"আলাউদ্দিনের মতিভ্রম"-থেকে
.
→"বুকের মাংস পিন্ড উঁচু হয়ে দাঁড়ালে সে মানুষ থেকে নারী হয়।নারীর চারপাশে কৌতূহলী চোখের মেলা বসে। তার শরীরের পথেঘাটে কৌতূহলী চোখেদের আড্ডা জমে ওঠে। আড্ডায় ক্রেরামের বোর্ড বসে। স্টাইকের গর্জনে নারীর শরীরে রেড পড়ে।উৎসুক জনতা সাহসী খেলোয়াড়ের প্রশংসায় পন্ঞ্চমুখ হয়ে ওঠে।দশ মাস পরে দেহের কুন্ডলী থেকে জন্ম নেয় গ্রাম,শহর,রাজধানী।তারপর একটি দেশ।"
→"শহরের গলিতে যখন শান্ত অন্ধকার নামে তারও অনেক আগে শোবার ঘরের জানালায় পর্দা নামে।নরম শরীরে কারো কারো হাত সুখ খোঁজে।ঠোঁটের কিনারা লাল হয়।লিপিস্টিকের বদলে রক্ত জমাট বাঁধে ঠোঁটে।রক্ত জমাট বাঁধে বুকে,পেটে, নাভীর নীচেও ।পেট ফুলে ওঠে। একসময় পেট ফুঁড়ে চিৎকার দিয়ে বের হয় একটি রাষ্ট্র।গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।যদিও আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নই।"
→"তলপেটে প্রচন্ড ব্যাথা হলে নারী যৌবন পায়।নারীর যৌবন পুরুষের স্বর্গের মতন। যদিও নারীর ব্যাথা পুরুষ ছুঁতে পারে না কখনোই।যখন রক্তের স্রোত নামে তখনও না। স্রোতে যদি উপড়ে যায় সুন্দরবন, তাহলে তারা কষ্টের বদলে মহাউল্লাস করে ।তারপর হই হই রব তুলে স্বর্গে ঝাঁপিয়ে পড়ে।"
→"মধ্যরাতে নেশায় পেয়ে বসলে আকাশে চোখ ঠেকিয়ে সুখ খোঁজে সে।দূরের তারাদের সাথে যৌবনের আলাপ জুড়ে দেয়।রাতের পাখিরা ওর আশেপাশে ঘেঁষতে থাকে।ল্যাম্পপোস্টের নীরব আলোয় সরব হয় একজোড়া ঠোঁট।স্তন ঘেঁষে বুক দাঁড়িয়ে পড়ে দেয়াল হয়ে। শহরের চোরা গলিতে অন্ধকার নামে তখন। নিঃশ্বাস উষ্ণ হয়ে পড়ে বুকের লোমকূপে।তারপর একটি রাষ্ট্র আসে ।আমরা সেই রাষ্ট্রের বাইরে বাস করি।"
→"স্বপ্নের ভেতর জিব ঢুকিয়ে সে ভেংচি কাটে। উন্মাদের মত চাটতে থাকে অন্ধকার শহরের সরু রাস্তাটাকে।খাবলে তুলে নেয় রাস্তার মাথায় মজুরদের বস্তিটাকে।বস্তিটা হয়ে যায় পাঁচতারকা হোটেল। সেখানের বাথরুমে ঝর্ণা নামে প্রবল বেগে।জলের শব্দে মজুরের চোখে বর্ষা নামে বারোমাস।"