somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টিকা ও নেশার পাদটিকা

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কয়েক যুগ হতে চললো পরীক্ষা পাশের জন্য হোক কিংবা নিজের সাহিত্য প্রতিভা প্রমানের জন্য আমার রচনা লিখতে হয়নি। আজ অনেক আক্ষেপ নিয়ে রচনা লিখতে বসলাম।পরীক্ষা পাসের জন্য যেমন গৎবাঁধা রচনা লিখতে হয় তেমন কিছু একটা লিখবো না এই প্রত্যয়ে গলদঘর্ম হলাম কারন প্রসঙ্গটা তো ওরকমই ঘাম ছুটানোঃ করোনার টিকা আমদানি বিষয়ে বিলম্বিত সরকারী উদ্যোগে আমাদের হাহাকার। হাহাকার টাইপ করতে গিয়ে ভাবলাম হা হা হাসির রম্য রচনা লিখবো। কিন্তু অনেক সময় অপচয় করে ব্যথা নিয়েও কিছু প্রসব করতে যখন ব্যর্থ ভেবে ল্যাপটপ বন্ধ করতে নিচ্ছি তখনই আইডিয়াটা আসলো; মূল রচনা পাদটিকা দিয়ে শুরু করবো। তাই হলো ; টিকার রচনাতে পাদটিকার অস্থানিক অনুপ্রবেশ।

পাদটিকাঃ বাংলাদেশে মাদক বা নেশা দ্রব্যের মধ্যে সবচেয়ে সহজলভ্য এবং বিশেষভাবে সস্তা কোনটি? সুপ্রিয় পাঠকরা যারা এবিষয়ে ওয়াকিবহাল তাদের সাহায্য চাইবো যাতে আমি যত শীঘ্র সম্ভব স্বল্পতম সময়ে নেশা করে চির-ঘোর লাগা অবস্থায় চলে যেতে পারি।

প্রকৃত সূচনাঃ বয়স সংকট, ভিন্ন জীবিকা ও সুস্বাস্থ্য - এই তিনের মিশ্রনে যখন করোনার টিকা কপালে জুটলো না তখন আল্লাহ্‌র কাছে প্রতি ওয়াক্তে বিশেষ মোনাজাতে করোনা মুক্ত থাকার ইচ্ছা ফরিয়াদ করে করে অভ্যস্ত হচ্ছি। মনকে আর কাহাতক প্রবোধ দিবো? তাই মেডিটেশনে নতুন নতুন ‘মেরা নাম্বার জরুর আয়েগা’ মার্কা সাজেশন দিয়ে নিজেকে পজিটিভ রাখার আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। যেদিন পত্রিকায় দেখলামঃ "৪০ বছরের বেশি বয়সীরা সবাই স্থানীয় যেকোন সরকারি হাসপাতালে গিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে পারবেন" তখন মাকরুহ ওয়াক্তেই খুশিতে শোকরানা নামাজ পড়লাম। নিবন্ধন শেষে যখন ফিরতি টেক্সটে টিকা নেয়ার দিন ক্ষণ জানলাম মনে হলো যেন বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনালের টিকেট কনফার্মেশন!

প্রাককথনঃ টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে এতোটা উত্তেজিত হয়ে গেলাম যে সাত পাঁচ না ভেবে টিকা নেয়ার পরমুহূর্তের দু আঙ্গুলে ‘V’ আঁকা ছবি তুলে ফেইসবুক, ইন্সটাগ্রাম, আর লিঙ্কডইনে ব্যাপক প্রচার করলাম টিকা ব্যবস্থাপনায় সারা বিশ্বের পথিকৃৎ মডেল কন্যা থুক্কু রোল মডেল আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে। ফলাফল হলো বন্ধু/শত্রু নির্বিশেষে আশেপাশের সবার তির্যক মন্তব্য হজম এবং রাজনৈতিক এই দুঃসময়ে সরকার সমর্থক, তোষামোদী (নরেন্দ্র মোদীঢ় নামের সাথে কাকতালীয় মিল পেয়ে নিজেকে কেউকেটা লাগলো) দলকানা ইত্যাদি ট্যাগিংয়ের শিকার। মনে মনে ভাবলাম আমার টিকা পাবার সৌভাগ্যে সবাই ঈর্ষান্বিত! লেজ কাটা শেয়ালের মতো এতদসংক্রান্ত নানা বিতর্ক সচেতনভাবে এড়িয়ে চলতে শুরু করলাম। টিকা পাওয়ার স্বস্তিতে রাতারাতি মহাত্মার অহিংস নীতিবাদের অনুসারী হলাম। বোধোদয়ে ভাবনা আসলো কি হবে মোদী টিকা, সেরামের টিকার কার্যকারিতা, ভারত-চীন টিকা পন্থা ইত্যাদি বালসুলভ আলোচনায় প্যাঁচ খেয়ে। আড়ালে বসে দ্বিতীয় ডোজের মোক্ষলাভের দিবাস্বপ্ন দেখে রাত-দিন যখন গুলিয়ে ফেলছি তখনই শুরু হলো অপ্রত্যাশিত ঘটনাক্রম। জানা গেলো চুক্তি অনুযায়ী সেরামের টিকার দ্বিতীয় চালান পৌঁছেনি দেশে সময়মতো। শঙ্কার শুরু সেই থেকে যে আমার শেষ ডোজের কি হকিকত? ফেব্রুয়ারি-মার্চ গড়িয়ে এপ্রিলে এসেও টিকার টিকির সন্ধান মিললো না। সংশ্লিষ্টদের নির্ভার, নিশ্চিন্ত ভাব দেখে নিজের ধৈর্যের বাঁধ কেন ফারাক্কা বাঁধের মতো কার্যকরী হচ্ছে না তাতে দিশেহারা হয়ে পড়লাম।

সারকথাঃ প্রথম টিকা পাবার আগে সেরামের সাথে দ্বিপক্ষীয় না ত্রিপক্ষীয় চুক্তির তালগোলে মাথা ঘামাইনি ভবিষ্যৎ আশায়। টিকা আমদানির ব্যাপারে সরকারের উপর ছড়ি ঘোরানো পাপন ম্যাজিকে পিসি সরকার ফেইল এমন ভাবনায় অবগাহন করলাম। কিন্তু তীরে এসে তরী ডোবার সামস্টিক ক্ষতির চেয়ে ব্যক্তিগত অপ্রাপ্তির বেদনা যেন বড় হয়ে উঠতে লাগলো। টিকা সংগ্রহের সামগ্রিক আখ্যানে আমাদের সরকারের অংশগ্রহনের অনীহা ভোজবাজির মতো মিলিয়ে গেছে গত দু’দিনে। সম্ভাব্য সব উপায়ে উদ্ভূত টিকা সংকট নিরসনে কমিটি গঠন আর দৌড় ঝাপে আশায় আবার মন বাঁধলাম।

কিন্তু সব আশায় পানি ঢাললো প্রথম আলোর ‘যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন থেকে টিকা আনার উদ্যোগ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি। সে বিবরনে যা ঘটেছে কমিটির ভার্চুয়াল সভায় তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা পাওয়া যায়। অনেক তথ্য সমৃদ্ধ লেখাটায় কয়েকটা জায়গায় সাধারন পাটিগনিতের নিয়মগুলো তবুও কেমন যেন অসহায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে তিনটি টিকা আপতকালীন ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে সেগুলো হলো ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না আর জনসন্স এর টিকা যা Janssen বলে পরিচিত।প্রথম আলোর প্রতিবেদনটিতে কমিটির আলোচনায় ফাইজারের টিকা উহ্য থেকে গেছে দেখে বেশ অবাকই হলাম।

লেখাটির ভাষ্যে লক্ষনীয় একঃ "এর মধ্যে দুটি টিকা নিয়ে তারা আগ্রহ দেখায়নি। একটি হলো চীনের সিনোভ্যাকের টিকা, যার কার্যকারিতা ৫০ শতাংশের কম। অন্যটি যুক্তরাষ্ট্রের জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা, যা কমপক্ষে মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। এটা বাংলাদেশের জন্য কঠিন।"

অথচ এফডিএর প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী - "Store unpunctured multi-dose vials of the Janssen COVID-19 Vaccine at 2°C to 8°C (36°F to 46°F) and protect from light. Do not store frozen." (সূত্রঃ https://www.fda.gov/media/146304/download)
কোনো অবস্থাতেই জেন্সেন টিকা অতি নিম্ন তাপমাত্রায় জমাতে নিষেধ করা হয়েছে।

লক্ষনীয় দুইঃ "যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার টিকা আমদানি করতে চায় সুপরিচিত ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রেনাটা লিমিটেড। এ জন্য তারা সরকারের অনুমোদন চেয়েছে। গত মঙ্গলবার রেনাটার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়, মডার্নার টিকার কার্যকারিতা ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এখন পর্যন্ত এটিই একমাত্র টিকা, যার কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই টিকা সংরক্ষণও অনেক বেশি সুবিধাজনক।"

কিন্তু সিডিসির মতে - *Unpunctured vials may be stored in the refrigerator between 2° to 8°C (36° to 46°F) for up to 30 days". (সূত্রঃ Click This Link)

দুটো টিকার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় দু’টো টিকারই সংরক্ষনের তাপমাত্রা বিস্তার একই। বরং মডার্নার টিকা সরবরাহের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো একে অতি নিম্ন তাপমাত্রায় বরফ জমাট অবস্থায় পরিবহন করতে হয়। * The vaccine will arrive frozen between -50°C and -15°C (-58°F and 5°F)." এই বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থার আনুসঙ্গিক প্রস্তুতি নিতে অ্যামেরিকাতেই সপ্তাহ দুয়েক সময় লেগেছিল।

যুক্তি-বুদ্ধি তর্কঃ বিভিন্ন টিকা নিয়ে বকবকানির শুরুতেই ডিসক্লেইমার- কোনো নির্দিষ্ট ভ্যাকসিনের পক্ষে সাফাই গাইতে এই লিখাটা লিখিনি। আলোচিত টিকাগুলোর মধ্যে দামের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে মডার্না। অর্থনৈতিক মূল্যের পার্থক্য এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের ব্যাপারটা ধর্তব্যের মধ্যে না এনে কমিটির আলোচক, বক্তা বা নীতিনির্ধারকদের এমন পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কৌশল কি কোনো বিশেষ তাৎপর্য বহন করে? নাকি মডার্নার বাড়তি দামে ব্যবসায়ে কাটতির জন্য রেনাটাকে সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে? তার সাথে জড়িত সরকারের বিভিন্ন স্তরের কলাকুশলীদের ভাগের বাটোয়ারা। এখন প্রশ্ন আসতে পারে টিকা আমদানির প্রাসঙ্গিকতায় রেনাটার হয়ে হঠাৎ প্রথম আলো কেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিজ্ঞাপন করছে? যারা দুই আর দুইয়ে চার এই যোগফল আমার কাছ থেকে জানতে চাইবেন তাদের জন্য ধাঁধা। কোন মাছ ঝাঁক বেঁধে থাকে এবং তা বাংলা প্রবচনে উল্লেখিত হয়েছে? উত্তরে মাথায় চটজলদি উত্তর আসবে ‘একই ঝাঁকের কৈ’। অন্যান্য প্রসংগে এই এক ঝাঁক সত্য হলেও আমাদের আলোচনার প্রেক্ষিতে এর উত্তর হবে ট্রান্সকম গ্রুপ। আশাকরি ধরতে পেরেছেন। ভারত প্রীতি কিংবা বেক্সিমকোর আগ্রহকে স্বীকার করে ইতিমধ্যে খেসারত দিচ্ছি আমরা। রাক্ষসদের নাম-চেহারা পালটিয়ে আরেক দফা খেসারত দিতে আমরা কারা কারা আগ্রহী এ খোলা প্রশ্ন রইলো সবার কাছে।

সঙ্গত কারনে প্রশ্ন উঠে একই তাপমাত্রায় সংরক্ষনের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে মডার্নার টিকা সংরক্ষন অনেক বেশি সুবিধাজনক? মডার্নার টিকা ঊৎপাদন ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে বড় প্রশ্নবোধক ছিলো সরবরাহকালীন এর অতি নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষনের প্রয়োজনীয়তা।এই অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি কুলীন সভাসদদের দৃষ্টি এড়িয়ে গেলো কিভাবে?

মোটা দাগে কেবল দাম ও কার্যকারিতার কথা বিবেচনা করলে মডার্নার চেয়ে ফাইজারের টিকা অগ্রাধিকার পাবে। উপরন্তু ফাইজারের টিকার ক্ষেত্রে অতি নিম্ন তাপমাত্রায় পরিবহনেরও বাধ্যবাধকতা নেই।

ভারত ভাবে আবেগী হয়ে কম কার্যকারিতার অজুহাতে চায়নিজ সিনোভ্যাক আগ্রহের তালিকা থেকে বাদ দেয়া বিশেষজ্ঞদের কাছে আমার প্রশ্নঃ সর্বোচ্চ কুটনৈতিক প্রচেষ্টায় রাশার স্পুতনিক টিকা পাবার জন্য যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে সেই রুশ টিকার কার্যকারিতা শতকরা কত? নাকি ভারতের আশীর্বাদ পাওয়ায় রাশার টিকা গুন বিচারে সবার চেয়ে হঠাৎ এগিয়ে গেলো?

এবার আসি কমিটির সভ্য-সদস্য ও আলোচনায় অংশ নেয়া বিশেষজ্ঞদের সদ্বিবেচনা ও তথ্যের যথাযথ ব্যবহারের মানসিক সক্ষমতা নিয়ে। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির অভিঘাতে আমরা এই দেশবাসী অভ্যস্ত। তাই বলে নতুন নতুন নাটকের বাধ্যগত দর্শকদেরও তো ক্লান্তি আসতে পারে। দর্শকদের প্রতিক্রিয়াকে থোড়াই কেয়ার করা সরকার যন্ত্রকুশলীদের মজ্জাগত বুঝলাম কিন্তু নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির দুরভিসন্ধি বা তার অনুষ্ঠানের কোরবানি আমাদের আর কতবার হতে হবে। স্বাভাবিকের মানদন্ডে এই বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারক শ্রেণীর সম্মানিত সদস্যদের মানসিক বৈকল্য প্রমানের অপেক্ষা রাখে না। আর এরা যদি মানসিক সক্ষমতার দাবি করে তবে তারা নিঃসন্দেহে নেশাগ্রস্থ। নেশার ঘোরে অসত্য, অসততা, অমানবিকতাকে নতুন স্বাভাবিক প্রমানের অব্যর্থ চেষ্টায় নিয়োজিত।

অবাধ তথ্য সঞ্চারের এই যুগে এমন তথ্য বিভ্রাট কোনো যুক্তিতেই সাধারন বিচ্যুতি বলে মেনে নেয়া যায় না। জাতীয় জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিকা ব্যবস্থাপনায় এই ইচ্ছাকৃত বিভ্রাট জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতি দুটোকেই রুগ্ন বা পঙ্গু করার জন্য যথেষ্ট।

সবশেষে আসে এই সংবাদ পরিবেশনে খোদ সংবাদ মাধ্যমের অসাধুতার বিষয়টি। অনেক সময় দেখা যায় মিডিয়ার পরিবেশনার নকশায় ও সাব্জেক্টিভিটির দৌলতে সংবাদের সারবস্তু উত্তর-দক্ষিন হয়ে যায়। এই তথ্যবিভ্রান্তি যদি সরকারের তরফ থেকে না হয়ে সংবাদ পরিবেশনে উৎসমূল হয় তবে তার দায় তো সংবাদ মাধ্যমের উপর বর্তায়। ধরে নিলাম প্রথম আলো পোড় খাওয়া আদর্শবাদী নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠতার ধ্বজাধারী। তাদের হাতে সরকারী জামিনদারির কমিটি যে বায়াস তৈরি করতে চেয়েছে তা যাচাই করার মতো যথেষ্ট উপকরন আছে এবং তা ব্যবহারে তারা পারঙ্গম। তবে কেন এই তথ্য বিকৃতির দায় এড়াতে তাদের অবস্থান পরিস্কার করে বিবৃতি জুড়ে দিলো না? নাকি তারাও ঘোর লাগা একই নেশায় আসক্ত?

উপসংহারঃ করোনা গত এক বছরে অনেক অপ্রত্যাশিত আর অকল্পনীয়র সাথে পরিচিত করিয়ে আমাদের যাপিত জীবনের খোলনলচে বদলে দিয়েছে। তাই তো পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাধারন সংজ্ঞা দাড়িয়েছে ‘নতুন স্বাভাবিক’। বিদেশে কয়েক দফায় লম্বা সময়ের থাকার সৌভাগ্যে নাকি অতি কৌতুহলের আতিশয্যে জানি না বেশ কয়েকবার সাইক্যাডেলিক এল এস ডি, ম্যাজিক মাশরুম চেখে দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভীতুর ডিমের কুসুম এই অধম পর্যাপ্ত সাহস সঞ্চয় করতে পারিনি তাই কৃত্তিম বা প্রাকৃতিক উপায়ে ঘোর লাগা ব্যাপারটার সাথে পরিচয় ঘটেনি। অবশ্য এ নিয়ে আজকের আগ পর্যন্ত কোনোদিন আফসোস হয়নি। আজ ভীষণ তাড়না বোধ করছি। এ দেশে থাকতে হলে নেশার ঘোরে বাস্তব থেকে যোজন দুরে বাস করাটাই তো নতুন স্বাভাবিক।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×