কাপড়টা সরিয়ে ফেলতেই তুলতুলে শরীরটা বেরিয়ে পড়লো।বেশ সাস্থ্যবান মেয়েটা।গরীবের মেয়ে কি খেয়ে এত সুন্দর ফিগার বানিয়েছে তাই সে ভাবে।ভাবতে ভাবতেই ওর ঠোঁটে লালা ঝরে।চিকেন তন্দুরির মতো ছিড়ে খেতে ইচ্ছে করে।উত্তেজনা সহ্যসীমা ছাড়িয়ে গেলে সে ঝাঁপিয়ে পড়ে মেয়েটার উপর।হিংস্র হায়েনা যেমন শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে শিকারের দেহটাকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে ঠিক তেমনি সেই মুহুর্তে সে হায়েনা হয়ে ওঠে।মেয়েটা নিজের অসহায়ত্ব বুঝতে পারে।সর্ব শক্তি দিয়ে হায়েনাটার কবল থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠে।কিন্তু নিজেকে বাঁচানোর সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়।হায়েনার দল ওকে দ্বিগুন তেজে ওকে ছিঁড়ে ফেলতে থাকে।
লজ্জায়,রাগে, দুঃখে সে মুখ ঢেকে ফেলে।সেই সাথে নষ্ট করে দেয় তার সোনালী স্বপ্নগুলো।বড় হওয়ার স্বপ্ন,মানুষের সেবা করার স্বপ্ন।ডাক্তার হয়ে মেয়েটা মানুষের সেবায় নিজেকে মেলে ধরতে চেয়েছিল। কিন্তু সে গরীব যে।গরীবরা স্বপ্ন দেখতে পারে না। স্বপ্ন দেখার অধিকার সমাজ তাকে দেয় নি।সমাজের কীটগুলোর কাছে ওরা মানুষ নয় ভোগ্যবস্তু।
বুকের ভেতর স্বপ্নের মালা গেঁথে মেয়েটা স্কুল পানে চলছিল।কাঁধে ঝোলানো ব্যাগটিতে সেদিনও দুটো রুটি ছিল।টিফিনের সময় খাবে বলে মা সাজিয়ে দিয়েছিলো।কিন্তু কে জানত, টিফিন ওর মুখে উঠবে না।ও নিজেই খাবার হয় যাবে কয়েকজন নরপশুর।
চিকলির বিলটা পেরিয়ে বড়রাস্তায় যাওয়ার মুখেই ঘন জঙ্গলের ঝোপঝাড়।গা শিউরে ওঠে এই রাস্তায় পড়লে।ভয়ে মুখ চলে আসে বুকের কাছে।কিন্তু উপায়ও নেই। স্কুলে যাওয়ার আর দ্বিতীয় কোন রাস্তা নেই।
ঝোপঝাড়ের কাছে আসতেই দু'তিনটে জোয়ান ছেলে ঘিরে ধরল মেয়েটাকে। চ্যাংদোলা করে নিয়ে গেলো আরেকটু গভীর জঙ্গলে।চিৎকার করারও উপায় নেই।মুখটা গামছা দিয়ে শক্ত করে বেঁধেছে ওরা।
তারপর একে একে তিনজন......।
আনন্দ উল্লাস করে হায়েনার দল চলে গেলো।পেছনে পড়ে থাকলো রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত মেয়েটা। যে একদিন স্বপ্ন বুনেছিল বড় হবে।অন্ধকারে ডুবে থাকা ওর গ্রামটাকে আলোর মুখ দেখাবে।
অজপাড়া গাঁ থেকে শুরু করে শহর বন্দর সবখানেই নারীর এই নির্মম অত্যাচার শিকার।তবে নারী কি সারাজীবন ভোগ্যবস্তু হয়েই থাকবে?পুরুষ কি কখনো ওদের মানুষের চোখে দেখবে না?না কি নারী কে মানুষ ভাবতে পুরুষের পৌরুষে বাঁধে?
যদি তাই হয়,
তবে এই পুরুষ, পুরুষ নয়
কাপুরুষ।