somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খ্যাতিমানদের রম্য কথন -২

১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
হুমায়ুন আহমেদ



‘ই্সকুল খুইলাছেরে মওলা ই্সকুল খুইলাছে’

একবার স্কিনের সমস্যায় এক স্কিন স্পেশালিস্টের কাছে যেতে হল হুমায়ুন আহমেদকে।চেম্বারে গিয়ে দেখেন হুলুস্থূল ব্যাপার-একেবারে ‘ইস্কুল খুইলাছেরে মওলা ইস্কুল খুইলাছে’ অবস্থা। গোটা পঞ্চাশেক রুগী বসে আছে।হুমায়ুন আহমেদের সিরিয়াল হল একান্ন। বসে আছেন তো বসেই আছেন।হুমায়ুন আহমেদের একটু লজ্জা লজ্জাও লাগছে। কারণ ডাক্তারের বিশাল সাইন বোর্ডে লেখা ‘চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ’। হুমায়ুন আহমেদের কেবলি মনে হচ্ছে সবাই বোধ হয় উনাকে শেষের রোগের রুগী বলেই ভাবছে।

প্রধান অতিথি

একদল ছেলে এসে একদিন হুমায়ুন আহমেদ স্যারকে ধরল প্রধান অতিথি হতে হবে।হুমায়ুন স্যার এক কথায় রাজি হয়ে গেলেন। ওদের বলে দিলেন নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে আমি উপস্থিত থাকব। চারটার সময় যাবার কথা। স্যার অবশ্যি চারটার সময় গেলেন না। প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথি এদের একটু দেরীতে উপস্থিত হতে হয় এটাই নিয়ম।

তিনি কুড়ি মিনিটের মত দেরী করলেন। অনুষ্ঠান তখন শুরু হয় নি। কিন্তু কি সর্বনাশ! ডায়াসে প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথি দু’জনই উপস্থিত। একি কাণ্ড! তিনি কি করবেন ভাবছেন।
উদ্যোক্তাদের একজন এগিয়ে এসে নীচু গলায় বলল, আপনি হচ্ছেন স্যার স্ট্যান্ডবাই প্রধান অতিথি। আসল জন না এলে আপনাকে বসিয়ে দিতাম।
: বলো কি তুমি?
: কি করবো স্যার বলেন। কেউ কথা রাখে না। বলে আসবে কিন্তু আসে না। এই জন্য স্ট্যান্ডবাই রাখতে হয়। আসেন স্যার এক কাপ চা খান। চা না খেলে বুঝব আপনি রাগ করেছেন।

হুমায়ুন আহমেদ চায়ের দোকানে গেলেন। সেখানে আরেকজন স্ট্যান্ডবাই বিশেষ অতিথি বিমর্ষ মুখে বসে আছেন। হুমায়ুন আহমেদকে দেখে মুখ কালো করে বললেন, আমি একা এলে একটা কথা হত। স্ত্রী এবং ছোট শালী নিয়ে এসেছি, এদেরকে কি বলি? আপনি বলুনতো ভাই?
হুমায়ুন আহমেদ উনাকে কি বলবেন তিনি নিজেও স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন। জীবনের প্রথম প্রধান অতিথি আর স্ত্রী সেটা দেখবে না, তা কি হয়?

অসহায় এক্সট্রা

এফডিসিতে ঘুরাঘুরি করা কিছু মানুষের পরিভাষিক নাম এক্সট্রা। যে কোন রোল এরা দু;শ টাকার বিনিময়ে করে দেন। আগুনের পরশমণি ছবিতে দু;জন এক্সট্রা দরকার। সমস্যা হচ্ছে পরিচালক যে ধরনের রোল এদেরকে দিয়ে করাতে চান সে রোল করতে এরা রাজী হবেন কিনা।

দৃশ্যটা এরকম- পাকিস্তানী মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্যরা দু;জন বাঙ্গালীকে উলঙ্গ করে উঠবোস করাচ্ছে। ১৯৭১ সনের এই দৃশ্য স্বাভাবিক একটা দৃশ্য। হুমায়ুন আহমেদ ছবিতে নগ্ন দৃশ্যটি রেখেছেন সেই সময়ে আমাদের ভয়াবহ অবস্থা বোঝানোর জন্য।
দৃশ্যটা এক অর্থে প্রতীকীও বটে। বাঙালি জাতিকে এরা উলঙ্গ করে দিচ্ছে। কিন্তু কে রাজি হবে নগ্ন হয়ে অভিনয় করতে?

