somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হৃদয় বিধারক মানবেতর ইস্যুগুলোকে তুলে ধরুন!

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খুলনার শিশু ইমন ঘর ছেড়েছে দুই মাস। কারন সে যা বলল, মা বাবা নাকি খুব মারধর করে। মা বাবা থাকা এ রকম অভাবী পরিবারের কিছু শিশুর সাথে সাক্ষাৎ মিলে যারা মারধরের কথা বলে। আবার কোন কোন শিশু মা বাবা কে দৈনন্দিন ভিত্তিতে টাকা আয় করে না দিলে ঘর থেকে বের করে দেয় এবং মারধর করার কথাও বলে। সন্ধ্যার সময় সে বলছিল দুপুরে কিছু না খাওয়াতে তার নাকি খুব ক্ষুধা লেগেছে। পথের এ সকল শিশুদের সমস্যার কি কোন সমাধান নেই?

অন্য ছবিতে মা তার দু শিশুকে নিয়ে পথে বসে আছে। গত একমাস ধরে পথেই থাকছে ঘর ভাড়া দিতে না পারায় বাড়ি ওয়ালা বের করে দিয়েছে। দিনমজুর জামাই অসুস্থ কাজ করতে পারেনি আর তিনি নীজেও ছোট বেবীর কারনে কাজ করতে পারে না। তিন বাচ্চার দুই বাচ্চা ভাংগারী কুড়িয়ে যা পায় তা দিয়ে কিছু খায়। আর পথেই দিনরাত কাটছে। ছেলেদের বাবা কাজ করতে এখন নাকি নরসিংদীতে কিন্তু গত সাতদিন ধরে কোন খবর নেই? পথের এ চিত্রে এবং এরকম আলাপে ভীষন কষ্ট পাই। কিছুই করতে পারি না যৎ সামান্য কিছু দিয়ে বা কিছু খাওয়ায়ে বা গল্পশুনে মাথা নুইয়ে চলে আসি। পরে সুযোগ পেলে প্রতিদিনের মত আপনাদের জন্য চিত্র প্রদর্শন ও বিজ্ঞাপন আকারে কিছু লিখি। উদ্দেশ্য একটায় যদি কোন সামর্থ্যবান ব্যাক্তির যদি মন বিগলিত হয়? যদি সরকারের নজরে এ সকল মানবেতর বিষয়াবলী গুরুত্ব সহকারে ধরাপড়ে? আমি এটাকে আমার ভাষায় মানবিক তবলীগ বলি। আসুন আমরা সকলে অসহায় শিশু ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। নীজের খরচের কৃচ্ছতা সাধন করে অসহায় অভূক্ত শিশুকে খেতে দিই। যে যেখানে যে অবস্থানে থাকি না কেন অন্তত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হলেও আমারা সকলে সামাজের এ সকল করুন চিত্র তুলে ধরি। আমি মনেকরি আমরা প্রত্যেকেই করুন এ সকল মানবেতর বিষয়াবলী যদি বারবার তুলে ধরি তাহলে সরকার বাধ্য হবে তাদের জন্য কিছু করতে। ইহা ছাড়াও, সামর্থ্যবান ব্যাক্তিবর্গও এ সকল বিষয়ে এগিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করি।
সাংবাদিক ভাইয়েরা দেশের অনেক কিছু নিয়ে মাথা ঘামিয়ে পত্র পত্রিকা ও মিড়িয়াতে অনেক লিখেন ও তুলে ধরেন। কিন্তু পথে ঘাটে চলতে ফিরতে এ সকল হৃদয় বিধারক মানবেতর ইস্যুগুলোকে সে রকম তুলে ধরতে দেখি না। দুঃখজনক! কষ্ট লাগে তাই দেখায় আর লিখি।
দয়াপূর্বক!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×