somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেক্ষিত: "Je suis Charlie", আমি এবং আমরা - ক্লান্ত মনের অসতর্ক মতামত

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দীর্ঘদিনের অপরিনামদর্শী যথেচ্ছ ব্যবহারের বিরুদ্ধে নীরব বিদ্রোহ করল আমার ল্যাপটপ। ব্যাপারটা টের পেলাম ভোরে যখন যন্ত্রটিকে আর চালু করা গেল না। রুটি রুজির তাড়না্য় সদা তৎপর আমি স্টোর রুম থেকে আপদকালীন 'ব্যাকআপ ল্যাপটপ' বের করে চালু করতেই বিভিন্ন আপডেটের কবলে পড়তে হল। এই লেখাটির উৎসাহ পেলাম যখন নোটপ্যাড++ এর নতুন আপডেটেড ভার্সন চালু করলাম (উইন্ডোজ টেক্সট এডিটিং বা কোডিংয়ে আমার পছন্দ নোটপ্যাড++)। নতুন ট্যাবের সাথে অপ্রত্যাশিতভাবে আরেকটি ট্যাব new 1-এ ততক্ষনে ভেসে উঠল -

Freedom of expression is like the air we breathe, we don't feel it, until people take it away from us.
For this reason, Je suis Charlie, not because I endorse everything they published, but because I cherish the right to speak out freely without risk even when it offends others.
And no, you cannot just take someone's life for whatever he/she expressed.
Hence this "Je suis Charlie" edition.
- #JeSuisCharlie

বলার অপেক্ষা রাখে না নোটপ্যাড++ এর "Je suis Charlie" সংস্করন সম্প্রতি ফ্রান্সে ঘটে যাওয়া রম্য সাময়িকী Charlie Hebdo (শার্লি এবদো)'র নৃশংস হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ধারাবাহিকতা। নোটপ্যাড++ প্রতিবাদের অভিনবত্ব আর মানবিক সুর আমাকেও আপ্লুত করে। কিন্তু মানুষ হিসেবে তুলনামুলকভাবে কম আবেগ থাকায় (আবেগহীন নই) আবেগের আবেশ কাটতে বেশী সময় লাগেনি। অফিস যাবার তাড়াও এর একটি কারন। কিন্তু অবাক হলাম যখন আমার মধ্যে প্রতি আবেগের স্ফুরন হল সাবওয়ে ট্রেনের ধারাবাহিক ঝাকুনিতে। ভাবলাম কিছু লিখব অফিস শেষে বাসায় ফিরে যদি ফুরসৎ মিলে।

মানুষ মাত্রই আবেগী। নিজ আবেগের কমতি বা ঘাটতির জন্য চারপাশের আবেগের অতি নাটকীয়তা, একপেশেভাব আর স্বার্থপরতা আমার কাছে দৃষ্টিকটু, সময়ে বাড়াবাড়ি মনে হয়। শার্লি এবদো'র প্রতিক্রিয়ায় সোশাল মিডিয়া, ব্লগে আবেগের সুনামি প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু এই বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনায় যারা কান্নার নহর বইয়ে Je suis Charlie (আমি শার্লি) বলে empathize হচ্ছেন তারা কতজন অতীতে আমি ফিলিস্তিনি, আমি সিরিয়ান, কিংবা আমি ইরাকি বলে সুর তুলেছিলেন।

ফ্রি সফটও্য়্যার (GNU General Public License) আর ব্যবহার উপযোগিতার কারনে নোটপ্যাড++ খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু রাজনৈতিক বা মতাদর্শী বক্তব্য উপস্থাপনে নোটপ্যাড++ কুশীলবদের হাতেখড়ি শার্লি এবদো ঘটনায় এমন ভাবা ভুল হবে। আন্তর্জাতিক বিতর্কের মানচিত্রে তাদের 'মুক্তচিন্তা' আর 'বাকস্বাধীনতা'র প্রকাশ ঘটায় চীনা সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিক বর্জনের আহবান জানিয়ে। গত ৭ই জানুয়ারি মত প্রকাশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করতে তাদের গুগল প্লাস পেইজে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর 'নির্দোষ ক্যারিকেচার' পোস্ট করে।