হুমায়ুন আহমেদ বিষয়টা ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজকে বললেন। ছবি পাড়ায় একটা কথা প্রচলিত আছে, ব্যাবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে বাঘের দুধ চাইলে এরা তাও এনে দিতে পারে। হাতের এক আঙ্গুল কাটা এরকম কোন মানুষ যদি ছবিতে দরকার হয় এরা কাউকে টাকা দিয়ে ভুলিয়ে ভালিয়ে হাতের এক আঙ্গুল কাটিয়ে পরিচালকের সামনে হাজির করে।

মিনহাজ বললেন স্যার আমি ট্রিক্স খাটিয়ে ব্যবস্থা করছি।
‘কি রকম ট্রিক্স?’
‘ছবি পাড়ায় অনেক ট্রিক্স আছে সব আপনার জানার দরকার নাই।‘
মিনহাজ গম্ভীর মুখে দুজন অভিনেতাকে নিয়ে এল। বলল আপনারা দুজন স্যারের ছবিতে অভিনয় করতে চান?
‘জি’
‘যে কোন চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি আছেন?’
‘অবশ্যই। স্যারের ছবিতে কাজ করছি এটাই বড় কথা।‘
‘তাহলে নেন এই কাগজে লেখেন, যে কোন চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি আছি।‘
‘কাগজে লেখার দরকার কি?’
‘স্যারের কাজ কর্ম সব পরিষ্কার। আপনাকে রোল দেয়া হবে তাঁর পর আপনি বলবেন রোল পছন্দ হয় নাই। চলে যাবেন তা হবেনা। আমরা কোর্টে মামলা করে দেব।কমছে কম দু বছর জেলের ভাত খেতে হবে।‘
তারা দুজন কাগজে সই করে দিল।

মিনহাজ কাগজ দুটি পকেটে ভরতে ভরতে বলল- এখন দুজন কাপড় খুলে ন্যাংটা হয়ে যান,ন্যাংটা হয়ে শর্ট দিতে হবে।
‘তামাশা করেন কেন?’
‘নুহাশ চলচ্চিত্র তামাশা করেনা। সময় নষ্ট করবেন না- এখন ন্যাংটা হয়ে শর্ট দিয়ে পেমেন্ট নিয়ে হাসতে হাসতে বাড়ি চলে যান।‘
অভিনেতা দুজন গভীর বিস্ময় ও বেদনা নিয়ে হুমায়ুন আহমেদের দিকে তাকাল।

তাঁদের দৃষ্টিতে লেখা-আপনাকেতো ভদ্রলোক বলে মনে হচ্ছে। আইনের প্যাঁচে ফেলে আপনি আমাদের একি বিপদে ফেলছেন! ঘরে স্ত্রী আছে-পুত্র কন্যা আছে তারাওতো এই ছবি দেখবে।
হুমায়ুন আহমেদ এ দুজনের অসহায় দৃষ্টি উপেক্ষা করে গম্ভীর মুখে সিগারেট টেনে যেতে লাগলেন।


‘সাহিত্য বাসর’ আজব আসর’

হুমায়ুন আহমেদদের পাড়ায় ‘সাহিত্য বাসর’ নামে চেংড়া ছেলেপুলেদের কি যেন একটা আছে। এদের কাজ হচ্ছে দু’দিন পর পর মাইক লাগিয়ে পাড়ার সবাইকে বিরক্ত করা। গল্প পাঠের আসর, কবিতা সন্ধ্যা, ছড়া বিকেল, বৃন্দ আবৃত একটা না একটা লেগেই আছে। এসব ঝামেলা ঘরে বসে সেরে ফেললেই হয় তা করবে না। প্যান্ডেল খাটাবে, মাইক ফিট করবে- বিরাট জলসা। পয়সা কোত্থেকে পায় কে জানে। দেশ যখন বন্যার পানিতে ডুবে গেল তখন ‘সাহিত্য বাসরে’ অনুষ্ঠানের ধুম পড়ে গেল। বন্যার্তদের সাহায্যার্থে কমিক অনুষ্ঠান, বিচিত্রা অনুষ্ঠান, আনন্দ মেলা। এই পর্যায়ের শেষ অনুষ্ঠানটি হল ‘আপনার কি আছে?’

ছুটির দিন সকাল বেলায় আরাম করে দ্বিতীয় কাপ চায়ে চুমুক দিচ্ছেন হুমায়ুন আহমেদ এমন সময় সাহিত্য বাসরের দল বল উপস্থিত। সবার মুখেই হাসি। হাসি দেখেই আঁতকে উঠতে হয়। কারণ এরা সহজে হাসে না।
হুমায়ুন আহমেদ উদ্বিগ্ন হয়ে বললেন কি ব্যাপার?

