‘বিশাল সৈন্যবাহিনী দেখে পিপঁড়াদের দলপতি আরেক পিপড়াকে বলল সবাইকে খবর পাঠাও আর সতর্কৃ থাকার নির্দেশ দিলেন যে, ভূলেও যাতে এদের সামনে কেউ না পরে’।এটা আমার কাল্পনিক একটা গল্প।যেখানে পিপঁড়ারা কথা বলছে অপরের সাথে।যেটা হাস্যকর কারন পিপড়া আবার কথা বলে কিভাবে?
পবিত্র কোরআনের সূরা নামল্(বাংলা উচ্চারন)-এ বলা হয়েছে হযরত সোলায়মান (আএর বিশাল সৈন্যবাহিনী দেখে এক পিপড়া বলল “তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ কর যেন সোলায়মান ও তার বাহিনী তাহাদের অজ্ঞাতসারে তোমাদিগকে পদতলে পিষিয়া না ফেলে” এটা কোন গল্প না।পবিত্র কোরআনের বাণী।তাহলে কোরআন শরীফে এসব রুপকথার গল্প কেন? পবিত্র কোরআনের কোন বাণীই কল্পকথা নয়।
আমরা সাধানত মানুষজাতীর পরে জ্বীন জাতিকে স্থান দিয়ে থাকি।জ্বীণ হল মানুষের মত আরেকটা জাতি যারা অদৃশ্য অবস্থায় থাকে আর শুধুমাত্র আল্লাহতায়ালার ইবাদত করে।কুরআনশরীফে তা বলা হয়েছে।অথচ কিছু কবিরাজ হুজুরেরা জ্বীনদের দিয়ে পুত্র সন্তান লাভ, লাউ চোর অথবা মোবাইল বা ল্যাপটপ চোর ধরার কাজে ব্যাবহার করে অথচ একটা সুই কেন হারিয়ে যাওয়া বিরাট হাতি বের করারও ক্ষমতা জ্বিনদের নেই।আমরা সেই সব হুজুরদের বিশ্বাস করি যাদের মসজিদ আর নামাজের সাথে ভালো যোগেযোগ নেই। ধার্মিক হুজুরেরা মলমপার্টির সাথে তুলনা করে এদের।জ্বীনদের বশ করানের সে যুগও নেই,সে মানুষও নেই।
আচার আচরনের দিক থেকে মানুষের সাথে যে প্রাণীটি সবচেয়ে কাছাকাছি সেটি হল পিপড়া।তারা মানুষের মত কথা বলে,হাসে,কাঁদে।তারা আমাদের মত নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট কাজ করে থাকে সমাজবদ্ধভাবে।তাদেরও আছে বাজার,নেতা,শ্রমিক,ম্যানেজার বা অন্যান্যগুলো।সবচেয়ে অদ্ভুদ বিষয় হল তাদের যোগাযোগ ব্যাবস্তা মানুষের চেয়েও অনেক উন্নত অথচ তাদের মোবাইল, ফেসবুক,ভাইবার,মেচেন্জার নেই। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল তারা মৃত পিপড়াদের আমাদের মত কবর দেয়।বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে বন্ধুরা?বা বিশ্বাসই করেননি।কারন এটা আমি বলেছি।আর যদি কোন ক্লিন সেভ করা হুজুর জ্বিন ডেকে এনে বলত তাহলে সে অদৃশ্য বক্তার কথা চোখবুজে বিশ্বাস করে নিতেন।
টমাস প্রিস বিখ্যাত প্রানীবিজ্ঞানী, ১৮০০ শতকে যিনি পিপড়াদের উপর গবেষণা করতে গিয়ে অবাক করা এসব তথ্য পেয়েছে।যা তাকে পর নোবেল পুরষ্কার এনে দিয়েছে।এবার মনে হয় বিশ্বাস হচ্ছে বন্ধুরা।অথচ এ বিশ্ময়কর তথ্য ১৪০০শত বছর আগে কুরআন শরীফে বলা হয়েছে পিপড়াদের নিয়ে।
যোগাযোগ ব্যাবস্থায় আমরা মানুষেরা চরম ভার্চুয়াল হয়ে গেছি।ফেসবুকব,ভাইবার,মেছেন্জার বা অন্যান্য মাধ্যম ছাড়া আমরা অচল মনে করি।কিন্তু সত্যিই কি তাই? সরকার এগুলো সাময়িক বন্ধ করছেল এতে সরকারের মন্ডুপাত করছি আমরা।অথচ এগুলো ব্যাবহার না করার ফলে আমরা আমাদের মা,বাবা, পরিবার বা পরিচিতজনদের বেশি সময় দিতে পেরেছি ফেসবুকে পরে না থেকে।সবক্ষেত্রেই তাই হয়েছে।এতে ওদের সাথে মনের যোগাযোগটা বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুন।আর এটাই হল সবচেয়ে বড় যোগাযোগ।পিপড়ারা নিজেদের মথ্যে যোগাযোগ ব্যাবস্থায় তাই করে।তা্ই মানুষের থেকে এরা হাজারগুন উন্নত।গবেষনায় এও বলা হয়েছে যে মানুষ যে হারে ভার্চৃয়াল যোগাযোগ করছে এতে পিপঁড়াদের থেকেও হাজারগুন পিছিয়ে পরছি।অথচ আমরা শ্রে্ষ্টজাতি।
আমাদের ভার্চৃয়াল যোগাযোগ হবে আল্লাহতায়ালার সাথে ফেসবুক,ভাইবার,মেসেন্জার,টেংগো,ইমো্,স্কাইপ হবে নামাজ।নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সাথে কথা বলব,যোগাযোগের মূলকেন্দ্রস্থল হবে মসজিদ।আর তা না হলে জ্বিনজাতি আর পিপড়ার কাছে পরাজয়ের মত অন্যান্য সব ক্ষেত্রে আমরা মুসলমানরা পিছিয়ে পড়ব যা আজকের সময়ে প্রমাণিত হচ্ছে আরও হবে।
অতিথি
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০