শার্লি এবদো'র নৃশংস হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে নোটপ্যাড++ প্রতিবাদ

ক্যারিকেচারটির ক্যাপশনে লেখা (mahomet deborde par les integristes) মুহাম্মাদ মৌলবাদীদের দ্বারা আবিষ্ট এবং (c'est dur d'etre aime par des cons...) ঐ নির্বোধদের ভালোবাসা পাওয়া কষ্টকর। জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে অনেক মানুষের কাছেই কার্টুনটি স্পর্শকাতর হতে পারে; ধর্ম সন্ত্রাসীদের জন্য এটা বড় ইন্ধন হতে পারে। বাকস্বাধীনতার নামে 'ইসলাম' এর উপর যুগপৎ চলতে থাকা পাশ্চাত্য আক্রমনে আমাদের মত প্রগতিশীলদের বিচলিত না করলেও মধ্যযুগীয় পশ্চাদপদ 'পশু' যদি প্রতিক্রিয়াশীল হয় তবে তার দায়ভার কি মানবাধিকার আর মানবতার ধ্বজাধারীরা স্বীকার করবে?

শার্লি এবদো'র ঘটনা কোনো কল্পকাহিনী নয় বরং নির্মম সত্য। বাস্তবতা মেনে না নিয়ে মুক্ত বুদ্ধির চর্চাকে উৎসাহিত করতে গিয়ে নোটপ্যাড++ নির্দিষ্ট গোষ্ঠী/ধর্মকে কটাক্ষ করে ভবিষ্যৎ সন্ত্রাসের অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। অশালীন ঈঙ্গিতময় আরেক কার্টুনে তারা ক্যাপশন টেনেছে "৪ কার্টুনিস্ট মেরেছো? আরো ৪০০ আসছে"। কার্টুনটির প্রচ্ছন্ন ঔদ্ধত্য আর যাই হোক কোনো নিষ্পত্তির দিকনির্দেশ করছে না।

৪ কার্টুনিস্ট মেরেছো? আরো ৪০০ আসছে

মধ্যপ্রাচ্যীয় বা তাদের বংশদ্ভুত ধর্মসন্ত্রাসী পশুদের আক্রমনে রক্তাক্ত হয়েওবারবার কেনো সেই পশুদেরকেই নতুন করে আক্রমন করার জন্য উসকানি দেয়া? ফ্রান্সে আজকে হয়ে যাওয়া সন্ত্রাস বিরোধী র‌্যালি প্রমাণ রাখলো সম্মিলিতভাবে শান্তির গন্তব্যে পৌছার সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ৩৭ লক্ষ লোকের অংশগ্রহণ বলে দিলো সন্ত্রাস বিরোধী দৃঢ় প্রত্যয়। কই তা জানাতে তো নতুন করে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র আকতে হয়নি; খোচাতে হয়নি ইসলামকেও!

২০১১ সালে নরওয়েতে ইসলাম বিদ্বেষী ব্রিভিক যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তখন তার ধর্মীয় পরিচয় কাটাছেড়া করা হয়নি। কিন্তু কোনো মুসলিম নামধারী সন্ত্রাসের দায়ভার কেনোই বা আমাদের নির্দোষ ধর্মের উপর পড়বে? অন্যভাবে বলতে গেলে দুনিয়ার তাবৎ মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর বর্তাবে? মিডিয়া মোঘল র‌্যুপার্ট মারডকের শার্লি এবদো'র ঘটনা প্রসঙ্গে করা সাম্প্রতিক মন্তব্যে আলোকপাত করব। ৯ই জানুয়ারি টুইটারে জনাব মারডক লিখেন:

Maybe most Moslems peaceful, but until they recognize and destroy their growing jihadist cancer they must be held responsible.

শ্বেত আধিপত্যবাদি ও স্বাজাতিক মন্তব্য র‌্যুপার্ট মারডকের কাছে নতুন কিছু নয়। মিডিয়া নিয়ন্ত্রনে থাকলে এমন 'প্রলাপ বকা'র সাহস দেখায় আবার পেছনে বসে মজা লুটে!

মারডক থেকে শার্লি এবদো'র ঘটনায় ফিরে আসি। রম্য সাপ্তাহিকী হিসেবে শার্লি এবদো'র কাটতি খুব আহামরি কিছু নয়। সাকুল্যে ৪৫ হাজার যেখানে সর্বোচ্চ বিক্রীত বিদ্রুপাত্মক রম্য সাপ্তাহিকী Le Canard Enchaîné এর প্রচার সংখ্যা ৪২০৩০০ যা শার্লি এবদো'র ৯ গুনেরও বেশি! শার্লি এবদো'র বর্তমান অবস্থার জন্য তাদের নৈতিকতা বিবর্জিত ব্যবসায়িক স্বার্থসিদ্ধির অপরিনামদর্শী উদ্যোগকেই দায়ী করবো আমি। আমার মন্তব্যের পক্ষে পাঠকদের উদ্দ্যেশ্যে কিছু ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার তুলে ধরছি।

নিজেদের বামপন্থী-বহুত্ববাদী ও বর্ণবাদবিরোধী পরিচয়ের ধোঁয়া তুলে তাদের নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বিদ্বেষী কলা তাদের ব্যবসা জিইয়ে রেখেছিল। ১৯৭০ সালে পত্রিকাটির জন্মই হয় অন্য আরেকটি নিষিদ্ধ রম্য সাময়িকীর কর্তারা যখন সিদ্ধান্ত নেন নতুন নামে আবার বাজারে আ্ত্মপ্রকাশের। কিন্তু পড়তি কাটতি আর বাজার হারিয়ে ফেলা পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায় ১৯৮১ সালে। ঠিক এক দশক পর তা আবার বাজারে আসে। পরের দেড় দশকে বাজারে টিকে থাকার যুদ্ধে ধুকতে থাকা ম্যাগাজিনটি ধন্বন্তরি মন্ত্র খুঁজে পায় ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। পাঠকরা কি ধারনা করতে পারছেন কি ছিল সেই সংখ্যায়? অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে উদ্দিষ্ট বিষয়বস্তু এক ঐতিহাসিক ব্যক্তি - আমাদের মহানবী মুহাম্মাদ (সাঃ)।

সেই শুরু। সেবার এক মন্ত্রেই বিক্রি হলো ৩১০,০০০ কপি যার প্রচ্ছদ এই লেখার সাথেই পাঠকরা দেখেছেন। পত্রিকাটি এতটাই বিতর্ক জন্ম দিল যে তৎকালীন ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট একে উসকানিমূলক বলে নিন্দা জানান। তিনি এও মন্তব্য করেন : "যা অন্যের বিশ্বাসে আঘাত করে বিশেষ করে ধর্মীয় বিশ্বাসে তা পরিত্যাগ করা উচিত।" ব্যাপারটা আদালত পর্যন্ত গড়ালেও রায় পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক ফিলিপ ভাল্ এর পক্ষে যায়। ২০০০ সালে এই সম্পাদক তার লিখিত ফিচারে ফিলিস্তিনিদের 'অসভ্য' আখ্যা দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানালে চাকুরি হারাতে হয় মোনা শোলেয় নামের সংবাদকর্মীর।

পরবর্তী বিতর্কিত কিস্তি বাজারে আসে ২০১১ সালের নভেম্বরে। সেই সংখ্যার বিশেষ নামকরন করা হয় "শারিয়া এবদো" হিসেবে এবং অতিথি সম্পাদক হিসেবে চিত্রিত হন মহানবী মুহাম্মাদ (সাঃ)। প্রচ্ছদে হাস্যজ্জ্বল 'সম্পাদক'কে বলতে দেখা যায়: '১০০ চাবুক যদি হাসতে হাসতে না মর।' ফলাফল - পত্রিকার কাটতি তিনগুনের বেশী; কিন্তু এবার খেসারত দিতে হলো বোমা হামলার ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে।

তবুও মাথা নোয়াবার নয় ঐতিহ্যগতভাবে স্বাধীন মত প্রকাশের ধারক ফ্রেঞ্চ স্যাটায়ারিস্টরা। সাথে বেনিয়া প্রবৃদ্ধির লালসা। ২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কিস্তি আবার বাজিমাত করল। প্রচ্ছদে আবার সে পুরনো মুখ তবে মুসলমান সন্ত্রাসীদের ফোঁড়ন দিতে তার স্যাঙ্গাত হিসেবে জুড়ে দেয়া হলো 'টুপিওয়ালা' গোঁড়া ইহুদীর অনির্দিষ্ট চরি্ত্র।

২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কিস্তি

দেড় লাখেরও বেশী বিকলো ঐ সংখ্যা। যারা ফরাসী ভাষা জানেন তাদের আরও জানার জন্য থাকলো এই লিংক। ২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সংখ্যার বিক্রি ও অন্যান্য তথ্যাদি

বছর দুই নিরুপদ্রুপ কাটলেও এবার শান্তি ভঙ্গ করলো আলজেরীয় মুসলিম দুই ভাই। হামলার ফলাফল ও ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে আম বিশ্ববাসীর ভাগ্যে জুটল অসামান্য সুযোগ - আমাদের সবার 'শার্লি' হয়ে উঠার সুযোগ। 'শার্লি' হবার উল্লাসে আর সহমত দেখানোর আদেখলাপনা্য ভাসিয়ে দিলাম, দিয়ে যাচ্ছি সামাজিক যোগাযোগের বিস্তীর্ন অবারিত প্রান্তর।

কিন্তু পাঠকদের কাছে আমার প্রশ্ন হলো দিনশেষে 'আমাদের' প্রাপ্তি কি?
এখানে আমাদের বলতে বুঝিয়েছি এই অতি সাধারন আমি-আপনি যাদের দেশ বাংলাদেশ। কে বাঙালি - কে বাংলাদেশি এই বিতর্কে না জড়িয়েও এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে আমাদের আরও একটি পরিচয় আমরা মোটাদাগে মুসলমান। নামে মুসলমান, খাঁটি মুসলমান কিংবা মুসলিম প্রবন যা-ই হই না কেন র‌্যুপার্ট মারডকের ব্যবস্থাপত্র অনু্যায়ী সন্ত্রাসের দায় আমাদের উপরই বর্তায়। আমরা নির্বিকার মেনে নিই আমাদের দৃঢ়ীভূত 'সন্ত্রাসী' পরিচয়ের।

পশ্চিমা মানসিক এবং রাজনৈতিক বাস্তুসংস্থান আমাদের নিরন্তর উৎসাহিত করে নিজেদের 'শার্লি' বোধীয় প্রতিক্রিয়া জানাতে। নিজেদের সেকুলার, উন্নত, উত্তরাধুনিক প্রমাণে সচেষ্ট আমরা ফেইসবুক, টুইটার আর ব্লগ ভাসিয়ে দেই নিজ দেহে পরিপাককৃত পশ্চিমা বমিতে। কিন্তু তাতে কি আমাদের পরিচয় বদলে যাবে? নাকি তাতে আমাদের জাতীয় সমস্যাগুলো নিমেষেই হাওয়া হয়ে যাবে? পশ্চিমের আজ্ঞাবহ স্তাবকতা আর নিজেদের ''ওয়েস্টার্ন" তৈরীর মোহগ্রস্ততায় আমাদের 'বর্তমান' বেশ কেটে যাচ্ছে বলে যে অলীক স্বস্তি আমাদের রাজনৈতিকভাবে চির দূর্বল করে তুলছে যার প্রমান আমরা রাখছি জাতী্য় রাজনৈতিক দৈন্যতায়। আজ হোক কাল হোক পশ্চিমা সিস্টেমিক মুসলিম দমন নীতির দৈবচয়নে বাংলাদেশী/বাঙালি মুসলমানদের উপর 'সন্ত্রাসী' মোহরের ছাপ পড়বে। সেদিন নতুন পরিচয় উদযাপন হবে আমাদেরই রক্তে রক্তাক্ত।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৩
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×