নক্ষত্রের রাত্রিগুলোতে আকাশের দিকে তাকিয়ে কেবল হাটতে ইচ্ছে হয়, রাস্তা হবে সোজাসুজি , বাক নেবার কোনো চিন্তা থাকবে না আর বার বার নিচে তাকাতেও হবে না, বাতাস কে ফ্যানের রেগুলেটর এর মত বাড়ানো কমানোর নিয়ন্ত্রণ থাকবে, যখন বলব বাড়বে, যখন বলব কমবে, আগে এমনটাই হোতো, এমন ভাবেই হোত।
বহুদিন পর আজ আবার রাস্তায়
চায়ের নেশায় টং দোকানে হাজির হতেই, দোকানি নির্লিপ্ত চোখে তাকিয়ে শুধু বলল, আরে হোসেন ভাই, ম্যালা দিন পর যে! উত্তরে এই তো, এটুকুই, একটা ব্যস্ততা কাজ করত আগে, এখন সেই ব্যস্ততা নেই, বসে থাকবার মিনিট দশেক পর চা এল, চিনি বেশি, লিকার কম দিয়ে।
অবহেলা।
ও কি তবে ভুলে গেছে কেমন চা বানানোর কথা? হতে পারে।
সময় বহমান, কত কিছু নিয়ে যায়, কত কিছু এনে দেয়।
নক্ষত্রের রাতে চা খাবার নিয়ম আছে, গরম চা, দফায় দফায় চুমুক দিয়ে এক সময় ঠান্ডা হবে, তপ্ত চায়ে চুমুক দিয়ে শুরু হয়ে তা ঠান্ডা চুমুকে শেষ হবে। এর মধ্যবর্তি সময়টুকু নিজেকে সপে দিতে হবে তারার মাঝে। আজ চা ঠান্ডা, জমছে না ব্যাপারটা. দু তিন চুমুকে শেষ করে উঠে পড়ে সামনে এগিয়ে চলছে, রাস্তায় মনার রিকশা এগিয়ে আসছে, দূর থেকেই বুঝতে পারলাম, চোখাচোখি হোলো, কিন্তু থামল না।
উপেক্ষা।
হতেই পারে, সময় ঝরনার মত, একদিকে প্রবাহ, কোথাও দাড়াবার নিয়ম তার নেই।
হোসেন হাটছে, আকাশের দিকে তাকিয়েই। নক্ষত্রের রাত্রি, জাগতিক আর সব কিছুকে উপেক্ষা করা শিখিয়ে শুধু তার দিকেই টানছে। পথের শেষ কোথায় তা পথ শেষ হলে নাহয় বোঝা যাবে৷ এই নক্ষত্রের রাতটাই এখন সাথী।
এই বর্তমানটাই সময়।
সময় বাড়ে, অন্ধকার বাড়ে, তারাগুলো স্পষ্টতর হয়। নগর ঘুমিয়ে, কেবল নক্ষত্রের রাত্রির সাথে একজন মিতালি করে জেগে থাকে, হেটে চলে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৬