somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইব্রাহীম ও পাটক্ষেত সমাচার। :P (এডাল্টোরীও হতে পারে)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমাদের সময় প্রায় মেয়েদের ক্লাশ ফাইভ বা তার আগে বিয়ে হয়ে যেত।প্রায় ছেলে ফাইভ বা তার আগে শেভ করতো। ৮/১০ বছরে ছেলে মেয়েরা স্কুলে ভর্তি হত।কিন্তু আমি ছিলাম ব্যাতিক্রম, ছয় বছরে স্কুলে ভর্তি করানোয় ক্লাশে আমি ছিলাম বয়স ও সাইজে খাটো। একই ক্লাশে পড়লেও ‘শেভ’ বাবাজীরা ফুসুর ফুসুর গুজুর গুজুর করে মারফতি লাইনের কিছু আলাপ আলোচনা করতো, তবে সেই মজলিশে আমার এন্ট্রি তারা পছন্দ করতোনা।
আমার ইতি উতি আর আতি পাতি কান পাতায় গ্যাং লিডার এক সময় নিশ্চিত হল, ভাল ছাত্রের একটা তকমা থাকলেও আমিও তাদের মত লুল। এই গ্যাং এর পালের গোদা ইব্রাহীম এর সাথে আমার ভাব হয়ে গেল।এক সময় সে তার বিমুগ্ধ শ্রোতাদের দলে আমাকে দাখেল করে ধন্য করল।
বন্ধু মহলে সবাই একে হিংসা করলেও তার বাস্তব অভিজ্ঞতাগুলি শুনার জন্য আমরা তাকে বেশ খাতির করে বেলা বিস্কুট,চা, আইসক্রিম খাওয়াতাম। কারন তার ভাষ্য আর অন্যদের বিশ্বাস মতে সে ছিল মেয়ে পটানোর ওস্তাদ। তার সব গল্পই ছিল নিষিদ্ধ কিসিমের। সব মেয়ে তাকে দেখলে কেমনে কেমনে পটে যায়। পটে যাওয়াদের ভিতর হেডমাস্টারের মেয়ে, চেয়ারম্যানের মেয়ে থেকে শুরু করে এলাকার তেমন কোন মেয়ে বাকী ছিলনা। বলা বাহুল্য তার সব গল্পের হ্যাপি এন্ডিং ঘটতো ‘পাটক্ষেতে’।

একদিন এক বিয়ের আসরে সমবয়সি আমরা এক মেয়ে দেখিয়ে বললাম, দোস্ত এই মেয়েটাকে পটা। দেখলাম সে ইউ টার্ন নিয়েছে। নাহ, মেয়েটার চেহারা ভাল নয়, দাঁতগুলাও কেমন। আমরা চেপে ধরলাম, নাহ যেমন হোক আমরা তোমার সকল গল্পের সত্যতা স্বরূপ এই মেয়েটিকে পটানো দেখতে চাই। দেখলাম তার মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। মুখে কিন্তু চাপা মেরে যাচ্ছে। আরে কোন ব্যাপার না, কিছুক্ষনের ভিতর দেখবি।

কিছুক্ষনের ভিতর আমরা তাজ্জব হয়ে দেখতে পেলাম মেয়েটা খিস্তি খেউড় সহযোগে তাকে জুতা দিয়ে পিটাইতেছে।

একজন আলেম, পরিবারের ৪০ সদস্যকে বেহেস্তে নিবে এরকম এক ওয়াজ শুনে ইব্রাহীমের বাপ তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেয়। কয়েক বছরের ভিতর সে বিরাট হুজুর বনে যায়।
১৯৯০ সাল। এখন সে এক মসজিদের মুয়াজ্জিন। নতুন বিয়ে করেছে। আমাদের দেখা পেলেই তার জোস এসে যায়, শুরু করে স্বামীস্ত্রীর এডাল্ট কাহিনী। সে এক থেকে দেড় ঘন্টা মেহনত করে তার পরও তার ‘খুরুজ’ হয়না।(খুরুজ কি আমি জানিনা)।
কয়েক মাস পরে শুনি তার বউ বাপের বাড়ি চলে গেছে। অভিযোগ, সে অক্ষম।
একদিন, ঘটনা কি জিজ্ঞেস করলাম, সে কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, দোস্ত সব গপ ছিল, তোরা আমাকে একটা ভাল ডাক্তারের কাছে নিয়ে যা।


সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২১
২৬টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×