Hitler বলেছিলেন, "war is life, war is universal"
গভীর ভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যুদ্ধমানেই কামান দাগানো নয়,,যুদ্ধ মানেই সভ্যতা ধ্বংস নয়।
বেঁচে থাকার তাগিদে আমরা প্রতিনিয়তই যুদ্ধ করে যাচ্ছি। দু'বেলা দু'মুঠো খাবারের জন্য নিরন্তর সংগ্রাম,,চাকরী পাবার জন্য আবার কর্মস্থলে পৌছাঁনোর জন্য রাস্তায় জ্যামের সাথে যুদ্ধ,,,,চলার পথে এমন হাজারো যুদ্ধের মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। তবে প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা ভিন্ন ভিন্ন।
এমন বিচিত্র রকমের যুদ্ধ আমাকেও করতে হয়েছে অনেকবার। সর্বশেষ বাড়িতে ফেরার জন্য ও যে সংগ্রাম করতে হল তা এক কথায় অসাধারণ
পরীক্ষা শেষ হলেও কেন যেন বাড়িতে যাওয়া হচ্ছিলনা। অবশেষে ৩১ অগাষ্ট হুট করে বাড়িতে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। সকাল ১১.৪৫ এ গাড়ী কিন্তু বরাবরের আলসেমীর জন্য ঘুম থেকেই জাগলাম ১১টায়
সাব্বির জানাল মিরপুর রোডে অনেক জ্যাম।
মেজাজ প্রচন্ড খারাপ হল কিন্তু কি করা? বললাম আধা ঘন্টায় পৌছে দিবেন।কেমনে দিবেন জানিনা।
উফ্ এ যাত্রায় বেঁচেই গেলাম।কাউন্টারে গিয়ে দেখি গাড়ীটা ছাড়ি ছাড়ি করছে। কোন রকমে টিকেট করে বাসে উঠলাম।
বশেষে রাত ৯.১৫তে খালার বাসাতে পৌঁছালাম। তবে বাবাসোনাটা বেশ অস্থির হয়ে ছিল। এতটা পথ অতিক্রম করেনি তো তাই। কোন সমস্যা ছাড়াই এভাবে পৌঁছাতে পেরে তো আমি দারুণ খুশি কিন্তু তখনোকি জানতাম আমার আসল দুর্ভাগ্য তো সামনে।
খুলনা থেকে বাসে করে বাসায় যেতে ইচ্ছা করেনা। আব্বু এসে নিয়ে যায়।এবার ও আব্বু আসল। অফিস করে মটরসাইকেলে করে। এদিকে খুলনাতে প্রচন্ড ঝড়।বর্ষা কমলে বিকাল ৪.৩০ এ রওনা দিলাম।সাথে আমার ২মণ ওজনের ব্যাগ ২টা। কিছুদূর গেলেই বর্ষা শুরু। চারিদিকে সবুজ আর সবুজ__________
রাস্তার পাশে আমলকী গাছগুলি দেখতে এত অদ্ভূদ লাগছে!!!!!!!!
সব কিছুই বৃষ্টিস্নাত।শুধু শুধু কি আর কবি রূপসী বাংলা বলেছেন।প্রকৃতির সাথে আমিও ভিজে চলেছি মায়ের বুকে ফিরে যাবার প্রত্যাশা নিয়ে।
(এটাতো আমার দূর্ভাগ্যের শুরুমাত্র )

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


