ফ্লাইট ভোর ৬.৪০,বাসা থেকে বের হলাম রাত ১০ টায়।মহাখালিতে বন্ধুর বাসায় ৪ টা পর্যন্ত আাড্ডা দিয়ে এয়ারপোর্ট গেলাম।ইমিগ্রেশনে প্রতিবার আমার ঝমেলা হই।আমার ছবি আর ছেহারার মিল খুজে পায় না।অবশ্য অন্য দেশে সমস্যা হই না।সব শেষ করে প্লেনে উঠে কঠিন ঘুম দিলাম।কলকাতায় ৩০ মিনিট বসে ছিল তখন ও জাগি নাই।থাই এয়ারপোর্ট বিশাল তবে আমার কাছে এখন পর্যন্ত সিংগাপুর এয়ারপোর্ট বেশি ভালো লেগেছিল।ইমিগ্রেশনে বেশি সময় লাগে নাই।আসার সময় নেট ঘেটে হোটেলের ঠিকানা নিয়ে এসেছিলাম।বাইরে এসে ট্যাক্সি নিয়ে ড্রাইভারকে ঠিকানা দেখালাম।সে বলল এটা এয়ারপোর্টের কাছে।এখানে থাকলে পরে কোথও ঘুরতে গেলে খরচ বেশি পরবে। ড্রাইভারের নাম ছিল জন।পরে সে আমাকে তার বাসার কাছে একটা হোটেলে উঠাইছিল।১০০০ বাথ পার নাইট।হোটেলে আসার সময় জনের সাথে অনেক কথা হল।সে আমারে জিগাই রাতের ব্যাংকক দেখবো কিনা
টেলেফোনের পব্দে ঘুম ভেংগে দেখি ৫ টা বাজে,রিসেপসন থেকে জানালো আমার সাথে এক লোক দেখা করতে এসেছে।আমি আকাশ থেকে পরলাম,সকালে আইলাম বিকালে আবার কে আসে দেখা করতে।প্রথমে ভাবলাম ভাইয়ার কোন বন্ধু হবে।আমি যেখানেই যাই বেসিরভাগ সময় ভাইয়ার কোন না কোন বন্ধুর সাথে দেখা হই।রিসেপশন থেকে নাম বলল জন বুজলাম সকালের ড্রাইভার।সে আসছে আমাকে তার বাসা্য় নিতে।প্রথমে ভয় পেলাম পরে ঠিক করলাম যাই ঘুরে আসি।বুজলাম না আমারে বাসা্য় নেয়ার দরকার কি।রেডি হয়ে নিচে নামলাম।সে তার বাইক নিয়ে আসচে।ব্যাংককে প্রচুর বাইক দেখেছি।জনের বাসাই তার বৌ আর মেয়ে ছিল।মেয়েটা অনেক সুইট।ওদের সাথে ৩ ঘন্টা ছিলাম।অজানা কোন দেশে এসে এমন মজা আর কোথাও পাই নি।রাত ৯টাই বের হলাম।২ ঘন্টা জনের সাথে ব্যাংককের অলি গলি ঘুরলাম।পরদিন থেকে দিনে বের হতাম জনের টেক্সিতে,রাতে ঘুরতাম বাইকে করে।থাইল্যন্ড গেলে সবাই যায় পাতায়া,ফুকেট এসব জায়গায়।পতায়া যাওয়া হই নাই।হাতে সময় ছিলনা। ফ্লোটিং মার্কেটে গেছিলাম ১ দিন ।বাকি সময় নিজের ব্যাবসার কাজেই ব্যাস্ত ছিলাম।আশা আছে আবার জাবো শুধু গুরতে। জনের সথে এখনো মাজে মাজে ফোনে কথা হয়।আমি এখনো বুজতে পারি নি সে আমার সাথে এত বেশি মিশল কেন।আমার দেখা ভাল মানুষদের মাজে একজন হচ্ছে জন।
জন
ফ্লোটিং মার্কেট,সব কিছু মুলামুলি করে কিনতে হয়।
জনের বাসা্য়
থাই এয়ারপোর্টে আসার দিন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



