সাত রঙা ঐ রামধনুকের সাজটা দেখি বেশ,
ভাবখানা ঠিক এমন যেন সূর্য্যিমামার কেশ!
কৃষ্ণচূড়ার ঢালটা সাজে মনের মতো রঙ,
হাসনাহেনা আতর মাখে রাতের বেলায় ঢঙ!
ঘাসফুলেদের পাঁপড়ি যেন জ্যোৎসনা রাশি রাশি,
লজ্জা পেয়ে লজ্জাবতি হাসে লাজুক হাসি!
নানান রঙে ফড়িংটা আজ সাজে নতুন বৌ,
ধানপাতাদের পালকি চড়ে মুখটা যেন মৌ!
পলাশফুলের সানাই বাজে ঘাসফড়িংয়ের বে,
ফুলপাখিরা ব্যস্ত সবে দাওয়াত দিবে কে?
বাবুইপাখি ঘর বানাবে খেজুরপাতা দিয়ে,
বুলবুলি আর চড়ুইপাখি ব্যস্ত বাসর নিয়ে!
জোনাকিরা আনবে আলোক সাজবে বিয়ে বাড়ি,
প্রজাপতি আনবে গিয়ে টাঙ্গাইলের শাড়ি!
কাকাতুয়া কাজি হবে সাক্ষি ফিঙে-টিয়ে,
ময়নাপাখি গীত গাইবে দোয়েল-শ্যামা নিয়ে!
সব আয়োজন শেষ হয়েছে দোয়েল হবে বর,
দূরের দেশে স্বামীর বাড়ি আপন হবে পর!
বিয়ের দিনে সবাই খুশি পেঁচা কেন চুপ!
পাইনি দাওয়াত তাই কি পেঁচা মান করেছে খুব?
পেঁচা কি আর দাওয়াত খাবে ঘুমায় দিনের বেলা,
রাত্রি হলে ঘাসফড়িংয়ের সাথে করতো খেলা!
ছোট্টবেলার খেলার সাথী বিয়ে হচ্ছে তার,
তাইতো পেঁচা অভিমানে মুখ করেছে ভার!
ছবিঋণ: গুগল মামা