শরীরটা নেতিয়ে পড়েছে।কি আর এমন বয়স হবে ছেলেটার।দশ কি বার।ইট ভাটায় কাজ করে সে।দিন মজুরি তিন/চারশ'র মত হয়।তা দিয়ে চলে বৃদ্ধা মায়ের সাথে ওর একলার সংসার।সংসারে আরো মানুষ ছিলো।বাবা ছিলো।পুতুলের মত সুন্দর একটা বোন ছিলো।পাচ বছর আগের ঘটনা।তখন সে স্কুলে যেতো।দুয়েকটা অক্ষর হয়ত চিনতো।তাতেই সে মহাআনন্দে ক্লাসের পেছনে বসে স্কুল কামাই দিতো।স্কুল থেকে ফিরে সেদিন উঠোনে মানুষের জটলা দেখে বুকটা কেঁপে ওঠে ওর।ভীরু পায়ে এগিয়ে যায় সে।শুনতে পায় মায়ের আহাজারি।উঠোনে দুটো মানুষ পাশাপাশি শুয়ে আছে।দেহ দুটোতে প্রাণ ছিলো হয়ত কিছুক্ষণ আগ পর্যন্ত।এখন প্রাণহীন দেহটা শুয়ে শুয়ে শুধু আর্তনাদ শুনছে।আর প্রহর গুনছে শরীরটাকে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার। বড় বিলটাতে ছোট্ট মেয়েটা নেমেছিলো শাপলা তুলতে।কিন্তু শাপলা তুলে আর পাড়ে ফিরতে পারেনি সে।সাঁতার কাটতে কাটতে ওর ছোট্ট শরীর টা হাপিয়ে উঠেছিলো।জলের উপরে শুয়ে থাকতে থাকতে একসময় ঘুমিয়ে পড়ে সে।তলিয়ে যেতে থাকে জলের নিচে। অদূরেই বাবা পোনা মাছ ধরায় ব্যস্ত ছিল।হঠাৎ বিলের মধ্যেখানে মেয়েকে ভাসতে দেখে আঁতকে উঠেন তিনি।পাগলের মত ছুটে যান বিলের মধ্যে।মেয়ের কাছে।কিন্তু তিনিও দিশেহারা হয়ে উঠেছিলেন মেয়ের অবস্থা দেখে।মেয়েকে কোলে নিয়ে পাড়ে ফিরতে ফিরতেই নিঃশ্বাস ছুটে গেলো।বাবা মেয়ে দুজনেই জগতের নিয়ম শৃঙ্খলা থেকে মুক্তি নিয়ে ছুটলেন পরপারের উদ্দ্যেশে।
সেই থেকে ছেলেটির পরিবার বলতে ওর বৃদ্ধা মা ই।
ছেলেটির নাম শুভ্র।সে ইটের ভাটায় কাজ করে।মজুরি তিনশ টাকা পায়।ওভার টাইম কাজ করলে চারশ।সেই টাকায় সংসার চলে।সংসার বলতে চাল,তেল,নুন আর বৃদ্ধা মা ছাড়া আর কিছুই জানে না সে। ওর খেলার সাথীরা যখন স্কুলে যায় তখন সে ইট বানাতে ব্যস্ত।প্রতিটা ইট হয়ে ওঠে বইয়ের একেকটা পৃষ্ঠা।যে পৃষ্ঠায় লেখা থাকে দুটি ক্ষুধার্ত পেট।শরীরটা নেতিয়ে পড়েছে।কি আর এমন বয়স হবে ছেলেটার।দশ কি বার।ইট ভাটায় কাজ করে সে।দিন মজুরি তিন/চারশ'র মত হয়।তা দিয়ে চলে বৃদ্ধা মায়ের সাথে ওর একলার সংসার।সংসারে আরো মানুষ ছিলো।বাবা ছিলো।পুতুলের মত সুন্দর একটা বোন ছিলো।পাচ বছর আগের ঘটনা।তখন সে স্কুলে যেতো।দুয়েকটা অক্ষর হয়ত চিনতো।তাতেই সে মহাআনন্দে ক্লাসের পেছনে বসে স্কুল কামাই দিতো।স্কুল থেকে ফিরে সেদিন উঠোনে মানুষের জটলা দেখে বুকটা কেঁপে ওঠে ওর।ভীরু পায়ে এগিয়ে যায় সে।শুনতে পায় মায়ের আহাজারি।উঠোনে দুটো মানুষ পাশাপাশি শুয়ে আছে।দেহ দুটোতে প্রাণ ছিলো হয়ত কিছুক্ষণ আগ পর্যন্ত।এখন প্রাণহীন দেহটা শুয়ে শুয়ে শুধু আর্তনাদ শুনছে।আর প্রহর গুনছে শরীরটাকে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার। বড় বিলটাতে ছোট্ট মেয়েটা নেমেছিলো শাপলা তুলতে।কিন্তু শাপলা তুলে আর পাড়ে ফিরতে পারেনি সে।সাঁতার কাটতে কাটতে ওর ছোট্ট শরীর টা হাপিয়ে উঠেছিলো।জলের উপরে শুয়ে থাকতে থাকতে একসময় ঘুমিয়ে পড়ে সে।তলিয়ে যেতে থাকে জলের নিচে। অদূরেই বাবা পোনা মাছ ধরায় ব্যস্ত ছিল।হঠাৎ বিলের মধ্যেখানে মেয়েকে ভাসতে দেখে আঁতকে উঠেন তিনি।পাগলের মত ছুটে যান বিলের মধ্যে।মেয়ের কাছে।কিন্তু তিনিও দিশেহারা হয়ে উঠেছিলেন মেয়ের অবস্থা দেখে।মেয়েকে কোলে নিয়ে পাড়ে ফিরতে ফিরতেই নিঃশ্বাস ছুটে গেলো।বাবা মেয়ে দুজনেই জগতের নিয়ম শৃঙ্খলা থেকে মুক্তি নিয়ে ছুটলেন পরপারের উদ্দ্যেশে।
সেই থেকে ছেলেটির পরিবার বলতে ওর বৃদ্ধা মা ই।
ছেলেটির নাম শুভ্র।সে ইটের ভাটায় কাজ করে।মজুরি তিনশ টাকা পায়।ওভার টাইম কাজ করলে চারশ।সেই টাকায় সংসার চলে।সংসার বলতে চাল,তেল,নুন আর বৃদ্ধা মা ছাড়া আর কিছুই জানে না সে। ওর খেলার সাথীরা যখন স্কুলে যায় তখন সে ইট বানাতে ব্যস্ত।প্রতিটা ইট হয়ে ওঠে বইয়ের একেকটা পৃষ্ঠা।যে পৃষ্ঠায় লেখা থাকে দুটি ক্ষুধার্ত পেট।