আওয়ামীলীগ জানে অশিক্ষিত কুশিক্ষিত মাদ্রাসাশিক্ষিত পশ্চাৎপদ এবং উগ্রধর্মান্ধ জাতিকে গণতান্ত্রিক অধিকার দিলে গণতন্ত্র সুরক্ষিত হয় না । মানে আওয়ামীলীগ জানে জনগনের গণতান্ত্রিক অধিকার "আমার ভোট আমি দিবো যাকে খুশি তাকে দিবো"- এই সুযোগ অশিক্ষিত কুশিক্ষিত মাদ্রাসাশিক্ষিত পশ্চাৎপদ এবং উগ্রধর্মান্ধ জাতিকে দিলে তারা ধর্মের লেবাসধারী রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের ভোট দিয়ে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতান্ত্রিক নীতিকে চুদে গাঙ্গ করে দিবে । তাই আওয়ামীলীগ নির্বাচন দেয় ঠিকই কিন্তু সেই নির্বাচনে জনগণ স্বতস্ফুর্ত ভাবে ভোট দিতে পারে না । আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী সমর্থকরা রাতের আন্ধার ককটেল ফাটিয়ে আতংক তৈয়ার করে ব্যালটবক্স ভইরা ফেলায় নইলে নিজেরা নিজেরাই ইভিএম- এ ভোট দিয়া দেয় ।
১৯৭১-এ এই দেশের প্রায় ৪০ ভাগ মানুষ দেশের স্বাধীনতা চায় নাই । কিন্তু শেখ মুজিব জাইনা গেছিলো এইদেশের গণমানুষের উপর ভর করলে দেশ স্বাধীন করা যাইবো না । কারণ শেখ মুজিব বুঝে ছিলো বাঙ্গলার মানুষকে মুক্তি দিতে হইলে তার দেশকে স্বাধীন করতেই হবে । তাই শেখ মুজিব ৪০ ভাগ জনগোষ্টির ইচ্ছাকে তোয়াক্কা না করে নিজের রাজনৈতিক জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলো ।
আহমেদ ছফা তার রাজনৈতিক নিবন্ধে লিখেন , শেখ মুজিব যদি একাত্তরে বুদ্ধিজীবীদের কথা শুনতো তাইলে দেশ স্বাধীনই হইতোনা ।
কারণ দেশের তৎকালীন বুদ্ধিজীবীরা শেখ মুজিবকে ছবক দিয়েছিলো , দেশের চল্লিশ ভাগ জনগোষ্টির ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে শেখ মুজিবের দেশ স্বাধীন করার সিদ্ধান্ত ভুল । অথচ শেখ মুজিব দেশ স্বাধীন কইরা দিয়া প্রমাণ করাই দিছে শেখ মুজিবের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তই সঠিক ছিলো ।
শেখ হাসিনা শেখ মুজিবেরই মাইয়া । তাই শেখ হাসিনা জানে এই দেশের মানুষ দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লেও ঘুষ খায় , খুন করে , ধর্ষণ করে , দুর্নীতি করে তারপরেও ইসলাম রক্ষার জন্য জীবন দেবার চায় । এই জাতির কাছে গণতন্ত্রের চাইতে ইসলামতন্ত্রই বড় । কিন্তু শেখ হাসিনা জানে আধুনিক দুনিয়াকে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের ধ্যান ধারনা থেকে বেরিয়ে এসে ধর্মনিরপেক্ষ এবং সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের দিকেই এগিয়ে যেতে হবে । তাই শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে ঢাল হিশেবে ব্যবহার করে মূলত বাঙ্গালির কাঙ্ক্ষিত মুজিববাদই কায়েম করবার চায় । কারণ মুজিববাদে আছে গণতন্ত্র , জাতীয়তাবাদ , ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতন্ত্র ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫০