somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যৌনাসক্তি ।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেয়েটি একটা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়ে। উচ্চশিক্ষার নেশায় ঢাকায় এসেছে জেলাশহর থিকা। থাকে কয়েকবান্ধবী মিলে একটা ফ্ল্যাট নিয়ে। আড্ডা-ফাড্ডা দেয় টিএসসিতে।

মেয়েটি দেখতে বেশ গোছানো, পরিপাটি এবং পরিশীলিত। কপালে টিপ পরে জামা-কাপড়ের রুচিও বেশ ভালো।
ক্ষ্যাপা চাকরি করে গাজীপুরে। একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ম্যানেজার। উত্তরাতে তিন রুমের একটা ফ্ল্যাট দেওয়া হইছে থাকার জন্য। সে একা থাকে। ক্ষ্যাপার ফ্যামিলি চট্টগ্রামে। ঢাকায় ফেইসবুক ফ্রেন্ড ছাড়া ক্ষ্যাপার আর নিকটাত্মীয় বলতে কেউ থাকেনা!
ক্ষ্যাপা ব্যাসিক্যালি লেখালেখি করে ছবি তোলে আর সিনেমা বানায়। চাকরিটা স্রেফ এইসব কাজ ঝামেলাহীনভাবে করার জন্যেই করে।
লেখালেখির কারণে ক্ষ্যাপার সাথে টিএসসির অনেক লোকজনের চেনা পরিচয় আছে। মেয়েটিও ক্ষ্যাপার পরিচিত ফেইসবুকের সুবাধে। উদ্যানে তাদের বহুবার আড্ডা দেওয়া হইছে চা-বিড়ি খাইতে খাইতে।

ক্ষ্যাপা মেয়েদের সাথে মিশে ব্যাসিক্যালি সেক্স্যুয়াল ইন্টেশন নিয়ে। যে নারীর সাথে মেশার পরে ক্ষ্যাপা বুঝে যায় যে সেক্স্যুয়াল রিলেশন সম্ভব নয় তাইলে ক্ষ্যাপা ঐ নারীর সাথে আছি আছি নাই নাই টাইপ একটা রিলেশন মেইনটেইন করে ক্ষেত্রবিশেষে আর মিশেই না!
আবার যেসব নারীর সাথে মনে হয় আজ না ভবিষ্যতে সেক্স্যুয়াল রিলেশন সম্ভব তাইলে ইম্প্রেস করার চেষ্টা চলমান রাখে। যাতে আজ না হোক কাল সেক্স করা যায়।

ক্ষ্যাপার আশেপাশে থাকা বহু মেয়ের সাথে এই ফিলোসফিতেই সেক্স্যুয়াল সম্পর্ক হয়েছে। কোন মেয়ের সাথে এই যাবত ক্ষ্যাপা চিটিং করে কিংবা ট্র‍্যাপ করে, কিংবা জোর করে সেক্স করে নাই। এমনকি সেক্স পরবর্তী কোন ভিডিও ফুটেজ কিংবা ন্যুড পিক নিয়ে কোন মেয়েকেই ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টাও করে নাই। ক্ষ্যাপা মনে করে এইসব ফাউলামি তার কাজ না তার কাজ নিজের জীবনকে যৌনতায় মগ্ন রাখা। ক্ষ্যাপা যৌনতায় ভেরিয়েশন পছন্দ করে। যৌনতায় ক্ষ্যাপা সর্বভুক। সকল ধরণের সকল বয়সের সকল বর্ণের নারীই ক্ষ্যাপার জন্য উপযুক্ত। শুধু আন্ডারএইট্টিনে ক্ষ্যাপার চোখ যায় না! কারণ ক্ষ্যাপার রক্তপাত পছন্দ না!
আর ক্ষ্যাপার এইসব কিছুই মেয়েটি জানে। কারণ ক্ষ্যাপা ব্যক্তিজীবনে যেমন ফেইসবুক জীবনেও প্রায় তেমনই। তার লেখায় তার ব্যক্তিজীবনের স্পষ্ট ছাপ পাওয়া যায়।

ক্ষ্যাপা আজ উদ্যানে আসলো পাঁচটার একটু আগে। অন্যান্যদিন তার সাতটার পর হয়। আজ অফিস থিকা দুপুরেই বেরিয়ে পরেছিলো সে। এসেই দেখে মেয়েটি হাবীবের দোকানে একা বসে চা-বিড়ি খাচ্ছে । ক্ষ্যাপা একটা সিগারেট জ্বালাইয়া মেয়েটির পাশে বইসা কইলো, ইশ কি সুন্দর তুমি দেখতে! মেয়েটি ভ্রু কুচকিয়ে ক্ষ্যাপারে বললো, লাগানোর ধান্ধা বুঝি! ক্ষ্যাপা কইলো, ব্রিলিয়ান্ট। তোমারে লাগাইতে দিতে আমার সমস্যা নাই যদি তুমি আমার দায়িত্ব নাও।- মেয়েটি বললো। ক্ষ্যাপা জানতে চাইলো, সেই দায়িত্বটা কী রকম? মেয়েটি বললো, আমার রুম ভাড়া তিনহাজার টাকা। মাসে মেসে আড়াই থেকে তিনহাজার টাকার মতন খাওন খরচ আসে। হাতখরচ বাবদ দুইহাজার মতন যায়। এইখান থেকে তুমি যেকোন একটার দায়িত্ব নিলে আমি তোমার সাথে সেক্স্যুয়াল সম্পর্কে যেতে পারি এবং যদি তুমি ওয়ানহান্ড্রেট পার্সেন্ট প্রাইভেসি মেনটেইন করতে পারো। ক্ষ্যাপা মেয়েটির মুখে এই কথা শুনে আনন্দিত হইয়া কইলো, বাহ এতো আমার জন্য কোন ব্যাপারই না। আজ থিকা তোমার বাসা ভাড়ার দায়িত্ব আমার। সাথে তোমার ফোন আর নেটের বিলের দায়িত্বও আমার। প্রতি মাসের সাত তারিখ আমি তোমাকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে দিবো। মেয়েটি বললো, এখন তুমি আমাকে কিছু টাকা দিতে পারবে আমার এই মাসে মেসের ভাড়া দেওয়া হয় নাই। ক্ষ্যাপা দেরি না করে মানিব্যাগ বের করতে করতে বললো অফকোর্স!

ক্ষ্যাপা মেয়েটিকে নিয়ে উত্তরায় তার বাসায় যাচ্ছে। ক্ষ্যাপার মন আজ খুব খুশি। অনেকদিন অপেক্ষা করেছে মেয়েটির শরীরের জন্য। ক্ষ্যাপা বিশ্বাস করে, শরীর দেখে প্রেমে পরে যেই জন ; সেইজন সেবিছে ঈশ্বর। মেয়েটিও আজ খুব খুশি। সে একটা ভরসা করার মতন মানুষ পেয়েছে। পরিবার থেকে তার যে খরচ আসে সেটা দিয়ে কোন রকম বাসাভাড়া হয় টিউশনি দিয়ে খাবার খরচটা কোন রকম চলে। তারপর এ-ওর কাছে হাত পাতা ধার-দেনা ভাল্লাগেনা মোটেও তার! তার একটা ফিক্সড শেলটার দরকার ছিলো এতোদিন! আজ মনে হচ্ছে সে একটা শেলটার পেয়েছে। ক্ষ্যাপা মেয়েটিকে বললো, দেখো আমি যেকোন সম্পর্কের মধ্যে একটা ফিলোসফিক্যাল আইডিওলজি মেনটেইন করি। মেয়েটি জিগাইলো সেটা কী? ক্ষ্যাপা কইলো, থাকলে আছি না থাকলে নাই। মানে তুমি যতোদিন আমার সাথে থাকতে চাইবা আমি তোতোদিন তোমার সাথে থাকবো আর যখনই তুমি আমার সাথে থাকতে চাইবানা তখন আমিও থাকবোনা; অন্য মাইয়া খুঁজে নিবো। তুমি না ছাড়লে আমিও ছাড়বোনা। আমার তরফ থিকা সম্পর্ক ছাড়ার নিয়ম নাই। সো তোমার উপর নির্ভর করছে আমাদের এই সম্পর্ক কতোদিন কনটিনিউ করবে। একমাস নাকি এক বছর নাকি আরো বেশি... মেয়েটি ক্ষ্যাপার কথার উত্তরে বললো, লেট সি...

৩০জানুয়ারি২০২১।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×