: আমরা মারাত্মক একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি স্যার। নাম হচ্ছে ‘আপনার কি আছে?’ বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য।
: বাহ খুব ভাল।
: একটা ইউনিক আইডিয়া। গান-বাজনা কিচ্ছু না। ফাকা স্টেজ। স্টেজের মাঝখানে একজন ভিখারী বসে থাকবে গায়ে কোন কাপড় নেই। শুধু কলাপাতা দিয়ে লজ্জাটা ঢাকা। তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে মাইকে বলা হবে- ‘আপনার অনেক আছে। এর কিছুই নেই। একে কিছু দিন।’ তখন দর্শকদের মাঝখান থেকে একজন উঠে আসবে। সে তার মানিব্যাগ শার্ট-গেঞ্জি এসব দিয়ে দিবে। প্রচন্ড হাততালি। ব্যাকগ্রাউন্ডে মিউজিক- ‘ঐ মহামানব আসে।’ কেমন আইডিয়া স্যার?

: খুব ভাল। তোমাদের ধারণা লোকজন সব স্টেজে এসে সব খুলে দিয়ে চলে যাবে?
: শুরুতে যাবে না তবে প্রথম কয়েকজন যখন সাহস করে যাবে তখন ফ্লো এসে যাবে। আপনিতো জানেন স্যার বাঙ্গালী হচ্ছে হুজুগে জাতি। ফ্লোর উপর চলে।
: তা ঠিক।
: এখন আপনি হচ্ছেন আমাদের ভরসা।

হুমায়ুন আহমেদ মনের উদ্বেগ বহুকষ্টে চাপা দিয়ে বললেন- আমি ভরসা মানে?
: প্রথম যে মানুষটি যাবে সে হচ্ছে আপনি। এ পাড়ায় আপনার একটা ইজ্জত আছে। প্রফেসর মানুষ, প্রথম আপনি গেলে অন্য রকম এফেক্ট হবে। একটু হাইড্রামা স্যার করতেই হবে উপায় নেই।

: কি রকম হাইড্রোমা?
: সব কাপড় চোপড় আপনাকে খুলে ফেলতে হবে। তারপর আমরা আপনাকে ঠিক ভিখিরীর মত একটা কলাপাতা দিয়ে জড়িয়ে দিব। আপনি কিন্তু না বলতে পারবেন না। রিকোয়েস্ট।
হুমায়ুন আহমেদ কি করে সেই বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন সেই দীর্ঘ কাহিনী বলতে চান নি তবে অনুষ্ঠানটি শেষ পর্যন্ত কি রকম হল সেটা বলেছেন।

অনুষ্ঠান শুরু হল সন্ধ্যায়। প্রধান অতিথি চলে এলেন। ইনি একজন পেশাদার প্রধান অতিথি। সবাই একে চেনেন। ঢাকা শহরের শতকরা আশি ভাগ অনুষ্ঠানে তিনি হয় প্রধান অতিথি কিংবা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন। চমৎকার একটি বক্তৃতা দেন। যে ফুলের মালা দেয়া হয় সেটি তিনি একটি শিশুর গলায় পরিয়ে অত্যন্ত নাটকীয় কায়দায় শিশুটির কপালে চুমু খান। তখন বিক্ষিপ্তভাবে হাততালি পড়ে। যাই হোক এই প্রধান অতিথি ভদ্রলোক সম্ভবতঃ অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আগে কিছু জানতেন না। যখন দেখলেন স্টেজে কলাপাতা গায়ে এক নেংটো ভিখারী বসে আছে তখন স্বভাবতঃই ঘাবড়ে গেলেন।

তারপর যখন মাইকে অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য বলা হল তখন প্রধান অতিথি শুকনো গলায় বললেন, এসব এরা কি বলছে? হোয়াট ডু দে মিন?
হুমায়ুন আহমেদ তাঁকে সাহস দেবার চেষ্টা করলেন কিন্তু ততক্ষণে মাইকে উদাত্ত গলায় বলা হচ্ছে- ‘এবার আমাদের অনুষ্ঠানে প্রথম যিনি তার সর্বস্ব দিয়ে এক অনুপম আদর্শের সূচনা করবেন তিনি হচ্ছেন আমাদের অতি আদরের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট সাহিত্য বোদ্ধা, অনলবর্ষী বক্তা, সমাজের বন্ধু, অভাজনের চোখের মনি-‘

প্রধান অতিথি কাঁপা গলায় হুমায়ুন আহমেদকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘দৌঁড়ে পালিয়ে যাবার কোন উপায় বোধহয় নেই?’
হুমায়ুন আহমেদ কোন উত্তর দিলেন না। সাহিত্য বাসরের কর্মীরা কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে ঠেলাঠেলি করে স্টেজে পাঠিয়ে দিল।
ব্যাকগ্রাউন্ডে গান হতে লাগল ‘ঐ মহামানব…ও…আসে।’ যে রকম আশা করা হয়েছিল সে রকম হ’ল না। বাঙালি হুজুগে জাতি হলেও এই হুজুগে তারা মাতালো না, দ্রুত মাঠ খালি হয়ে গেল। শুধু প্রধান অতিথি একটি কলাপাতায় লজ্জা নিবারণ করে ত্রিভঙ্গ মুরারী হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন।


সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩
২৬টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×