমি তড়িঘড়ি মেইলে তাকে অন্য একটি ম্যাসেঞ্জারের এ্যাড্রেস দিয়ে বললাম, এক্ষুনি চ্যাটে কথা বলো । আমার সেলফোনের নম্বর দিয়েছিলাম, দিয়েছিলাম একটা ছবি । তার বয়স তো আমি জানি ই, বিস্তর ফারাক । তোয়াক্কা করলাম না । প্রথমেই তুমি সম্বোধন । একটু ভয় ছিলো মনে, যদি ধরা পড়ে যাই । আমার ভাঙা স্বর সেদিন কি আরো ভেঙে গেছিলো ! ওপাশ থেকে এক মায়া ঝরা কন্ঠের আকুলতা যেন আমার এই অপূর্ণতাকে ঢেকে দিলো পূর্ণতার সুতো বুনে বুনে ।

সে একটি রাত গেছে আমার । কী মধুর, কী আশ্চর্য্য একটি রাত । সে রাত যেন কোজাগরী পূর্ণিমার রাত । বসন্ত বাতাসের সাই সাই রাত। এ রকমের রাত আমার আর কাটেনি কারো সাথে । মরি টেনে নেয়া বাঘিনির মতো আমি তাকে টেনে নিয়েছিলাম, আগলে রেখেছিলাম । বুঝলাম , আমি নিজেই নিজের পাতা ফাঁদে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছি । কিন্তু ততোক্ষনে ঢিল ছোঁড়া হয়ে গেছে । আমার পাঠানো লম্বা মেসেজটিতে যে কাহিনী আমি তাকে লিখেছি, তা যে তাকে কোনও ভাবে রেখাপাত করেছে কি করেনি, প্রথম রাতের আলাপে তার কনাটুকু রেশ ও আমাকে সে পেতে দেয়নি । তার গভীর সঘন, সহজিয়া বাক্যালাপ তাকে অনন্য করে তুলছিলো । সোজা-সাপ্টা, সাহসী, সংকোচহীন । একদম আলাদা । এরকম মানুষের দেখা আমি পাইনি ।
ন্ .. না তার সাথে আমার দেখা হয়নি ! এ রকম একজন মানুষের সাথে আগে কখনও যোগাযোগ হয়নি, এটাই বোঝাতে চাইছি ।
পরের দিন খুব সকালেই তাকে এসএমএস করে লিখলাম, “ এ কাপ অব হট্ কিসেস……” ।
আমিও কি আবেগে ভেসে যাচ্ছিলাম !
নিজেকে সমর্পন করার এ কি তীব্র আকুতি আমার মধ্যে ! যে আমি দিনের পর দিন প্রেম প্রেম খেলা খেলে গেছি অনেকের সাথে অবলীলায়, সে আমার কি হ’লো আজ ! মিথ্যে দিয়ে যার শুরু হয়েছিলো, আমি তাকে সত্যের কাছাকাছি টেনে আনলাম কেন ! আমার কি মতিভ্রম হয়েছে ? এতোদিন তো কেবল নেশাই ধরিয়ে দিয়েছি অনেকের , এবার যে আমি নিজেই নেশার ঘোরে মাতাল । দিকশুন্যহীন এ কোন অথৈ পাথারে এসে পড়লাম আমি ! আমার হোশ ফিরবে তো !

অনলাইনে তার প্রোফাইল পড়ে কারো বন্ধুত্ব পাতানোর কথা নয়, শুধু তার বয়সের কারনে । বিশেষ করে ইয়াং মেয়েদের তার প্রতি আকর্ষনের কোনও কারন নেই । বিদেশী মেয়েদের কথা আলাদা । ওরা নাকি বয়েসের তোয়াক্কা থোরাই করে । আমাদের বাঙালী মেয়েদের এদিকে সূচীবাই আছে । যদিও প্রোফাইলে দেয়া নিজের ছবিতে অনেক তরুন দেখাচ্ছিলো তাকে । বেশ স্লীম লাগছিলো দেখতে, তরুন কেউ । বয়েস বোঝা যাচ্ছিলো না । অথচ বয়সের ঘরে অন্য অঙ্ক লেখা । ইচ্ছাকৃত ভাবেই বয়স ভাড়িয়েছে ? চেহারাও আহামরি কিছু নয়, প্রথম দর্শনেই ভালোলাগার হয়তো কোনও কারন নেই । আমার কেবল তার প্রোফাইলে লেখা একমাত্র লাইনটা খুব ভালো লেগেছিলো । সচারচর যা কেউ লেখেনা । নিজেকে সবাই খুব উঁচুতে তুলে ধরতে, নিজের গুনগান গাইতেই ব্যস্ত সব সময় । এক একজন যেন স্বয়ং ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির, চরিত্রে রামচন্দ্র । এখানে তার ছিটেফোঁটাও নেই।
কেবল একটি লাইনে নিজেকে সে তুলে ধরেছে এভাবে, “ আমি যা, আমি তাই ” ।
ক’জনার বুকের সাহস আছে এভাবে লেখার ।আমার ভালো লেগেছিলো, আর তাকে একটু বাজিয়ে দেখতে দারুন ইচ্ছে করছিলো । তিন তিনবার তাকে আমি আমন্ত্রন পাঠিয়েছি সাড়া মেলেনি ।
রাগ করে কিনা ! কোনও তরুনীমেয়ের আহ্বানে সাড়া দিতে কোনও পুরুষের এতো সময় লাগার কথা নয় । আমাকে বাজিয়ে দেখতে চাইছিলো কি ! বরং আমিই তো বাজিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম তাকে ।

( চলবে..... অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন তিন/চার দিন )
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৫৮
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×